সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ভিন্ন পথ by আরিফ চৌধুরী
তাঁরা বলেন, বাংলাদেশিরা একে অপরের কাছ থেকে স্রেফ দুই পা দূরে। গত ১ জুলাই এই বাস্তবতা অত্যন্ত করুণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। হলি আর্টিজান বেকারি এমন একটা জায়গা, যেখানে প্রবাসীরা গৃহকাতরতা কাটাতে নানা রকম খাবারদাবারের মধ্যে ডুব দিয়ে থাকেন। আমার চাচাতো ও মামাতো ভাইয়েরাও সেখানে যায়। ২০১১ সালে আমি যখন শেষবার বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, তখন সেখানে অনুষ্ঠিত এক জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম। গত ১ জুলাই রমজান মাসের একদম শেষ প্রান্তে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত কয়েকজন সন্ত্রাসী ঠিক করল, একসঙ্গে অনেকজনকে হত্যা করার জন্য এটিই সবচেয়ে ভালো জায়গা, যার মধ্য দিয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করা সম্ভব। আমার অনেক আত্মীয়স্বজনই ইফতারের জন্য গুলশানের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যান। ফলে এই সংবাদ শোনার পর আমাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। যদিও আমরা জানতে পারলাম, তাঁরা ভালো আছেন। কিন্তু আমরা জানতে পারলাম, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত তিনজন ছাত্র সেখানে মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ইমোরির দুজন ছাত্র ছিলেন, যাঁরা আবার আমাদের পারিবারিক বন্ধু। হ্যাঁ, স্রেফ দুই পা দূরের মানুষই বটে।
সম্প্রতি পুলিশের এই অভিযানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক ও এই আক্রমণের সন্দেহভাজন হোতা মারা গেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আরও কয়েক বছর হয়তো এই জঘন্য সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংঘাত চলবে। ব্লগার, কর্মী, সাংবাদিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিয়া, সমকামী গোষ্ঠীর মানুষেরা এসব হামলার সম্মুখীন হতেন। এমনকি সাংস্কৃতিক তৎপরতা চালানোর জন্য একজন মুসলিম অধ্যাপককেও হত্যা করা হয়েছে, যাঁদের অনেককে একদম দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা খুবই বিরল ছিল। হলি আর্টিজানের ঘটনাই দেশে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হলো। একইভাবে এতেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন যে এই হামলাকারীদের সবাই উচ্চশিক্ষিত, যারা সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবারের সদস্য। এই হামলাকারীরা আসলেই আইএস, নাকি দেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, এর মধ্য দিয়ে আমরা এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম: সহিংস সন্ত্রাসবাদ এক সংকট, যেটা বাংলাদেশ অগ্রাহ্য করতে পারে না। যে দেশ ব্যাপক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে, সে দেশে সহিংসতা নতুন বিষয় নয়। এমনকি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পরও সময়-সময় রাজনৈতিক সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধকরণ ও ধরপাকড়ের কারণে দলটির কর্মী ও সমমনা চরমপন্থী দলের কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ সংগ্রাম করেছেন, যাঁদের একটি অংশ আবার রাষ্ট্র ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে সহিংসতা চালিয়েছে। তার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অতি উৎসাহ এবং সুযোগসন্ধানী আচরণ ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের নির্যাতনের কারণে দেশে ব্যাপক মেরুকরণ ঘটেছে। একই সঙ্গে, মানুষের মন কঠিন হয়ে উঠেছে। আবার এদের মধ্যকার আরও ক্ষুদ্র একটা অংশ রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে উগ্রপন্থী হয়ে যাচ্ছে। কট্টর জঙ্গি মনোভাবাপন্ন সংগঠনে যোগ দিয়ে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আলজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়ও বিষয়টি দেখা গেছে। আর বর্তমানে মিসরের সিসিও একই ভুল করছেন। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার ক্ষমতা ও তাদের বাজেট বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে একটা নিরাপত্তা রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। এর বদলে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক পুনর্বাসন, নাগরিক সমাজ ও তৃণমূল পর্যায়ের জন্য সুনির্দিষ্ট সমাধান প্রস্তাব করলে ভালো ফল আসবে। অ্যান্টি-টেররিজম অ্যান্ড কাউন্টার এক্সট্রিমিজম ইন বাংলাদেশ: ফ্রম পলিসি টু গ্রাসরুটস অ্যাক্টিভিজম শীর্ষক তুলনামূলক জুরিস্ট পলিসি পেপারে এ-বিষয়ক সুপারিশ করা হয়েছে।
