পাকিস্তানের ভূমিকা সৌদি আরব কেন বার বার অস্বীকার করে?
কাতারের
সঙ্গে সৌদি আরবের চলমান টানাপড়েনের বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ
শরীফ মধ্যস্থতার যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা অস্বীকার করেছেন ইসলামাবাদে
নিযুক্ত সৌদি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মারোয়ান বিন রাদোয়ান মিরদাদ।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক 'ডন' এ খবর দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে সৌদি দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন নি যে, তিনি মধ্যস্থতা করছেন।” একজন দোভাষীর মাধ্যমে মারোয়ান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মধ্যস্থতার বিষয়ে দেশটির গণমাধ্যমে যে খবর বের হয়েছে তা অসত্য; বিষয়টি সঠিক নয়।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ একদিনের জন্য জেদ্দা সফর করেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ।
সৌদি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের বক্তব্যে পাক প্রধানমন্ত্রী বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যস্থতা মিশনে বের হওয়ার আগে পাক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ নওয়াজ শরীফ আজ সৌদি আরব সফর করবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি কূটনীতিক বলেন, ২০১৪ সালে কাতার ও পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তি দোহা বার বার লঙ্ঘন করায় চলমান সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ওই চুক্তিতে কী ছিল তা প্রকাশ্যে বলা না হলেও ধারণা করা হয়- আরব অঞ্চলের ইসলামি সংগঠনগুলোর প্রতি সমর্থন দেয়া ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কাতার।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দেশগুলো বলছে, কাতার সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, ফিলিস্তিনের স্বাধনীতাকামী ইসলামি সংগঠন হামাস ও মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মতো সংগঠনগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে এবং এসব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।
মারোয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যখন সৌদি আরব সফর করেন তখন তিনি কী উদ্দেশ্যে সফর করছেন সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেন নি। বিষয়টি নিয়ে কুয়েত ও সুদান মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে বলেও জানান সৌদি কূটনীতিক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ইস্যুটি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ সৌদি রাজা ও পাক প্রধানমন্ত্রী দু জনই এখন পবিত্র মক্কায় অবস্থান করছেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতার উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখেন নি সৌদি রাজা সালমান। বৈঠকের সময় তিনি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বাদ দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন, চলমান সংকটে ইসলামাবাদ সৌদি আরবের পক্ষে নাকি কাতারের পক্ষে। সে সময় তিনি আরো বলেছেন, “চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এ সংগ্রাম এবং তা সমস্ত মুসলমান ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।”
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সৃষ্ট সংকটে পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করার উদ্যোগের কথা সাধারণত স্বীকার করতে চায় না সৌদি আরব। গত বছর শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ শেখ নিম্র আন-নিমরের অন্যায় ফাঁসির পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় পাকিস্তান মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছিল। এজন্য পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ইরান ও সৌদি আরব সফর করেন। এর পরপরই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের দ্রুত পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কথা অস্বীকার করেন।
পাকিস্তানের এই মধ্যস্থতার উদ্যোগকে কেন সৌদি আরব বার বার অস্বীকার করে- এখন সে প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন- আঞ্চলিক যেকোনো সংকটে সৌদি আরব পাকিস্তানকে নিজের পাশে দেখতে চায় যা নওয়াজ শরীফের গত সপ্তাহের সফরের সময় রাজা সালমান অনেকটা খোলামেলা বলেই ফেলেছেন। এ কারণে পাকিস্তানকে তারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় না দেখে সরাসরি নিজের পক্ষে পেতে চায় এবং এজন্য সৌদি আরব বার বার পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কথা অস্বীকার করছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামরিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব বিপুল অর্থ দিয়ে আসছে। এর বিনিময়ে পাকিস্তান খানিকটা অঘোষিতভাবে সৌদি আরবের নিরাপত্তার দিকটি দেখে থাকে। কিন্তু নওয়াজ শরীফ এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সে অবস্থান হতে ধীরে ধীরে সরে আসার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে সৌদি আরবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইয়েমেন যুদ্ধে সেনা পাঠায় নি পাকিস্তান। এছাড়া, সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত সামরিক জোটেও পাকিস্তান যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় নি। