হিলারির অন্য রকম সংবাদ সম্মেলন
মঞ্চ, মাইক্রোফোন, সাংবাদিকদের উপস্থিতি, অনেক প্রশ্ন—সবই ছিল। ঘটনাস্থল নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দর। পুরোনো ঐতিহ্য মেনেই গত বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হলেন হিলারি ক্লিনটন। আর তাঁকে দেখেও মনে হচ্ছিল, ভুলে গেছেন, ওটা সংবাদ সম্মেলন। একটা উড়োজাহাজের সামনে দাঁড়ালেন। সেই আকাশযানের গায়ে একটা বড় ‘এইচ’ অক্ষর, সঙ্গে লাল তির চিহ্ন। এটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি হিলারির নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের লোগো। শুরু হলো সংবাদ সম্মেলন। হিলারি সমালোচনা করলেন প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভীতিজাগানিয়া’ ভাবনাচিন্তার। বললেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের পরিকল্পনার কথা। শেষ প্রশ্নটার জবাব দিলেন বিমানের সিঁড়িতে পা রাখার আগে। খুব অসাধারণ কিছু সেদিন ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার এখন চলছে শেষ ধাপ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিতে হিলারির অনীহার বিষয়টি নিয়ে শোরগোল আছে যথেষ্ট। সমালোচকেরা বলেন, স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে বলেই তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চান না। আর রাজনীতির প্রতি তাঁর মনোভাব নাকি খুবই শীতল এবং হিসাব করা।
হিলারি টানা কত দিন সংবাদ সম্মেলন থেকে দূরে ছিলেন, সেই হিসাবও আছে তাঁর বিরোধীদের কাছে। ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান পার্টি এ ব্যাপারে বেশ সরব। হিলারির ই-মেইল বিতর্কের বিষয়টিও সামনে এনে তাঁরা ফায়দা লুটতে চাইছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি একটি ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ই-মেইল আদান-প্রদানের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছেন। হয়তো সে কারণেই চলতি সপ্তাহে দু-দুটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি। নির্বাচনী প্রচারকাজে তাঁর উড়োজাহাজে ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন জনা চল্লিশেক সাংবাদিকও। তাঁদের প্রশ্নগুলোর উত্তরও হিলারি দিয়েছেন বিশদভাবে। এসবের মধ্যে ছিল কূটনীতি, অর্থনীতি, বিতর্ক ইত্যাদি নানা বিষয়ের জিজ্ঞাসা। তিনি হোয়াইট হাউসের জন্য নির্বাচিত হলে তাঁর মেয়ে চেলসি কি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন? হিলারির জবাব, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই সেই ফয়সালা হবে। রাশিয়ানরা কি ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে সাহায্য করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে হিলারি আরকানসাসে দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন: ‘যদি কোনো কচ্ছপকে বেড়ার কাছে দেখতে পান, বুঝে নেবেন, ওটা দুর্ঘটনাক্রমে সেখানে পৌঁছায়নি।’ রুশ হ্যাকারদের সাইবার চুরি সম্পর্কে হিলারি বলেন, ট্রাম্প মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই এটা ঘটেছে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো অভিসন্ধি থাকতে পারে।
হিলারি টানা কত দিন সংবাদ সম্মেলন থেকে দূরে ছিলেন, সেই হিসাবও আছে তাঁর বিরোধীদের কাছে। ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান পার্টি এ ব্যাপারে বেশ সরব। হিলারির ই-মেইল বিতর্কের বিষয়টিও সামনে এনে তাঁরা ফায়দা লুটতে চাইছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি একটি ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ই-মেইল আদান-প্রদানের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছেন। হয়তো সে কারণেই চলতি সপ্তাহে দু-দুটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি। নির্বাচনী প্রচারকাজে তাঁর উড়োজাহাজে ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন জনা চল্লিশেক সাংবাদিকও। তাঁদের প্রশ্নগুলোর উত্তরও হিলারি দিয়েছেন বিশদভাবে। এসবের মধ্যে ছিল কূটনীতি, অর্থনীতি, বিতর্ক ইত্যাদি নানা বিষয়ের জিজ্ঞাসা। তিনি হোয়াইট হাউসের জন্য নির্বাচিত হলে তাঁর মেয়ে চেলসি কি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন? হিলারির জবাব, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই সেই ফয়সালা হবে। রাশিয়ানরা কি ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে সাহায্য করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে হিলারি আরকানসাসে দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন: ‘যদি কোনো কচ্ছপকে বেড়ার কাছে দেখতে পান, বুঝে নেবেন, ওটা দুর্ঘটনাক্রমে সেখানে পৌঁছায়নি।’ রুশ হ্যাকারদের সাইবার চুরি সম্পর্কে হিলারি বলেন, ট্রাম্প মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই এটা ঘটেছে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো অভিসন্ধি থাকতে পারে।
No comments