তিনি আজ এতটাই প্রাসঙ্গিক
গতকাল ছিল শেখ কামালের জন্মদিন। আর এ মাসেরই ১৫ তারিখে তার মৃত্যুদিবস। ঘাতকদের পৈশাচিকতায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সপরিবারে নিহতের একজন তিনি। একদিন তমসাচ্ছন্ন সমাজে কুসংস্থার প্রোথিত হয়েছিল ব্যাপকভাবে। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের কামাল ভাই। পাকিস্তানিদের দ্বারা সুকৌশলে ধর্মীয়ভাবে বিভাজিত সমাজে যারা ধর্মের আবরণে অধর্মের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে সেই সময় যে তরুণ শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন, তিনি আমাদের কামাল ভাই। অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতির গৌরবময় ঐতিহ্য ধরে রাখার নিত্য প্রয়াসে কামাল ভাই ছিলেন তৎপর, সচেতন। তার সেই ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা আজকের দিনে বড়ই প্রাসঙ্গিক। অসামান্য মেধা ও অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে পিতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কামাল ভাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশ গড়ার কাজে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। সব সময় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের দিকনির্দেশনা দিতেন। দেশ, দেশের মানুষ, রাজনীতি নিয়ে তার ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা দেখে অবাক হতাম আর মনে মনে বলতাম, জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন এক কথায় অলরাউন্ডার। কোথায় ছিলেন না তিনি? ছিলেন রাজনীতির মাঠে, খেলার মাঠে, গানের আসরে, নাটকের মঞ্চে, সেতারের সুরে, মানবতায়-মহানুভবতায়।
এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতিতে তার অবদান অতুলনীয়। তার চেষ্টার ফলেই বদলে গিয়েছিল ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ বিভিন্ন খেলাধুলা। তিনি ভালো ক্রিকেট খেলতেন। ফাস্ট বোলার ছিলেন তিনি। আবার এসএম হল বাস্কেটবল টিমেরও ক্যাপ্টেন ছিলেন। আবাহনী ক্রীড়া চক্র তারই হাতে গড়া। শুধু কি খেলাধুলা, স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলা গানে নতুন ধারার সৃষ্টি করেছিলেন। দেশে পপ সঙ্গীতের সূচনা হয়েছিল তারই হাত ধরে। পাকিস্তান আমলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতাকে হিন্দুয়ানির তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কামাল ভাই এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারেননি। যার রক্তের মাঝে আছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, তিনি কীভাবে এরকম সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন? রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিস্তারে তিনি শিল্পীদের নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। পাকিস্তানপন্থীরা এদেশ থেকে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে দেয়ার যতই চেষ্টা চালিয়েছে, কামাল ভাইয়ের নেতৃত্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত ততই মানুষের মননে আরও গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। বাঙালি মানসে অসাম্প্রদায়িকতার সূর্যরশ্মিকে আরও তীক্ষ্ণভাবে বিচ্ছুরিত করা হয়েছে। কামাল ভাই গানে, কবিতায়, বিতর্কে, ভাষণে- সব ক্ষেত্রেই লালন করতেন অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা, ছড়িয়ে দিতেন তার বাণী। আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনিন্দ্যসুন্দর জীবনপথের দিশারী হতে পারে সেই বাণী। ‘নাট্যচক্র’ নামের একটি মঞ্চনাটক সংগঠনের তিনি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন কলকাতাতেও। এরকম আরও নানা ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল কামাল ভাইয়ের। সব বিষয়েই তার অসামান্য দক্ষতার প্রদর্শন দেখে অবাক হয়ে ভাবতাম, একজন মানুষের পক্ষে কীভাবে এত কিছুতে পারদর্শী হওয়া সম্ভব? পরক্ষণেই মনে হতো, হ্যাঁ কেবল তার পক্ষেই সম্ভব। তিনি নিজে যেমন এসবের মাঝে যুক্ত ছিলেন, তেমনি আমাদেরও এসবের মাঝে জড়িয়েছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষকে মানবিক করে তোলে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঋদ্ধ করে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার প্রবল আগ্রহ থাকলেও তিনি কখনও তারুণ্যের উচ্ছলতায় নিষিদ্ধ জগতে পা বাড়াননি, যদিও সেই বয়সে সেটা তেমন অস্বাভাবিক ছিল না। সামাজিক মূল্যবোধ, চেতনা তার অন্তরে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল। তাই তিনি কখনও ভুল পথে নিজেকে পরিচালিত করেননি। এর প্রমাণ আমরা দেখি পূর্ব জামানিতে এক সফরে। আমরা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের একটি দল বিশ্ব যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বার্লিনে গিয়েছিলাম। সেই দলের নেতা ছিলেন কামাল ভাই। আমরা যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, ‘যে দেশে যাচ্ছিস, সেটা অবাধ বিচরণের দেশ। মদ ও নারী ওখানে অহরহ। তোরা আমার হাত ধরে প্রতিজ্ঞা কর যে তোরা এসবের কাছে যাবি না। তোদের সামাজিক মূল্যবোধ ওখানে গিয়ে নষ্ট করিস না। আর কামাল তুই ভুলে যাসনে তুই কার সন্তান।’ বঙ্গবন্ধুর কাছে করা সেই প্রতিজ্ঞা আমরা পালন করেছিলাম। কামাল ভাই এ বিষয়ে ছিলেন সদা সতর্ক। তিনি আমাদের বারবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রেই আমি কামাল ভাইয়ের মাঝে বাঙালির সামাজিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি, নৈতিকতা খুঁজে পেয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক উগ্রতা নয়, সাংস্কৃতিক সৌম্যের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করে তুলেছিলেন কামাল ভাই।
তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক এক যোদ্ধা। পাকিস্তানি হানাদাররা যখন এদেশে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল, তখন কামাল ভাই চুপচাপ নিরাপদ জীবন বেছে নেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান। তারই মতো দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্র“ হননের কাজে, দেশমাতৃকাকে পবিত্র রাখবেন বলে। তিনি বীরদর্পে সম্মুখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে। সেই দেশপ্রেমিক যোদ্ধা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন, পথ দেখিয়েছিলেন। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজকে। পাকিস্তানিরা আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে রুদ্ধ করে যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল, তাকেই নাকচ করে দিয়েছিলেন আমাদের কামাল ভাই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করে সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজ যখন বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে, ধর্মান্ধরা যখন মানুষ নিধনের খেলায় মত্ত হয়ে পুরো বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, তখন আমাদের কামাল ভাইয়ের অসাম্প্রদায়িক সেই মানসকে ধারণ করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
বাহালুল মজনুন চুন্নু : সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতিতে তার অবদান অতুলনীয়। তার চেষ্টার ফলেই বদলে গিয়েছিল ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ বিভিন্ন খেলাধুলা। তিনি ভালো ক্রিকেট খেলতেন। ফাস্ট বোলার ছিলেন তিনি। আবার এসএম হল বাস্কেটবল টিমেরও ক্যাপ্টেন ছিলেন। আবাহনী ক্রীড়া চক্র তারই হাতে গড়া। শুধু কি খেলাধুলা, স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাংলা গানে নতুন ধারার সৃষ্টি করেছিলেন। দেশে পপ সঙ্গীতের সূচনা হয়েছিল তারই হাত ধরে। পাকিস্তান আমলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতাকে হিন্দুয়ানির তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কামাল ভাই এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারেননি। যার রক্তের মাঝে আছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, তিনি কীভাবে এরকম সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন? রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিস্তারে তিনি শিল্পীদের নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। পাকিস্তানপন্থীরা এদেশ থেকে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে দেয়ার যতই চেষ্টা