গত কয়েক দশকে মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত বেড়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বের যে মুসলিম নাগরিকেরা এসবে আক্রান্ত হননি, তাঁদের মধ্যেও চরমপন্থা-প্রভাবিত সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিত্বের বিস্তার ঘটছে। গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই দেখা গেল, যেকোনো শিক্ষায় শিক্ষিত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বর্গের মানুষই উগ্রপন্থায় আক্রান্ত হতে পারে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশ এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। একইভাবে অনেক ইউরোপীয় দেশ বিদেশে এসব যুদ্ধফেরত নাগরিকদের জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। কথা হচ্ছে, অধিকাংশ মুসলিম দেশই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করে আইন দিয়ে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী এদের হয় ফাঁসি দেওয়া হয়, না হয় দণ্ড দেওয়া হয়। তবে কিছু কিছু দেশ জঙ্গিদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছে, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট নাগরিকদের মন থেকে চরমপন্থী আদর্শ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। সৌদি আরব পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কট্টর কিছু সন্ত্রাসবিরোধী আইন করলেও তাদের ‘কেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ (সিআরসি) নামে একটি পুনর্বাসনকেন্দ্র রয়েছে। এর মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত মানুষের ‘ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পরিবর্তনের’ চেষ্টা করা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে, এমনটা একটা পরিবেশ তৈরি করা, যাতে পরবর্তীকালে ‘বন্দীরা সহিংসতা করতে’ প্ররোচিত না হয়।
সম্প্রতি পুলিশের এই অভিযানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক ও এই আক্রমণের সন্দেহভাজন হোতা মারা গেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও আরও কয়েক বছর হয়তো এই জঘন্য সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংঘাত চলবে। ব্লগার, কর্মী, সাংবাদিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিয়া, সমকামী গোষ্ঠীর মানুষেরা এসব হামলার সম্মুখীন হতেন। এমনকি সাংস্কৃতিক তৎপরতা চালানোর জন্য একজন মুসলিম অধ্যাপককেও হত্যা করা হয়েছে, যাঁদের অনেককে একদম দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা খুবই বিরল ছিল। হলি আর্টিজানের ঘটনাই দেশে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হলো। একইভাবে এতেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন যে এই হামলাকারীদের সবাই উচ্চশিক্ষিত, যারা সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবারের সদস্য। এই হামলাকারীরা আসলেই আইএস, নাকি দেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, এর মধ্য দিয়ে আমরা এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম: সহিংস সন্ত্রাসবাদ এক সংকট, যেটা বাংলাদেশ অগ্রাহ্য করতে পারে না। যে দেশ ব্যাপক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে, সে দেশে সহিংসতা নতুন বিষয় নয়। এমনকি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পরও সময়-সময় রাজনৈতিক সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধকরণ ও ধরপাকড়ের কারণে দলটির কর্মী ও সমমনা চরমপন্থী দলের কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ সংগ্রাম করেছেন, যাঁদের একটি অংশ আবার রাষ্ট্র ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে সহিংসতা চালিয়েছে। তার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অতি উৎসাহ এবং সুযোগসন্ধানী আচরণ ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের নির্যাতনের কারণে দেশে ব্যাপক মেরুকরণ ঘটেছে। একই সঙ্গে, মানুষের মন কঠিন হয়ে উঠেছে। আবার এদের মধ্যকার আরও ক্ষুদ্র একটা অংশ রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে উগ্রপন্থী হয়ে যাচ্ছে। কট্টর জঙ্গি মনোভাবাপন্ন সংগঠনে যোগ দিয়ে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আলজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়ও বিষয়টি দেখা গেছে। আর বর্তমানে মিসরের সিসিও একই ভুল করছেন। