এবারও কি ব্যর্থ হতে চলেছে সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি?
সিরিয়ার সেনাবাহিনী আয়োজিত একটি আধাসামরিক প্রশিক্ষণে কসরত দেখাচ্ছেন এক স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা। রাজধানী দামেস্কের উত্তরে আল-কাতাইফা এলাকায় এ প্রশিক্ষণ হয় -এএফপি |
এ
মুহূর্তে সিরিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ দৃশ্যত যাদের হাতে, সেই যুক্তরাষ্ট্র ও
রাশিয়া ঠিক করেছে স্থানীয় সময় পরশু শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে
সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তখন থেকে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীরা
পরস্পরের ওপর হামলা চালানো থেকে বিরত থাকবে। তবে ইসলামিক স্টেট (আইএস)
কিংবা আল-নুসরার মতো ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে পড়বে না।
সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহীরা শর্তসাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে অনেকেই এ চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। খবর এএফপির।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘ সময় টেলিফোনে কথা বলে এই চুক্তিতে এসেছেন। তাঁদের কথোপকথনের পর দুই দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে চুক্তির কথা জানানো হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই মতৈক্যকে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আশার সংকেত’ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওবামা-পুতিনের এই ‘টেলিফোন চুক্তি’ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে।
গতকাল সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সঙ্গে একাত্মতা প্রদর্শন করে সামরিক অভিযান স্থগিত করতে রাজি আছে। তবে আইএস এবং আল নুসরার মতো সন্ত্রাসীদের ওপর অভিযান চলবে। সিরিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
অন্যদিকে বিদ্রোহীরা বলেছে, বাশার সরকার অবরুদ্ধ এলাকায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ও বিদ্রোহী বন্দীদের মুক্তি দেওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত মানতে রাজি হলেই কেবল তারা অস্ত্রবিরতিতে রাজি আছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জশ আর্নেস্ট বলেছেন, ওবামা ও পুতিনের এই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগকে তাঁরা একটা ‘সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা আশা করছেন, সিরিয়ার সরকারি ও বিদ্রোহী উভয় পক্ষই এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। দামেস্ককে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘প্রয়োজনীয়’ সব চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রও আসাদবিরোধীদের চুক্তি মানানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই চুক্তি হালে পানি পাবে না। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নোয়াহ্ বোসে টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই যুদ্ধবিরতি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-নুসরার ওপর হামলা অব্যাহত রাখাকে বৈধতা দিয়েছে। এই বিষয়টিই চুক্তিটিকে শেষ করে দেবে। এর ফলে রাশিয়া এবং আসাদ বাহিনী যেখানে সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে আল-নুসরার ওপর হামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে।
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ১২ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে একমত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সময়সীমা পার হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এখন শনিবার থেকে চুক্তি কার্যকর হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ঠিক করে।
যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার সংঘর্ষে যেসব পক্ষ যুদ্ধবিরতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং শর্ত মেনে নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই এ বিরতি প্রযোজ্য হবে।’ তবে আইএস, আল-নুসরা ফ্রন্ট এবং জাতিসংঘের চিহ্নিত অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন এর আওতায় পড়বে না। তাদের ওপর সিরিয়া, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলা চলবে।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ান এলিয়াসন বলছেন, লড়াই বন্ধের প্রক্রিয়ায় যদি আল-নুসরা বা আইএসনিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো না পড়ে, তাহলে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে।
সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহীরা শর্তসাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে অনেকেই এ চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। খবর এএফপির।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘ সময় টেলিফোনে কথা বলে এই চুক্তিতে এসেছেন। তাঁদের কথোপকথনের পর দুই দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে চুক্তির কথা জানানো হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই মতৈক্যকে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আশার সংকেত’ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওবামা-পুতিনের এই ‘টেলিফোন চুক্তি’ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে।
গতকাল সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সঙ্গে একাত্মতা প্রদর্শন করে সামরিক অভিযান স্থগিত করতে রাজি আছে। তবে আইএস এবং আল নুসরার মতো সন্ত্রাসীদের ওপর অভিযান চলবে। সিরিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
অন্যদিকে বিদ্রোহীরা বলেছে, বাশার সরকার অবরুদ্ধ এলাকায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ও বিদ্রোহী বন্দীদের মুক্তি দেওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত মানতে রাজি হলেই কেবল তারা অস্ত্রবিরতিতে রাজি আছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জশ আর্নেস্ট বলেছেন, ওবামা ও পুতিনের এই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগকে তাঁরা একটা ‘সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা আশা করছেন, সিরিয়ার সরকারি ও বিদ্রোহী উভয় পক্ষই এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। দামেস্ককে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘প্রয়োজনীয়’ সব চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রও আসাদবিরোধীদের চুক্তি মানানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই চুক্তি হালে পানি পাবে না। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নোয়াহ্ বোসে টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই যুদ্ধবিরতি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-নুসরার ওপর হামলা অব্যাহত রাখাকে বৈধতা দিয়েছে। এই বিষয়টিই চুক্তিটিকে শেষ করে দেবে। এর ফলে রাশিয়া এবং আসাদ বাহিনী যেখানে সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে আল-নুসরার ওপর হামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে।
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ১২ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে একমত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সময়সীমা পার হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এখন শনিবার থেকে চুক্তি কার্যকর হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ঠিক করে।
যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার সংঘর্ষে যেসব পক্ষ যুদ্ধবিরতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং শর্ত মেনে নিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই এ বিরতি প্রযোজ্য হবে।’ তবে আইএস, আল-নুসরা ফ্রন্ট এবং জাতিসংঘের চিহ্নিত অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন এর আওতায় পড়বে না। তাদের ওপর সিরিয়া, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলা চলবে।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ান এলিয়াসন বলছেন, লড়াই বন্ধের প্রক্রিয়ায় যদি আল-নুসরা বা আইএসনিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো না পড়ে, তাহলে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে।
No comments