চালিয়েছে, কামাল ভাইয়ের নেতৃত্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত ততই মানুষের মননে আরও গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। বাঙালি মানসে অসাম্প্রদায়িকতার সূর্যরশ্মিকে আরও তীক্ষ্ণভাবে বিচ্ছুরিত করা হয়েছে। কামাল ভাই গানে, কবিতায়, বিতর্কে, ভাষণে- সব ক্ষেত্রেই লালন করতেন অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা, ছড়িয়ে দিতেন তার বাণী। আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনিন্দ্যসুন্দর জীবনপথের দিশারী হতে পারে সেই বাণী। ‘নাট্যচক্র’ নামের একটি মঞ্চনাটক সংগঠনের তিনি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন কলকাতাতেও। এরকম আরও নানা ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল কামাল ভাইয়ের। সব বিষয়েই তার অসামান্য দক্ষতার প্রদর্শন দেখে অবাক হয়ে ভাবতাম, একজন মানুষের পক্ষে কীভাবে এত কিছুতে পারদর্শী হওয়া সম্ভব? পরক্ষণেই মনে হতো, হ্যাঁ কেবল তার পক্ষেই সম্ভব। তিনি নিজে যেমন এসবের মাঝে যুক্ত ছিলেন, তেমনি আমাদেরও এসবের মাঝে জড়িয়েছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষকে মানবিক করে তোলে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঋদ্ধ করে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার প্রবল আগ্রহ থাকলেও তিনি কখনও তারুণ্যের উচ্ছলতায় নিষিদ্ধ জগতে পা বাড়াননি, যদিও সেই বয়সে সেটা তেমন অস্বাভাবিক ছিল না। সামাজিক মূল্যবোধ, চেতনা তার অন্তরে গভীরভাবে প্রোথিত ছিল। তাই তিনি কখনও ভুল পথে নিজেকে পরিচালিত করেননি। এর প্রমাণ আমরা দেখি পূর্ব জামানিতে এক সফরে। আমরা ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের একটি দল বিশ্ব যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বার্লিনে গিয়েছিলাম। সেই দলের নেতা ছিলেন কামাল ভাই। আমরা যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, ‘যে দেশে যাচ্ছিস, সেটা অবাধ বিচরণের দেশ। মদ ও নারী ওখানে অহরহ। তোরা আমার হাত ধরে প্রতিজ্ঞা কর যে তোরা এসবের কাছে যাবি না। তোদের সামাজিক মূল্যবোধ ওখানে গিয়ে নষ্ট করিস না। আর কামাল তুই ভুলে যাসনে তুই কার সন্তান।’ বঙ্গবন্ধুর কাছে করা সেই প্রতিজ্ঞা আমরা পালন করেছিলাম। কামাল ভাই এ বিষয়ে ছিলেন সদা সতর্ক। তিনি আমাদের বারবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রেই আমি কামাল ভাইয়ের মাঝে বাঙালির সামাজিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি, নৈতিকতা খুঁজে পেয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক উগ্রতা নয়, সাংস্কৃতিক সৌম্যের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করে তুলেছিলেন কামাল ভাই।
তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক এক যোদ্ধা। পাকিস্তানি হানাদাররা যখন এদেশে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল, তখন কামাল ভাই চুপচাপ নিরাপদ জীবন বেছে নেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান। তারই মতো দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্র“ হননের কাজে, দেশমাতৃকাকে পবিত্র রাখবেন বলে। তিনি বীরদর্পে সম্মুখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে। সেই দেশপ্রেমিক যোদ্ধা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন, পথ দেখিয়েছিলেন। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজকে। পাকিস্তানিরা আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে রুদ্ধ করে যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল, তাকেই নাকচ করে দিয়েছিলেন আমাদের কামাল ভাই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করে সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজ যখন বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটছে, ধর্মান্ধরা যখন মানুষ নিধনের খেলায় মত্ত হয়ে পুরো বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, তখন আমাদের কামাল ভাইয়ের অসাম্প্রদায়িক সেই মানসকে ধারণ করা অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
বাহালুল মজনুন চুন্নু : সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
No comments