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার ক্ষমতা ও তাদের বাজেট বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে একটা নিরাপত্তা রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। এর বদলে নিরাপত্তা, রাজনৈতিক পুনর্বাসন, নাগরিক সমাজ ও তৃণমূল পর্যায়ের জন্য সুনির্দিষ্ট সমাধান প্রস্তাব করলে ভালো ফল আসবে। অ্যান্টি-টেররিজম অ্যান্ড কাউন্টার এক্সট্রিমিজম ইন বাংলাদেশ: ফ্রম পলিসি টু গ্রাসরুটস অ্যাক্টিভিজম শীর্ষক তুলনামূলক জুরিস্ট পলিসি পেপারে এ-বিষয়ক সুপারিশ করা হয়েছে।
গত কয়েক দশকে মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত বেড়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বের যে মুসলিম নাগরিকেরা এসবে আক্রান্ত হননি, তাঁদের মধ্যেও চরমপন্থা-প্রভাবিত সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিত্বের বিস্তার ঘটছে। গুলশান হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই দেখা গেল, যেকোনো শিক্ষায় শিক্ষিত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বর্গের মানুষই উগ্রপন্থায় আক্রান্ত হতে পারে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশ এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। একইভাবে অনেক ইউরোপীয় দেশ বিদেশে এসব যুদ্ধফেরত নাগরিকদের জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। কথা হচ্ছে, অধিকাংশ মুসলিম দেশই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করে আইন দিয়ে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী এদের হয় ফাঁসি দেওয়া হয়, না হয় দণ্ড দেওয়া হয়। তবে কিছু কিছু দেশ জঙ্গিদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছে, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট নাগরিকদের মন থেকে চরমপন্থী আদর্শ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। সৌদি আরব পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কট্টর কিছু সন্ত্রাসবিরোধী আইন করলেও তাদের ‘কেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ (সিআরসি) নামে একটি পুনর্বাসনকেন্দ্র রয়েছে। এর মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত মানুষের ‘ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পরিবর্তনের’ চেষ্টা করা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে, এমনটা একটা পরিবেশ তৈরি করা, যাতে পরবর্তীকালে ‘বন্দীরা সহিংসতা করতে’ প্ররোচিত না হয়।
তাদের কাউন্সেলিং করা হয়। সৌদি আরবের মতো ডেনমার্কও একটি পুনর্বাসনকেন্দ্র করেছে, যেখানে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো সাধারণত শাস্তি দিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে চায়। বাংলাদেশে চরমপন্থা দূর করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি চালু করা হলে দেশটির ভারাক্রান্ত বিচার বিভাগ কিছুটা রেহাই পাবে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার কারাগারে মুসলিম জঙ্গিদের সাধারণ কয়েদিদের থেকে আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, কারা কর্মীদের এই সক্ষমতা নেই যে তাঁরা সেলের ভেতরে উগ্রপন্থার বিস্তার ঠেকাতে পারেন। এই চরমপন্থা দূরীকরণের কর্মসূচি থাকলে জঙ্গিরা যেমন নিজেদের অস্ত্রে ধার দেওয়ার সুযোগ পায় না, তেমনি সাধারণ কয়েদিরাও এদের খপ্পরে পড়ে না। সহিংস চরমপন্থা ও রাজনৈতিক সহিংসতার সহজ সমাধান নেই। রাতারাতি এর সমাধান করা সম্ভব নয়। এসব নজির দেওয়ার লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশকে এ লক্ষ্যে জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানের রসদ দেওয়া। এটা করতে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সন্ত্রাসী হামলায় সারা বিশ্বই কেঁপে উঠছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা আইএস, আল-কায়েদা ও অন্য মুসলিমবিরোধী, অনৈসলামিক সন্ত্রাসীদের পরাভূত করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন পোর্টাল হাফিংটন পোস্ট থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন।
আরিফ চৌধুরী: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন গবেষক।
আরিফ চৌধুরী: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন গবেষক।
No comments