তামিমকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়
উল্লাপাড়ার
বহুল আলোচিত শিশু তামিমকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
উল্লাপাড়ার চকপাঙ্গাশী গ্রামের সোলেমান হোসেনের ছেলে তামিম (৭)গত ১০ই
ফেব্রুয়ারি খুন হয়। পরদিন নরসিংহপাড়া গ্রামের পাশের মাঠে একটি সরিষার গাদার
ভেতর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তামিম নরসিংহপাড়া গ্রামে তার নানা
রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি থেকে বের
হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তামিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সাচ্চু বিশ্বাস জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত নরসিংহপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান, তার ছেলে ফিরোজউদ্দিন ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলামের আদালতে সোমবার ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, হাফিজুল সন্ধ্যায় তামিমকে তার নানার বাড়ি থেকে ডেকে আবদুুল মান্নানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজুল তামিমের গলায় গামছা পেঁচায়। এ সময় মান্নান ও তার ছেলে ফিরোজ মিলে দুই দিক থেকে গামছা টেনে তামিমকে হত্যা করে। হত্যার সময় তামিমের মুখও গামছা দিয়ে বাঁধা হয়। পরে তারা গভীর রাতে লাশ বাড়ির অদূরে সরিষার গাদার মধ্যে ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়। জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও হাসানুর রহমান হাসুর দলের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি খুন হন। এই ঘটনায় জহুরুল ইসলামের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় হাসানুর রহমানের দলের ৫২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তামিম হত্যা মামলার বাদী তামিমের নানা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন, জহুরুল ইসলাম সংঘর্ষের জের ধরে তার গ্রামের বিপক্ষ দলকে ফাঁসানোর জন্য নিজের লোকজন দিয়ে শিশু তামিমকে হত্যা করিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাচ্চু বিশ্বাস জানান, তামিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আরো কয়েকজন জড়িত। তবে গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শিগগিরই তামিম হত্যার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাচ্চু বিশ্বাস।
তামিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সাচ্চু বিশ্বাস জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত নরসিংহপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান, তার ছেলে ফিরোজউদ্দিন ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলামের আদালতে সোমবার ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, হাফিজুল সন্ধ্যায় তামিমকে তার নানার বাড়ি থেকে ডেকে আবদুুল মান্নানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজুল তামিমের গলায় গামছা পেঁচায়। এ সময় মান্নান ও তার ছেলে ফিরোজ মিলে দুই দিক থেকে গামছা টেনে তামিমকে হত্যা করে। হত্যার সময় তামিমের মুখও গামছা দিয়ে বাঁধা হয়। পরে তারা গভীর রাতে লাশ বাড়ির অদূরে সরিষার গাদার মধ্যে ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়। জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও হাসানুর রহমান হাসুর দলের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি খুন হন। এই ঘটনায় জহুরুল ইসলামের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় হাসানুর রহমানের দলের ৫২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তামিম হত্যা মামলার বাদী তামিমের নানা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন, জহুরুল ইসলাম সংঘর্ষের জের ধরে তার গ্রামের বিপক্ষ দলকে ফাঁসানোর জন্য নিজের লোকজন দিয়ে শিশু তামিমকে হত্যা করিয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাচ্চু বিশ্বাস জানান, তামিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আরো কয়েকজন জড়িত। তবে গ্রেপ্তারের স্বার্থে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শিগগিরই তামিম হত্যার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাচ্চু বিশ্বাস।
No comments