এখনো খুঁজে পাওয়ার আশা কর্মকর্তাদের
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের বিমান এমএইচ৩৭০ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার দুই বছর পরও এটি খুঁজে পেতে আশাবাদী মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান অনুসন্ধান কর্মকর্তা কোক সু চুন এক বিবৃতিতে বলেন, পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিমানটি খুঁজতে আটটি সম্ভাব্য স্থানে অনুসন্ধান চলছে। এযাবৎ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এটি খুঁজতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি দল দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান করছে। এ পর্যন্ত বিমানটির কেবল একটি টুকরা পাওয়া গেছে ফ্রান্সের শাসনাধীন রিইউনিয়ন দ্বীপে। মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে ওই অনুসন্ধান দল কাজ করছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন। এই অনুসন্ধানে ১৩ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় হবে। অনুসন্ধানে থাকা মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন যে এলাকায় অনুসন্ধান চলছে, সে কাজ এ বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, তিনি এখনো আশাবাদী যে এমএইচ৩৭০ খুঁজে পাওয়া যাবে। এক বিবৃতিতে রাজাক বলেন, ‘সম্ভাব্য যত শক্তি আছে, তা নিয়োগ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই হারিয়ে যাওয়ার রহস্য উন্মোচন করা হবে।’ নাজিব রাজাক বলেন, যেসব জায়গায় অনুসন্ধান চলছে, তা বিশ্বের সবচেয়ে বিপৎসংকুল এলাকা। কোনো কোনো এলাকার সমুদ্রের তলদেশের গভীরতা ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত। এদিকে অনুসন্ধান দলটির সমন্বয়ক অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর প্রধান মার্টিন ডোলান বলেছেন, নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পেলে শিগগিরই অনুসন্ধান শেষ হবে। হারিয়ে যাওয়া বিমানের আরোহীদের আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই চান, এটির হদিস খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান চলুক। গত সোমবার ওই উড়োজাহাজের ১২ চীনা যাত্রীর আত্মীয়রা বেইজিংয়ে একটি মামলা করেছেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় নিখোঁজ ৩২ যাত্রীর আত্মীয়রা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ যাত্রীর আত্মীয়রাও মামলা করেছেন।
No comments