নারী নির্যাতন রোধে সামাজিক আন্দোলন by রঞ্জন কর্মকার
২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ। বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন এই প্রতিবাদ পক্ষে সারা দেশে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে আছে সমাবেশ, পথসভা, মানববন্ধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাইকেল শোভাযাত্রা, ভ্যান শোভাযাত্রা, পোস্টার ও প্রচারপত্র বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি।
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত বিদ্রোহ করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল—এই তিন বোনকে হত্যা করা হয়। ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৩ সালে মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটি স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ একে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিলোপ দিবসরূপে এবং ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ইভ টিজিং নামের যৌন-সন্ত্রাস একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাটে বখাটে-সন্ত্রাসীদের উত্ত্যক্ত ও হয়রানির শিকার হয়ে অনেক মেয়ের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অপমান-লাঞ্ছনা সইতে না পেরে অনেক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এর প্রতিবাদে যেসব শিক্ষক-অভিভাবক এগিয়ে আসছেন; সন্ত্রাসীরা তাঁদেরও ওপর চড়াও হচ্ছে, তাঁদের হত্যা করছে।
ইভ টিজিং সমস্যা আমাদের সমাজে নতুন ঘটনা নয়। বলা যায়, এটা একটা বহু পুরোনো সামাজিক ব্যাধি। ‘এটা তেমন দোষের কিছু নয়, উঠতি বয়সের চপলতা’—এমন হালকাভাবে দেখার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। অথচ ইভ টিজিং নামের এই উৎপাত মেয়েদের সুস্থ স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত করে। তারা হীনম্মন্যতায় ভোগে, আত্মপ্রত্যয়ী হতে পারে না। লজ্জায় অথবা লোকনিন্দার ভয়ে মেয়েরা নীরবে যুগ যুগ ধরে এটা সহ্য করে এসেছে, উত্ত্যক্তের শিকার হয়েও প্রতিবাদ করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। পরিবার থেকেও কোনো সমর্থন-সহযোগিতা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে কখনো কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে ‘মুক্তি’ পেতে চেয়েছে।
তাই ইভ টিজিং সমস্যাটিকে হালকাভাবে দেখা উচিত নয়। এটা যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের একটি পদ্ধতি। ইভ টিজিং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে জন্যই যৌন-সন্ত্রাসীদের শাস্তি বিধানের জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন। সম্প্রতি ইভ টিজিং বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অনেক অপরাধী শাস্তিও পেয়েছে। তবে অন্যান্য আইনের মতো এই আইনেরও যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।
তবে কেবল আইন দিয়েই এই মারাত্মক সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রয়োজন একধরনের সামাজিক জাগরণ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ ক্ষেত্রে পরিবার তথা অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা মনে করি, কঠোর আইন প্রণয়ন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রতিটি সচেতন নাগরিকের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের সমন্বয়েই সব ধরনের নারী নির্যাতনের অবসান ঘটানো সম্ভব। সমাজের অগ্রসর, বিবেকবান, সুস্থ চিন্তার মানুষের উচিত, সম্মিলিত সামাজিক নিরাপত্তা-জাল তৈরি করা। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ এ নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
ইভ টিজিং প্রতিরোধের প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হবে ঘর থেকেই। এ জন্য পারিবারিকভাবে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদান এবং সমাজে মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার প্রতি নজর দিতে হবে। আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক অনুশাসনগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি, মেয়েদের প্রতি, মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটিয়ে, পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার আন্দোলন গড়ে তুলে তথা সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে কিশোর-তরুণদের অপরাধমূলক ও ক্ষতিকর অপতৎপরতা থেকে দূরে রাখতে হবে।
নারী নির্যাতন বন্ধে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও শক্তিশালী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমাদের দেশে এর বিপরীতটিই লক্ষ করা যায়। অস্বীকার করার উপায় নেই, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সমাজকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে যেমন সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন, তেমনি তাঁদের মাধ্যমে দেশের কিশোর-যুবকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার-আচরণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাও জরুরি। কারণ যৌন হয়রানিসহ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা শুধু সামাজিক ইস্যু নয়, এটি রাজনৈতিক ইস্যুও বটে। নারীরা যখন রাস্তাঘাটে, শিক্ষাঙ্গনে, পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়, তখন প্রগতির চাকা বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সচেতন মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে এগিয়ে আসবে—এটাই আমাদের আশা।
নারী নির্যাতন বন্ধে স্থানীয় পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি বা এনএনপিসি নামে যে কমিটি রয়েছে, তার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিটিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। যখনই যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটবে, তখনই তা লিখিতভাবে এই কমিটিকে জানাতে হবে। তাই আসুন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, বন্ধ করি এবং আইনি সহায়তার জন্য স্থানীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করি। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, রাস্তাঘাট যেখানেই যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতন, সেখানেই প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
