ড্রাইভিং সিটে ভোট রাজনীতি by এম এম মাসুদ
আখেরে
অবস্থান বদলালেন অর্থমন্ত্রী। নিজের বিরুদ্ধে নিজেই দাঁড়ালেন। আর এর
মাধ্যমে ভোট রাজনীতির কাছে হেরে গেল তার জিদ। ভ্যাট আর আবগারি শুল্ক
ইস্যুতে নিজের অনড় অবস্থানের কথাই বারবার ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আবদুল মুহিত। বলেছিলেন, কোনো পরিবর্তন হবে না। তার এ অবস্থান দলের
ভেতরে-বাইরে বিপুল সমালোচনা তৈরি করেছিল। সব মহল থেকেই প্রতিবাদ জানানো
হয়েছিল। অবশ্য কেউ কেউ তার পাশেও ছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশনায় বাজেটে পরিবর্তন আনলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার অর্থবিল
পাসের পর গতকাল বাজেটও পাস হয়ে গেছে সংসদে।
অর্থমন্ত্রী এটিকে বলেছিলেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট। বাজেটের খোলনলচে বদলে যাওয়ার পরও তিনি একই কথা বলছেন। এই হিসাব অবশ্য বোঝা দায়। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাজেটে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে- ভোট রাজনীতি এখন ড্রাইভিং সিটে। মূলত নির্বাচন বিবেচনাতেই দুই বছর পর্যন্ত নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের আগ পর্যন্ত নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে না। আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব শুধু নাকচই হয়নি, আগের হার থেকেও বেশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন। বলছেন, জনগণের পালস বুঝতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভ্যাট আইন কার্যকর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বাজেট বাস্তবায়ন এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। হিসাব মেলানো হবে কঠিন। নির্বাচনের পর গঠিত সরকারকেই এখন ভ্যাট আইনের ঝক্কি-ঝামেলা মোকাবিলা করতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই এত বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। এর মধ্যে আবার কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত অর্থবিল পাসের সময় দুটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক। তবে এটা নিশ্চিত, এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটাও পূরণ হতো না। সব মিলিয়ে বাজেটে ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ বাড়বে। রাজস্ব আহরণ ঠিক রাখতে ভ্যাট ও আয়কর জাল সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দুই বছর পর যখন থেকে এই আইন কার্যকর করা হবে, তখন আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে একক হারে এটা বাস্তবায়ন হবে কিনা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের কার্যকারিতা আরো দুই বছরের জন্য স্থগিত করায় আগামীতে নতুন সরকারের জন্য এই আইন বাস্তবায়ন চালেঞ্জ হবে। একই সঙ্গে এটা একটা বাজে নজির হয়ে থাকলো। আবদুল মজিদ বলেন, ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত করার মানে হলো, এতে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। অর্থাৎ এ সরকারের আমলে ভ্যাট আইন নিয়ে আর কোনো টুঁ-শব্দটি করা লাগবে না। দুই বছর পর নতুন যে সরকার আসবে তারাই তখন এটি বাস্তবায়ন করবে। এটাই ভোটের রাজনীতি। আর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোনো বেগ পেতে হবে না। তিনি বলেন, এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে যখন ভ্যাট আইন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাস্তবায়ন করেন ওই সময়টা ছিল সরকারের প্রথম বছর। কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু শেষ সময় হলে আন্দোলন হওয়ার সম্ভবনা থাকতো বলে মনে করেন তিনি। সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগের ভ্যাট আইনে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধাগ্রস্ত হবে সরকার। এছাড়া এতে সরকারের উন্নয়ন ব্যয় কম হতে পারে। ব্যাংক ঋণ নেয়ার হার বাড়বে। