‘বিষয়টি এখনো পাকাপাকি নয়’ by ফয়সাল রাব্বিকীন
গেল
রোজার ঈদটি বেশ ফুরফুরে মেজাজে উদযাপন করেছেন চলতি প্রজন্মের আলোচিত
সংগীতশিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী। কারণ ঈদটি ছিল তার জন্য বিশেষ। এ ঈদে
বেশ কিছু নতুন গান প্রকাশ হয়েছে তার। গেয়েছেন টিভি লাইভেও। আর প্রথমবারের
মতো হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি গানে
পারফর্ম করেছেন তিনি। এটা তার জন্য বেশ বড় পাওয়া ছিল বলেই মনে করেন ঐশী।
পাশাপাশি আনজাম মাসুদের ‘পরিবর্তন’ ম্যাগাজিনেও পারফর্ম করেছেন। এ বিষয়ে
ঐশী বলেন, এবারের ঈদটি আমার জন্য বিশেষ ছিল। আসলে ‘ইত্যাদি’ তো দেশের সবারই
খুব প্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এখানে গান গাইতে পেরে।
প্রতীক ও প্রীতম হাসান ভাইয়া এবং কনা আপুর সঙ্গে এ গানটি গেয়েছি আমি।
অনুষ্ঠানটি দেখার পর প্রশংসা করেছেন সবাই। পাশাপাশি ‘পরিবর্তন’ ম্যাগাজিনে
কর্ণিয়ার সঙ্গে একটি গান গেয়েছি। সেটিরও ভালো সাড়া পেয়েছি। আর গানবাংলা
টিভির উইন্ড অব চেঞ্জ’স-এর এবারের মৌসুমে গেয়েছি। অনেক সাড়া মিলেছে। ঈদের
মধ্যে এসএ টিভিতেও লাইভ করেছি। ভক্ত-শ্রোতা থেকে শুরু করে সেই লাইভের
প্রশংসা করেছেন অনেক সিনিয়র শিল্পীও। এর মাধ্যমে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। সব
মিলিয়ে বলতে পারেন খুব ভালো গেছে ঈদ। ঈদে নতুন গানওতো প্রকাশ হয়েছে।
সেগুলোর সাড়া কেমন মিলছে? ঐশী বলেন, ঈদের খুব বেশিদিন আগে গানগুলো প্রকাশ
হয়নি। তাই সময় গেছে খুব অল্প। কিন্তু এরই মধ্যে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি।
লেজারভিশন থেকে প্রকাশিত ‘নীলিমা’ ও ‘রঙিন ঘুড়ি’ এবং সিডি চয়েজের ব্যানারে
প্রকাশিত ‘আলতা রাঙা পায়’ গানগুলোর ভালো সাড়া পেয়েছি। এর মধ্যে ‘নীলিমা’
গানটির ভিডিও নির্মাণের কথাও চলছে। আমার মনে হয় ভিডিও হলে সাড়া আরো ভালো
পাবো। সামনের পরিকল্পনা কি? ঐশী বলেন, আসলে আমি পরিকল্পনা করে কিছু করতে
পারি না। যেটা যখন ভালো মনে হয় করি। আর আমি যেহেতু ডাক্তারি পড়ি তাই আমার
জন্য সময় বের করাটা কঠিন। সে কারণে শো কিংবা রেকর্ডিংয়ের শিডিউলটা আগে
থেকেই করে নিতে হয়। তারপরও ডাক্তারি পড়া ও গান চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে
বাবা-মা আমাকে খুব সহযোগিতা করেন, উৎসাহ দেন। না হলে আমার পক্ষে দুটো দিক
সামলানো সম্ভব হতো না। একক অ্যালবামের পরিকল্পনা কি আছে? ঐশী বলেন, বিষয়টি
এখনো পাকাপাকি নয়। তবে এখনতো আর অনেক গান নিয়ে একক অ্যালবাম করে লাভ নেই।
হয়তো তিন গানের ইপি করবো। আর সিঙ্গেলস করবো। ভিডিও ছাড়া গান এখন শ্রোতারা
শুনছেনও খুব কম। তাই সব মিলিয়ে ঠিক করেছি সিঙ্গেলসই বেশি করবো। ফোক, রক,
মেলোডি- এসব ধরনের গানেই ঐশীকে পাওয়া গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফলতাও
এসেছে। কিন্তু কোন ধরনের গানে ঐশী নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি? এ শিল্পী
আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, সব ধরনের গান গাইতে আমার ভালো লাগে। তবে যখন শো
করি তখন ফোক গান গাওয়ার অনুরোধই বেশি থাকে আমার কাছে। আর ফোক গানে আমি
কিছুটা হলেও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে রক কিংবা মেলোডি গান গাইতেও
ভালো লাগে। আমি আসলে সব ধরনের গান গাইতে চাই। তবে গতানুগতিক ধারার বাইরের
গান গাইতে বেশি পছন্দ করি। ভিন্নধারার গান পেলে আমি একেবারে নিজেকে উজাড়
করে গাওয়ার চেষ্টা করি। এ সময়ের একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে মিউজিক
ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ঐশী বলেন, এখনতো ভালোই মনে হচ্ছে।
অনেক গান প্রকাশ হচ্ছে। তবে সিডিতো উঠেই গেছে প্রায়। ডিজিটালি গান শুনছেন
শ্রোতারা। এর ফলে গান শোনাটা সহজ হয়েছে। শিল্পীরা নিজেরাও নিজেদের গান
ইচ্ছে করলেই প্রকাশ করতে পারছেন। সব মিলিয়ে অবস্থা এখন ভালোই।
No comments