বদলে গেছে আড্ডার বিষয় by শামীমুল হক
বদলে
গেছে আড্ডার বিষয়। চা স্টল, গ্রামীণ বাজারের রেস্টুরেন্ট কিংবা গ্রামের
মোড়ে মোড়ে আলোচনা এখন নির্বাচন নিয়ে। ঈদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এ বিষয়কে আরো
উসকে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদকে পুঁজি করে
ছুটে বেড়িয়েছেন নির্বাচনী আসনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। ভোটারদের সঙ্গে
কোলাকুলি করেছেন। কেউ কেউ জড়িয়ে ধরেছেন। আবার কেউ কেউ শক্রতা মিটিয়ে ফেলার
চেষ্টা করেছেন। সবার উদ্দেশ্য একটাই- নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটারের মন জয়
করা। দৃষ্টি কাড়া। এ অবস্থায় এবারের ঈদ যেন হয়ে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণার
ঈদ। ঈদ উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে সবাই গ্রামে ছুটে যান। একে অপরের সঙ্গে
দেখা, পুরনো স্মৃতি নিয়ে আলোচনা হয়ে উঠে আড্ডার মধ্যমণি। কিন্তু এবার সেই
জায়গা দখল করেছে নির্বাচন। আগামী বছর ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে এটা
গ্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অনেকেই ভোট দিতে যাননি।
নির্বাচন নিয়েও রয়েছে নানা কথা। সেই সব বিষয়ও আলোচনায় ঠাঁই করে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার শাহবাজপুর বাজারের এক আড্ডায় নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হচ্ছিল।
আলাউদ্দিন নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা এখনও
রয়ে গেছে। সরকার ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন না দিলেও নিজেরা ক্ষমতায়
থেকে নির্বাচন দেয়া এটা সন্দেহের। মহব্বত আলী নামের একজন তার কথার রেশ ধরে
বলেন, এমনটি আর হবে না। এবার বিএনপি খালি মাঠে গোল দিতে দেবে না। বারৈউরা
বাজারের এক চা স্টলে নির্বাচন নিয়ে তুমুল বিতর্ক। একজন বলছেন, আগামী
নির্বাচনও শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। মন্ত্রীরা এমন কথা জোর দিয়ে বলছেন।
অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সহায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। এ অবস্থায়
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দেশ ফের সংকটে পড়বে। আবারও দুই দল মুখোমুখি হবে রাজপথে।
অন্যজন বলছেন, না এবার যে ভাবেই হউক বিএনপি নির্বাচনে যাবে। আর একবার
বিএনপি নির্বাচনে গেলে চিত্র পাল্টে যাবে। শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যন
রফিকুল ইসলাম খোকনের কার্যালয়েও ঈদ উপলক্ষে জমজমাট আড্ডা। এর প্রধান ইস্যু
নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণায় বেরুলে সব সম্ভাব্য প্রার্থীই যাচ্ছেন
চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। নিজের জন্য দোয়া
কামনা করছেন প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নির্বাচনের
এখনও বছর দেড়েক বাকি। তারপরও ঈদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ
সমর্থকদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। ভোটারদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এটা
ভালো দিক। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যে সবার অংশগ্রহণে হবে এটাই তার
নমুনা। বিএনপি যতই বলুক নির্বাচনে যাবে না। অবস্থা দেখে কিন্তু তা মনে হয়
না। আর ভোটারদেরও আশা সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সরাইল প্রেস
ক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান বলেন, এবারের ঈদে বাড়তি আকর্ষণ ছিল নির্বাচনী
প্রচারণা। মনে হচ্ছে যেন নির্বাচন সামনে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ
এমনটাই বুঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয় নির্বাচন। সরাইল
বিশ্বরোড মোড়ের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, বহুদিন পর এবার দুই দলের
নেতাদের একে অপরের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে দেখলাম। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে
অনেক দিন দেখা যায়নি। এ দৃশ্যই বলে দিচ্ছে এবার নির্বাচন হবে অন্যরকম।
দেশের সাধারণ মানুষ যেরকম নির্বাচন চান সেরকম নির্বাচন। যে নির্বাচনে সকল
দল অংশ নেবে। কেন্দ্রে ভোট দেবে বিনা বাধায়। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে।
কেন্দ্র দখল হবে না। এমন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি আমরা। তিনি বলেন, আশা করি
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের এ চাওয়া পূরণ করবেন। সরাইল
সকাল বাজারের ব্যবসায়ী মমিন বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সম্ভাব্য
প্রার্থীরা দোয়া নিতে আসছেন। হাত মিলাচ্ছেন। কোলাকুলি করছেন। খুব ভালো