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। স্থগিত হওয়ায় সেটা আর হবে না। তবে স্থগিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনের পর যে নতুন সরকার আসবে তাদের জন্য এই আইন বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তিনি বলেন, আগেই ভাবা উচিত ছিল ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে কি হবে না। আর ভবিষ্যতের জন্য বাজে নজির হয়ে থাকলো এটি। কারণ, নতুন সরকার এসেও চিন্তাভাবনা করবে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে কি করবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত ও ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক হার কমানো, এসবের মাঝে নিশ্চয় রাজনৈতিক বিবেচনা আছে। কিভাবে দেশের জনগণের মন জয় করা যায়, তার একটি মেসেজ রয়েছে এতে। তাছাড়া দিনশেষে ভ্যাটের চাপটা পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। ভ্যাট আইন স্থগিত করায় সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে আগে থেকেই কোনো প্রস্তুতি ছিল না। থাকলে এরকম পরিস্থিতিতে সরকারকে পড়তে হতো না।
এদিকে এক গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক নাজনীন আহমেদ বলেন, রাজনীতির কাছে অর্থমন্ত্রী হেরেছেন। বাজেটে চমক বলতে ভ্যাট আইনটিই ছিল। নাজনীন আহমেদ মনে করেন, ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে এ পরিবর্তন অর্থনীতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। ভোটের জন্য এমনটা করার প্রয়োজন হলে সরকার তা আগেই ভাবতে পারতো। তাহলে এখন রাজনীতির কাছে অর্থমন্ত্রীর পরাজয় হতো না। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, পরবর্তী বাজেট হবে নির্বাচনী বাজেট। কিন্তু এখন এ বাজেটটিই হয়ে গেল নির্বাচনী বাজেট।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলোমেলো ভাব বাজেট কাঠামোয় থেকে যাবে। বাজেটে রাজস্ব আদায়ে আয়কর থেকে ৩৬ শতাংশ ও ভ্যাট থেকে ৩৩ শতাংশ লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। এ জায়গায় এখন একটা চাপ তৈরি হবে। বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন ঘাটতির চাপ পড়বে। এখন সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করতে হবে। যা অর্থনীতির জন্য দুর্বলতা তৈরি করবে। বাজেটের ঘাটতিজনিত প্রক্রিয়ার সমন্বয় এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ বাজেট কি কর্মসংস্থানমুখী? কর্মসংস্থান না হলে এটা হবে বেশি দুশ্চিন্তার বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন ২০১৭ সালের ১লা জুলাই থেকে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া ছিল। কিন্তু বছরজুড়েই ব্যবসায়ীরা প্রবলভাবে এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারপরও নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য স্থগিতই রাখতে হলো নতুন ভ্যাট আইন।
অর্থমন্ত্রী এটিকে বলেছিলেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট। বাজেটের খোলনলচে বদলে যাওয়ার পরও তিনি একই কথা বলছেন। এই হিসাব অবশ্য বোঝা দায়। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাজেটে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে- ভোট রাজনীতি এখন ড্রাইভিং সিটে। মূলত নির্বাচন বিবেচনাতেই দুই বছর পর্যন্ত নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের আগ পর্যন্ত নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে না। আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব শুধু নাকচই হয়নি, আগের হার থেকেও বেশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন। বলছেন, জনগণের পালস বুঝতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভ্যাট আইন কার্যকর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বাজেট বাস্তবায়ন এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। হিসাব মেলানো হবে কঠিন। নির্বাচনের পর গঠিত সরকারকেই এখন ভ্যাট আইনের ঝক্কি-ঝামেলা মোকাবিলা করতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই এত বড় আকারের বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। এর মধ্যে আবার কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত অর্থবিল পাসের সময় দুটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক। তবে এটা নিশ্চিত, এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটাও পূরণ হতো না। সব মিলিয়ে বাজেটে ঘাটতি ও ঋণের পরিমাণ বাড়বে। রাজস্ব আহরণ ঠিক রাখতে ভ্যাট ও আয়কর জাল সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দুই বছর পর যখন থেকে এই আইন কার্যকর করা হবে, তখন আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে একক হারে এটা বাস্তবায়ন হবে কিনা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের কার্যকারিতা আরো দুই বছরের জন্য স্থগিত করায় আগামীতে নতুন সরকারের জন্য এই আইন বাস্তবায়ন চালেঞ্জ হবে। একই সঙ্গে এটা একটা বাজে নজির হয়ে থাকলো। আবদুল মজিদ বলেন, ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত করার মানে হলো, এতে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে বর্তমান সরকার। অর্থাৎ এ সরকারের আমলে ভ্যাট আইন নিয়ে আর কোনো টুঁ-শব্দটি করা লাগবে না। দুই বছর পর নতুন যে সরকার আসবে তারাই তখন এটি বাস্তবায়ন করবে। এটাই ভোটের রাজনীতি। আর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোনো বেগ পেতে হবে না। তিনি বলেন, এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে যখন ভ্যাট আইন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাস্তবায়ন করেন ওই সময়টা ছিল সরকারের প্রথম বছর। কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু শেষ সময় হলে আন্দোলন হওয়ার সম্ভবনা থাকতো বলে মনে করেন তিনি। সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগের ভ্যাট আইনে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধাগ্রস্ত হবে সরকার। এছাড়া এতে সরকারের উন্নয়ন ব্যয় কম হতে পারে। ব্যাংক ঋণ নেয়ার হার বাড়বে। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। স্থগিত হওয়ায় সেটা আর হবে না। তবে স্থগিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনের পর যে নতুন সরকার আসবে তাদের জন্য এই আইন বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তিনি বলেন, আগেই ভাবা উচিত ছিল ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে কি হবে না। আর ভবিষ্যতের জন্য বাজে নজির হয়ে থাকলো এটি। কারণ, নতুন সরকার এসেও চিন্তাভাবনা করবে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে কি করবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত ও ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক হার কমানো, এসবের মাঝে নিশ্চয় রাজনৈতিক বিবেচনা আছে। কিভাবে দেশের জনগণের মন জয় করা যায়, তার একটি মেসেজ রয়েছে এতে। তাছাড়া দিনশেষে ভ্যাটের চাপটা পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। ভ্যাট আইন স্থগিত করায় সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে আগে থেকেই কোনো প্রস্তুতি ছিল না। থাকলে এরকম পরিস্থিতিতে সরকারকে পড়তে হতো না।
এদিকে এক গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক নাজনীন আহমেদ বলেন, রাজনীতির কাছে অর্থমন্ত্রী হেরেছেন। বাজেটে চমক বলতে ভ্যাট আইনটিই ছিল। নাজনীন আহমেদ মনে করেন, ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে এ পরিবর্তন অর্থনীতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। ভোটের জন্য এমনটা করার প্রয়োজন হলে সরকার তা আগেই ভাবতে পারতো। তাহলে এখন রাজনীতির কাছে অর্থমন্ত্রীর পরাজয় হতো না। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, পরবর্তী বাজেট হবে নির্বাচনী বাজেট। কিন্তু এখন এ বাজেটটিই হয়ে গেল নির্বাচনী বাজেট।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলোমেলো ভাব বাজেট কাঠামোয় থেকে যাবে। বাজেটে রাজস্ব আদায়ে আয়কর থেকে ৩৬ শতাংশ ও ভ্যাট থেকে ৩৩ শতাংশ লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। এ জায়গায় এখন একটা চাপ তৈরি হবে। বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন ঘাটতির চাপ পড়বে। এখন সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন করতে হবে। যা অর্থনীতির জন্য দুর্বলতা তৈরি করবে। বাজেটের ঘাটতিজনিত প্রক্রিয়ার সমন্বয় এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ বাজেট কি কর্মসংস্থানমুখী? কর্মসংস্থান না হলে এটা হবে বেশি দুশ্চিন্তার বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন ২০১৭ সালের ১লা জুলাই থেকে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া ছিল। কিন্তু বছরজুড়েই ব্যবসায়ীরা প্রবলভাবে এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তারপরও নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য স্থগিতই রাখতে হলো নতুন ভ্যাট আইন।
No comments