কর দিতে নগরবাসীর ভোগান্তি
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে সময়মতো কর পরিশোধের বই না পাওয়ায় নগরবাসী নিজেদের সুবিধামতো ব্যাংকে কর দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে কর দিতে হচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মধ্যে হোল্ডিং কর পরিশোধ করলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নগরবাসীকে মোট পরিশোধযোগ্য অর্থের ১০ শতাংশ ছাড় দেয়। প্রতিবছর জুলাই মাস থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি কর পরিশোধের বই পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন। সেই বই নিয়ে নগরবাসী সুবিধামতো তাঁদের বাড়ির পাশের ব্যাংকে গিয়ে জমা দেন। কিন্তু এবার দুই সিটি করপোরেশনের কোনোটিই সময়মতো বই সরবরাহ করেনি। ফলে নগরবাসী যে দুর্ভোগে পড়েছেন, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, কর পরিশোধের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এখনো অনেকেই সিটি করপোরেশনের বই পাননি। ঝামেলা এড়াতে অনেকে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে গিয়ে কর দিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ভাংতি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না, বাকি টাকা ‘বকশিশ’ হিসেবে রেখে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নগরবাসীর এই ভোগান্তি দূর করতে দুই সিটি করপোরেশনের উচিত যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের কাছে কর পরিশোধের বই পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য এখনই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া যেসব করদাতা নগরবাসীর কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য হলে অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। উভয় সিটি করপোরেশন আগামী বছর থেকে অনলাইনে কর পরিশোধের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে; এটা অবশ্যই করা দরকার। তবে চলতি অর্থবছরের কর পরিশোধের ভোগান্তি দূর করার উদ্যোগও জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে। নগরবাসী কর দিতে চান—সিটি করপোরেশনের উচিত সমাদরের সঙ্গে সেই কর গ্রহণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; উল্টো তাঁদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা নয়।
No comments