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অঙ্গনে, জাতীয় সংসদে ও গণমাধ্যমে প্রবল বিরোধিতা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে সৌদি দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন নি যে, তিনি মধ্যস্থতা করছেন।” একজন দোভাষীর মাধ্যমে মারোয়ান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মধ্যস্থতার বিষয়ে দেশটির গণমাধ্যমে যে খবর বের হয়েছে তা অসত্য; বিষয়টি সঠিক নয়।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ একদিনের জন্য জেদ্দা সফর করেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ।
সৌদি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের বক্তব্যে পাক প্রধানমন্ত্রী বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যস্থতা মিশনে বের হওয়ার আগে পাক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ নওয়াজ শরীফ আজ সৌদি আরব সফর করবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি কূটনীতিক বলেন, ২০১৪ সালে কাতার ও পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তি দোহা বার বার লঙ্ঘন করায় চলমান সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ওই চুক্তিতে কী ছিল তা প্রকাশ্যে বলা না হলেও ধারণা করা হয়- আরব অঞ্চলের ইসলামি সংগঠনগুলোর প্রতি সমর্থন দেয়া ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কাতার।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দেশগুলো বলছে, কাতার সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, ফিলিস্তিনের স্বাধনীতাকামী ইসলামি সংগঠন হামাস ও মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মতো সংগঠনগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে এবং এসব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।
মারোয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যখন সৌদি আরব সফর করেন তখন তিনি কী উদ্দেশ্যে সফর করছেন সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেন নি। বিষয়টি নিয়ে কুয়েত ও সুদান মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে বলেও জানান সৌদি কূটনীতিক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ইস্যুটি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ সৌদি রাজা ও পাক প্রধানমন্ত্রী দু জনই এখন পবিত্র মক্কায় অবস্থান করছেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতার উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখেন নি সৌদি রাজা সালমান। বৈঠকের সময় তিনি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বাদ দিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন, চলমান সংকটে ইসলামাবাদ সৌদি আরবের পক্ষে নাকি কাতারের পক্ষে। সে সময় তিনি আরো বলেছেন, “চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এ সংগ্রাম এবং তা সমস্ত মুসলমান ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।”
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সৃষ্ট সংকটে পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করার উদ্যোগের কথা সাধারণত স্বীকার করতে চায় না সৌদি আরব। গত বছর শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ শেখ নিম্র আন-নিমরের অন্যায় ফাঁসির পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় পাকিস্তান মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছিল। এজন্য পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ইরান ও সৌদি আরব সফর করেন। এর পরপরই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের দ্রুত পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কথা অস্বীকার করেন।
পাকিস্তানের এই মধ্যস্থতার উদ্যোগকে কেন সৌদি আরব বার বার অস্বীকার করে- এখন সে প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন- আঞ্চলিক যেকোনো সংকটে সৌদি আরব পাকিস্তানকে নিজের পাশে দেখতে চায় যা নওয়াজ শরীফের গত সপ্তাহের সফরের সময় রাজা সালমান অনেকটা খোলামেলা বলেই ফেলেছেন। এ কারণে পাকিস্তানকে তারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় না দেখে সরাসরি নিজের পক্ষে পেতে চায় এবং এজন্য সৌদি আরব বার বার পাকিস্তানের মধ্যস্থতার কথা অস্বীকার করছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামরিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব বিপুল অর্থ দিয়ে আসছে। এর বিনিময়ে পাকিস্তান খানিকটা অঘোষিতভাবে সৌদি আরবের নিরাপত্তার দিকটি দেখে থাকে। কিন্তু নওয়াজ শরীফ এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সে অবস্থান হতে ধীরে ধীরে সরে আসার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে সৌদি আরবের ডাকে সাড়া দিয়ে ইয়েমেন যুদ্ধে সেনা পাঠায় নি পাকিস্তান। এছাড়া, সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত সামরিক জোটেও পাকিস্তান যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় নি। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অঙ্গনে, জাতীয় সংসদে ও গণমাধ্যমে প্রবল বিরোধিতা রয়েছে।
No comments