ইউরোপে দু’লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে বলছে জাতিসংঘ
অভিবাসন
সঙ্কট সমাধানে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে ইউরোপের
দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, অভিন্ন ও সমন্বিত
পরিকল্পনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান সঙ্কটকে
গুরুতর উল্লেখ করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান এন্টিনিও
গুটেরেস বলেছেন, ইউরোপকে সর্বশক্তি দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তার
হিসেবে দুই লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে হবে ইউরোপে।
হাঙ্গেরিতে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী অবস্থান করছে আশ্রয় শিবিরে। এই দেশটি দিয়ে যাওয়া যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সার্বিয়ার সীমান্তের কাছে এরকম একটি শিবির থেকে বেরিয়ে পড়েছে বহু মানুষ। ইউরোপগামী একটি ট্রেনে উঠে বসে আছে কয়েকশো লোক। তারা আর শিবিরে ফিরে যেতে চায় না। তারা বলছে, ট্রেনের ভেতরের অবস্থাও খুব খারাপ।
তিনি বলেছেন, ‘ট্রেনের ভেতরে নারী শিশু সবাই অবস্থান করছে। আছে সন্তানসম্ভবা নারীও। খাবার নেই। পানি নেই। তাদেরকে কেনো থামানো হয়েছে সেটাও তারা জানে না।’ তার প্রশ্ন, ‘জার্মানি যাওয়ার জন্যে নিজেদের অর্থে আমরা টিকেট কেটেছি। তারা যদি আমাদেরকে থামাতেই চায় তাহলে টিকেট কিনতে দিলো কেনো?’
বুডাপেস্টের একটি রেল স্টেশনে অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের আরো একটি দল তাদেরকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় বলছে, তারা এখন হেঁটে রওনা দেবে অস্ট্রিয়ার দিকে। পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে। সরকারের একজন মুখপাত্র জলতান কোভাচ বলেছেন, এই লোকগুলোকে তারা আরেকটি দেশে যেতে দিতে পারেন না।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে চলাচল আর কঠোর করা হবে কী-না এই প্রশ্নের ওপর হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হচ্ছে। পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির নেতারা প্রাগে বসতে যাচ্ছেন জরুরি এক বৈঠকে। এই সঙ্কট যতোই তীব্র হচ্ছে, শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্যে ইউরোপের ওপর চাপ ততোই বাড়ছে। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মহাদেশকে এতো বড়ো শরণার্থী সমস্যার মুখে আর কখনোই পড়তে হয়নি। সূত্র : বিবিসি
হাঙ্গেরিতে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী অবস্থান করছে আশ্রয় শিবিরে। এই দেশটি দিয়ে যাওয়া যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সার্বিয়ার সীমান্তের কাছে এরকম একটি শিবির থেকে বেরিয়ে পড়েছে বহু মানুষ। ইউরোপগামী একটি ট্রেনে উঠে বসে আছে কয়েকশো লোক। তারা আর শিবিরে ফিরে যেতে চায় না। তারা বলছে, ট্রেনের ভেতরের অবস্থাও খুব খারাপ।
তিনি বলেছেন, ‘ট্রেনের ভেতরে নারী শিশু সবাই অবস্থান করছে। আছে সন্তানসম্ভবা নারীও। খাবার নেই। পানি নেই। তাদেরকে কেনো থামানো হয়েছে সেটাও তারা জানে না।’ তার প্রশ্ন, ‘জার্মানি যাওয়ার জন্যে নিজেদের অর্থে আমরা টিকেট কেটেছি। তারা যদি আমাদেরকে থামাতেই চায় তাহলে টিকেট কিনতে দিলো কেনো?’
বুডাপেস্টের একটি রেল স্টেশনে অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের আরো একটি দল তাদেরকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় বলছে, তারা এখন হেঁটে রওনা দেবে অস্ট্রিয়ার দিকে। পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে। সরকারের একজন মুখপাত্র জলতান কোভাচ বলেছেন, এই লোকগুলোকে তারা আরেকটি দেশে যেতে দিতে পারেন না।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে চলাচল আর কঠোর করা হবে কী-না এই প্রশ্নের ওপর হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হচ্ছে। পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির নেতারা প্রাগে বসতে যাচ্ছেন জরুরি এক বৈঠকে। এই সঙ্কট যতোই তীব্র হচ্ছে, শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্যে ইউরোপের ওপর চাপ ততোই বাড়ছে। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মহাদেশকে এতো বড়ো শরণার্থী সমস্যার মুখে আর কখনোই পড়তে হয়নি। সূত্র : বিবিসি
No comments