পালিয়ে যাওয়া দুই ‘জঙ্গি’ কোথায়?
রাজধানীর
মিরপুরে ‘জঙ্গি’ আস্তানায় রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তিন জঙ্গিকে আটক করা হলেও
সেখানে থাকা আরও দুই জন পালিয়ে যায় বলে অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পালিয়ে যাওয়া এ দুজনের কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। অভিযানে গ্রেনেড ও
বিস্ফোরক উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১৪ ঘণ্টার অভিযান শুরুর
অনেক আগ থেকেই ঘিরে রাখা হয় ওই বাড়ি। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা
করা হয় এই অভিযান। অভিযানে তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হলেও কৌশলে পালিয়ে
যায় দুই জঙ্গি। (ডিবি) জানায়, এই দুই জঙ্গির একজন বোমা কারিগর। অন্যজন দক্ষ
হামলাকারী। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকেই এসব তথ্য জানতে পেরেছে ডিবি। ঘটনার
পর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা শুরু করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বড়
রকমের সহিংসতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই জঙ্গিরা ওই বাড়িতে গ্রেনেড ও বোমা তৈরি
করছিলো বলে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে
মিরপুরের ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড ও বোমা তৈরি হয়েছে। এসব
বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও দেয়া হতো সেখানে। ছয় দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে
গতকাল গ্রেপ্তারকৃত তিন ‘জঙ্গি’ এই তথ্য জানিয়েছে।
ডিবি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, এখানে তৈরি বোমা বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের। তাদের সঙ্গে আরও যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের অবস্থান, অর্থের যোগানদাতাদের বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে থাকা এই তিন জঙ্গি হচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দিনাজপুর জেলা সদরের ঘাসিপাড়ার হাফিজউদ্দিন সরকারের পুত্র মো. আবু সাঈদ ওরফে রাসেল ওরফে সালমান, ডিবি দাবি করেছে সে জেএমবির এই গ্রুপের সমন্বয়কারী। সাভারের আল-আরাফা ব্যাংকের একটি শাখার পিয়ন ও চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের ফেলাকান্দি গ্রামের আবদুস সাত্তার প্রধানের পুত্র মো. ইলিয়াস ওরফে ওমর ফারুক (২৩) ও বোমা তৈরির কারিগর জয়পুরহাট জেলা সদরের কমরগ্রামের মোতাহার আলীর পুত্র মো. মহসিন আলী রুবেল (২০)। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিযান পরিচালনার নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের লোকজনকে সরানোর সময় দুই জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ওরফে শাকিল ওরফে নজরুল ইসলাম নিপুণভাবে হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করতো। এ বিষয়ে জেএমবি’র সদস্যদের তারাই প্রশিক্ষণ দিতো। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানিয়েছে, পলাতক আসামি সোহেল রানা ওরফে হিরণ, ওরফে কামাল তৈরিকৃত গ্রেনেড দিয়ে হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও চাইনিজ কুড়াল মানুষ হত্যার কাজে ব্যবহার করতো। তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদকালে বিভিন্ন বিষয় নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। গতকাল পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিবির কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আবু সাঈদ, মো. ইলিয়াস ও মো. মহসিন আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৫শে ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ডিবি পুলিশ দক্ষিণের পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের শাহ আলী থানার এ ব্লকে কতিপয় জঙ্গি অবস্থান করে ঢাকার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গোপন সূত্রে এই তথ্য প্রাপ্তির পর ২৩শে ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্তের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে ডিবির এই দলটি এ ব্লকের নয় নম্বর রোডের তিন নম্বর বাড়ির ছয় তলার দক্ষিণ পাশের ইউনিটে গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা অবস্থান করছেন এ তথ্য পায় ডিবি। পরে ওই ভবনের আশপাশে অবস্থান নেয় ডিবি। সেই সঙ্গে জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য আরও ফোর্স চান তারা। ২৪শে ডিসেম্বর ভোরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবির সোয়াট টিম, শাহ আলী থানা পুলিশ, রিজার্ভ পুলিশ সেখানে উপস্থিত হন। এসময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে অভিযানের দিকনির্দেশনা দেন। সোয়াট টিমের সদস্য ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাড়ে ৯টায় ওই ভবনের ছয় তলার কাছাকাছি গিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে দূরে সরিয়ে নেয়। এ সময় ডিবি’র পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বারবার হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করেন। কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, এসময় শটগান ও গ্যাসগান থেকে ফায়ার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ ও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, ওই অভিযানের সময় পাশের ফ্ল্যাট থেকে আটক চারজন জঙ্গির সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ এখনও পায়নি। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে।
ডিবি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, এখানে তৈরি বোমা বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের। তাদের সঙ্গে আরও যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের অবস্থান, অর্থের যোগানদাতাদের বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে থাকা এই তিন জঙ্গি হচ্ছে, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দিনাজপুর জেলা সদরের ঘাসিপাড়ার হাফিজউদ্দিন সরকারের পুত্র মো. আবু সাঈদ ওরফে রাসেল ওরফে সালমান, ডিবি দাবি করেছে সে জেএমবির এই গ্রুপের সমন্বয়কারী। সাভারের আল-আরাফা ব্যাংকের একটি শাখার পিয়ন ও চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের ফেলাকান্দি গ্রামের আবদুস সাত্তার প্রধানের পুত্র মো. ইলিয়াস ওরফে ওমর ফারুক (২৩) ও বোমা তৈরির কারিগর জয়পুরহাট জেলা সদরের কমরগ্রামের মোতাহার আলীর পুত্র মো. মহসিন আলী রুবেল (২০)। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিযান পরিচালনার নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের লোকজনকে সরানোর সময় দুই জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ওরফে শাকিল ওরফে নজরুল ইসলাম নিপুণভাবে হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করতো। এ বিষয়ে জেএমবি’র সদস্যদের তারাই প্রশিক্ষণ দিতো। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানিয়েছে, পলাতক আসামি সোহেল রানা ওরফে হিরণ, ওরফে কামাল তৈরিকৃত গ্রেনেড দিয়ে হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও চাইনিজ কুড়াল মানুষ হত্যার কাজে ব্যবহার করতো। তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদকালে বিভিন্ন বিষয় নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। গতকাল পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিবির কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আবু সাঈদ, মো. ইলিয়াস ও মো. মহসিন আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় ২৫শে ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ডিবি পুলিশ দক্ষিণের পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের শাহ আলী থানার এ ব্লকে কতিপয় জঙ্গি অবস্থান করে ঢাকার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গোপন সূত্রে এই তথ্য প্রাপ্তির পর ২৩শে ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্তের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে ডিবির এই দলটি এ ব্লকের নয় নম্বর রোডের তিন নম্বর বাড়ির ছয় তলার দক্ষিণ পাশের ইউনিটে গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা অবস্থান করছেন এ তথ্য পায় ডিবি। পরে ওই ভবনের আশপাশে অবস্থান নেয় ডিবি। সেই সঙ্গে জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য আরও ফোর্স চান তারা। ২৪শে ডিসেম্বর ভোরে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবির সোয়াট টিম, শাহ আলী থানা পুলিশ, রিজার্ভ পুলিশ সেখানে উপস্থিত হন। এসময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে অভিযানের দিকনির্দেশনা দেন। সোয়াট টিমের সদস্য ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাড়ে ৯টায় ওই ভবনের ছয় তলার কাছাকাছি গিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে দূরে সরিয়ে নেয়। এ সময় ডিবি’র পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বারবার হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করেন। কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, এসময় শটগান ও গ্যাসগান থেকে ফায়ার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচ ও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, ওই অভিযানের সময় পাশের ফ্ল্যাট থেকে আটক চারজন জঙ্গির সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ এখনও পায়নি। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে।
No comments