লাগছে। মনে হচ্ছে কদিন পরই যেন নির্বাচন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহবাজপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে। সেখানেও বক্তব্যে উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে ঘরে ঘরে যেতে হবে। বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ করছেন। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। ঈদকে কেন্দ্র করে আরো কয়েকজন মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন মঈন, ফরহাদ রহমান মাক্কি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। বিএনপির যারা আলোচনায় রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার উকিল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মোহাম্মদ শামীম। সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যন অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ড. আজিজুর রহমান। আর জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা। ইসলামী ঐক্যজোটের হাসনাত আমিনীকে ঘিরে তার কর্মী-সমর্থকরাও বসে নেই। এর মধ্যে কেউ কেউ ঈদে বিতরণ করেছেন উপহার সামগ্রী। বুধবার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সবক’টি গ্রামে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন শিউলি আজাদ। তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। দুয়েকটি পথসভাও করেছেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে শিউলি আজাদ বলেন, ধারাবাহিক সরকার থাকলে দেশের যে পরিবর্তন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে দিয়েছেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আরো একবার আপনারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনুন। দেখবেন বাংলাদেশ বিশ্বে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দেশ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার সরকার দেশকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে এনেছে। জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার। শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়ে নিরক্ষরতার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনছে। এ ছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ শামীম লালপুর, শরীফপুর, তালশহর ও তারুয়া ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সরাইল সদর, কালিকচ্ছ, নোয়াগাঁও ও আশপাশের ইউনিয়ন চষে বেড়িয়েছেন অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ওদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারও মাঠে নেমেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তারপরও আমরা এলাকায় কাজ করছি। ভোটারদের কাছে সরকারের দুঃশাসন, লুটপাটের চিত্র তুলে ধরছি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহবাজপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে। সেখানেও বক্তব্যে উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে ঘরে ঘরে যেতে হবে। বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ করছেন। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। ঈদকে কেন্দ্র করে আরো কয়েকজন মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন মঈন, ফরহাদ রহমান মাক্কি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। বিএনপির যারা আলোচনায় রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার উকিল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মোহাম্মদ শামীম। সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যন অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ড. আজিজুর রহমান। আর জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা। ইসলামী ঐক্যজোটের হাসনাত আমিনীকে ঘিরে তার কর্মী-সমর্থকরাও বসে নেই। এর মধ্যে কেউ কেউ ঈদে বিতরণ করেছেন উপহার সামগ্রী। বুধবার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের সবক’টি গ্রামে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন শিউলি আজাদ। তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। দুয়েকটি পথসভাও করেছেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে শিউলি আজাদ বলেন, ধারাবাহিক সরকার থাকলে দেশের যে পরিবর্তন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে দিয়েছেন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আরো একবার আপনারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনুন। দেখবেন বাংলাদেশ বিশ্বে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দেশ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। এমনিতেই শেখ হাসিনার সরকার দেশকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে এনেছে। জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার। শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়ে নিরক্ষরতার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনছে। এ ছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ শামীম লালপুর, শরীফপুর, তালশহর ও তারুয়া ইউনিয়নের ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সরাইল সদর, কালিকচ্ছ, নোয়াগাঁও ও আশপাশের ইউনিয়ন চষে বেড়িয়েছেন অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ওদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারও মাঠে নেমেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তারপরও আমরা এলাকায় কাজ করছি। ভোটারদের কাছে সরকারের দুঃশাসন, লুটপাটের চিত্র তুলে ধরছি।
No comments