রঞ্জন কর্মকার: নির্বাহী পরিচালক, স্টেপস্ টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্ট।
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত বিদ্রোহ করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল—এই তিন বোনকে হত্যা করা হয়। ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৩ সালে মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটি স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ একে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিলোপ দিবসরূপে এবং ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ইভ টিজিং নামের যৌন-সন্ত্রাস একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাটে বখাটে-সন্ত্রাসীদের উত্ত্যক্ত ও হয়রানির শিকার হয়ে অনেক মেয়ের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অপমান-লাঞ্ছনা সইতে না পেরে অনেক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এর প্রতিবাদে যেসব শিক্ষক-অভিভাবক এগিয়ে আসছেন; সন্ত্রাসীরা তাঁদেরও ওপর চড়াও হচ্ছে, তাঁদের হত্যা করছে।
ইভ টিজিং সমস্যা আমাদের সমাজে নতুন ঘটনা নয়। বলা যায়, এটা একটা বহু পুরোনো সামাজিক ব্যাধি। ‘এটা তেমন দোষের কিছু নয়, উঠতি বয়সের চপলতা’—এমন হালকাভাবে দেখার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। অথচ ইভ টিজিং নামের এই উৎপাত মেয়েদের সুস্থ স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত করে। তারা হীনম্মন্যতায় ভোগে, আত্মপ্রত্যয়ী হতে পারে না। লজ্জায় অথবা লোকনিন্দার ভয়ে মেয়েরা নীরবে যুগ যুগ ধরে এটা সহ্য করে এসেছে, উত্ত্যক্তের শিকার হয়েও প্রতিবাদ করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। পরিবার থেকেও কোনো সমর্থন-সহযোগিতা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে কখনো কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে ‘মুক্তি’ পেতে চেয়েছে।
তাই ইভ টিজিং সমস্যাটিকে হালকাভাবে দেখা উচিত নয়। এটা যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের একটি পদ্ধতি। ইভ টিজিং অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে জন্যই যৌন-সন্ত্রাসীদের শাস্তি বিধানের জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন। সম্প্রতি ইভ টিজিং বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অনেক অপরাধী শাস্তিও পেয়েছে। তবে অন্যান্য আইনের মতো এই আইনেরও যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।
তবে কেবল আইন দিয়েই এই মারাত্মক সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এ জন্য প্রয়োজন একধরনের সামাজিক জাগরণ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ ক্ষেত্রে পরিবার তথা অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা মনে করি, কঠোর আইন প্রণয়ন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রতিটি সচেতন নাগরিকের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের সমন্বয়েই সব ধরনের নারী নির্যাতনের অবসান ঘটানো সম্ভব। সমাজের অগ্রসর, বিবেকবান, সুস্থ চিন্তার মানুষের উচিত, সম্মিলিত সামাজিক নিরাপত্তা-জাল তৈরি করা। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত উদ্যোগ এ নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
ইভ টিজিং প্রতিরোধের প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হবে ঘর থেকেই। এ জন্য পারিবারিকভাবে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদান এবং সমাজে মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার প্রতি নজর দিতে হবে। আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক অনুশাসনগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি, মেয়েদের প্রতি, মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটিয়ে, পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার আন্দোলন গড়ে তুলে তথা সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে কিশোর-তরুণদের অপরাধমূলক ও ক্ষতিকর অপতৎপরতা থেকে দূরে রাখতে হবে।
নারী নির্যাতন বন্ধে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও শক্তিশালী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমাদের দেশে এর বিপরীতটিই লক্ষ করা যায়। অস্বীকার করার উপায় নেই, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সমাজকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে যেমন সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন, তেমনি তাঁদের মাধ্যমে দেশের কিশোর-যুবকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার-আচরণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাও জরুরি। কারণ যৌন হয়রানিসহ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা শুধু সামাজিক ইস্যু নয়, এটি রাজনৈতিক ইস্যুও বটে। নারীরা যখন রাস্তাঘাটে, শিক্ষাঙ্গনে, পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়, তখন প্রগতির চাকা বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সচেতন মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে এগিয়ে আসবে—এটাই আমাদের আশা।
নারী নির্যাতন বন্ধে স্থানীয় পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি বা এনএনপিসি নামে যে কমিটি রয়েছে, তার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিটিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। যখনই যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটবে, তখনই তা লিখিতভাবে এই কমিটিকে জানাতে হবে। তাই আসুন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, বন্ধ করি এবং আইনি সহায়তার জন্য স্থানীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করি। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, রাস্তাঘাট যেখানেই যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতন, সেখানেই প্রতিবাদ করি, প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
রঞ্জন কর্মকার: নির্বাহী পরিচালক, স্টেপস্ টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্ট।
No comments