বিশ্বজয়ী বিবার
শুধু পপগায়ক হিসেবেই নয়, বিশ্বের কনিষ্ঠ ধনকুবের তারকার মধ্যেও তার নাম উপরের সারিতে। জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দিনকে দিন তার আয়ের গ্রাফটাও বেড়েছে আনুপাতিক হারে। ছয় বছর আগে ২০১০ সালেই তার আয় ছিল ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী তার আয়ের হিসাব। এ আয় কখনও আর নিুমুখী হয়নি। গানের পাশাপাশি নিজের নামে ব্র্যান্ডিং হওয়া পারফিউমও আজ দুনিয়াজুড়ে চাহিদার তুঙ্গে রয়েছে। তবে এত এত খ্যাতির শিখরে থাকা জাস্টিন ডিউ বিবারের শুরুটা কিন্তু আট-দশটা শিল্পীর মতোই সাদামাটা ছিল। ২০০৮ সালে নিজে গান তৈরি করে ইউটিউবে রিলিজের পরপরই তারকা বনে যান কানাডিয়ান এ গায়ক। তারপরই যেন ভাগ্য খুলতে থাকে তার। নজরে পড়েন মডেল সুপারস্টার স্কুটার ব্রাউনের। তারপরই রেমন্ড ব্রাউন মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর ২০০৯ সালে বিবারের একক গান ‘ওয়ান টাইম’ বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয়। গানটি কানাডায় শীর্ষস্থান দখল করার পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পায় অন্যান্য দেশেও। এর পর ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বরে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘মাই ওয়ার্ল্ড’।
প্রকাশের পরই বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিবারের। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালবামটি প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়। বলা হয়ে থাকে বিশ্বে বিবারই প্রথম ভাগ্যবান শিল্পী যার প্রথম অ্যালবামের সাতটি গানই হিটের তালিকায় নাম লেখায়। অ্যালবামের বেবি গানটির সাফল্য তো এখনও ইতিহাস হয়ে রয়েছে। গানটির মিউজিক ভিডিও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সর্বাধিক প্রদর্শিত, আলোচিত এবং ইউটিউবে দর্শকদের পছন্দের ভিডিও হিসেবে বিবেচিত। তারপর বিবারের পরবর্তী অ্যালবাম ‘নেভার সে নেভার দ্য রিমিংস’ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি। গানের জন্য গত কয়েক বছরে একাধিক পুরস্কার এসেছে বিবারের ঝুলিতে। ২০১০ সালে আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস বিবারকে বর্ষসেরা শিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত করে। তারপর থেকেই শুরু হয় তার পুরস্কার পাওয়ার সূচনা। গ্র্যামির ৫৩তম আসরে শ্রেষ্ঠ নবীন শিল্পী ও বেস্ট পপ ভোকাল -এর জন্য মনোনীত হন। তবে সেবার পুরস্কার না পেলেও দমে যাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড নিজের দখলে এনেছেন বিবার। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ৫৮তম আসরে লস অ্যাঞ্জেলসের স্টপলস সেন্টারে ঘোষণা করা হয় ২১ বছর বয়সী জাস্টিন বিবারের নাম। গ্র্যামি পাওয়ার পর বিবারকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী যেন আলোচনার শেষ নেই। এ পুরস্কার ভূষিত হওয়ার পর সাবেক প্রেমিকা সেলেনা গোমেজও শুভেচ্ছা জানান তাকে। সেলেনা বলেন, ‘বিবারের এই সাফল্যে আমি অনেক খুশি হয়েছি। তার একজন অজানা ভক্তও আমি। আসলে এই পুরস্কারটি তার প্রাপ্য ছিল। শুভ কামনা বিবার। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাও তুমি। হয়তো একই মঞ্চে আবারও দেখা হয়ে যাবে।’ সাবেক প্রেমিকার শুভেচ্ছার যথাযথ জবাবও দিয়েছেন বিবার। জানিয়েছেন, ‘সেলেনা তুমিও এমন একটি পুরস্কারের যোগ্য। আশা করি, আগামী আসরে তোমার প্রতি আমিও এমন শুভ কামনা জানাতে পারব।’
No comments