ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে প্রথম পাঠ- খাগড়াছড়ির ১৩৫৮টি পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রের অর্ধেকই নড়বড়ে by সৈকত দেওয়ান
ভেঙে গেছে বাঁশের বেড়া, নড়বড়ে হয়ে পড়েছে খুঁটি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালীর পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রটির এখন এই হাল l নীরব চৌধুরী |
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত খাগড়াছড়ির অধিকাংশ পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রের দশা এখন এমন। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে পাঠদান হলেও উদ্যোগ নেই সংস্কারের |
খাগড়াছড়ি
জেলায় ১ হাজার ৩৫৮টি পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রের অর্ধেকই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে
পড়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শিক্ষা সরঞ্জামের অভাবে এসব কেন্দ্রের তিন, চার ও
পাঁচ বছর বয়সী ২০ হাজার ৬৯০ জন শিশুর প্রাক–প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাহত
হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন
প্রকল্পের (আইসিডিপি) অধীনে চলছে এসব প্রাক–প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র।
প্রতিটি পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রে ২০ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক আছেন।
প্রকল্পের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফ। কেন্দ্রগুলোতে তিন ও
চার বছর বয়সের শিশুদের শিখনের উপকরণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে
পরিচিতি করানো হয়। পাঁচ বছরের শিশুদের শেখানো হয় বর্ণমালা। তবে
ঝুঁকিপূর্ণ ঘর ও শিক্ষা সরঞ্জামের সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা
কার্যক্রম। আইসিডিপি প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮০ সালে প্রথম
পরীক্ষামূলকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাড়া উন্নয়নকেন্দ্রের যাত্রা শুরু।
পরে ১৯৯৬ সালে পূর্ণাঙ্গভাবে এই প্রকল্প চালু হয়। বর্তমান প্রকল্পের
মেয়াদ শেষ হবে ২০১৭ সালে।
মাটি, বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি বিদ্যালয় ভবনগুলোর বেশির ভাগই সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার সাত ভাইয়াপাড়ার দুটি ও গড়গর্যাছড়ির একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ঘরের মাটির তৈরি দেয়ালে ফাটল ধরেছে, ভেঙে গেছে বাঁশের খুঁটি ও দরজা-জানালা, টিনের চালে দেখা দিয়েছে ফুটো। শিক্ষক-অভিভাবকদের আশঙ্কা, সামনের বষায় ধসে পড়তে পারে বিদ্যালয় ভবন। পাশাপাশি বৃষ্টি হলে ভিজবে কোমলমতি শিশুরা।
আইসিডিপি প্রকল্পের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের মাঠ কর্মকর্তা সুরত রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বুঝিয়ে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। তবে বড় খরচের কাজগুলো তাঁদের দিয়ে করানো সম্ভব নয়।
সদর উপজেলার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফরিদুল আলম শুকরানা বলেন, এ উপজেলায় পাড়াকেন্দ্র রযেছে ২২৩টি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কেন্দ্র সংস্কার করা প্রয়োজন।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, গত বছর ৬৮টি কেন্দ্র জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছিল। এর বিপরীতে মাত্র ১৬টি কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বারাদ্দ আসে। এ ছাড়া প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ (বর্তমানে তৃতীয় ধাপ চলছে) পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে শিখনের উপকরণ সরবরাহ করতো ইউনিসেফ। তখন প্রায় ৫০-৬০ প্রকার শিখনের উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছিল। বর্তমান ধাপ শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে শুধু একটি বই ও একটি অঙ্কনের খাতা সরবরাহ করা হয়েছে।
জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক শহীদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘জেলায় এক হাজার ৩৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে এ বছর ৫১০টি কেন্দ্র সংস্কার করা প্রয়োজন জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি লিখেছি। শুনছি, এ বছর মাত্র ৮৭টি কেন্দ্রের সংস্কারের বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। গত বছর সংস্কার করা হয়েছিল ৭৭টি। ২০০৭-০৯ সালে নির্মিত কেন্দ্রগুলোই বেশি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আইসিডিপির কেন্দ্রের শিশুরা বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে আগে থেকে পরিচিত থাকে। এসব শিশু প্রাথমিকে ভর্তির পর খুব সহজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
আইসিডিপির এক তথ্যে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলায় ১ হাজার ৩৫৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ৭২ শতাংশ এলাকার শিশুকে প্রাক–প্রাথমিকের শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।
মাটি, বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি বিদ্যালয় ভবনগুলোর বেশির ভাগই সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার সাত ভাইয়াপাড়ার দুটি ও গড়গর্যাছড়ির একটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ঘরের মাটির তৈরি দেয়ালে ফাটল ধরেছে, ভেঙে গেছে বাঁশের খুঁটি ও দরজা-জানালা, টিনের চালে দেখা দিয়েছে ফুটো। শিক্ষক-অভিভাবকদের আশঙ্কা, সামনের বষায় ধসে পড়তে পারে বিদ্যালয় ভবন। পাশাপাশি বৃষ্টি হলে ভিজবে কোমলমতি শিশুরা।
আইসিডিপি প্রকল্পের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের মাঠ কর্মকর্তা সুরত রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। পাড়াকেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বুঝিয়ে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। তবে বড় খরচের কাজগুলো তাঁদের দিয়ে করানো সম্ভব নয়।
সদর উপজেলার প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফরিদুল আলম শুকরানা বলেন, এ উপজেলায় পাড়াকেন্দ্র রযেছে ২২৩টি। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কেন্দ্র সংস্কার করা প্রয়োজন।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, গত বছর ৬৮টি কেন্দ্র জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছিল। এর বিপরীতে মাত্র ১৬টি কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বারাদ্দ আসে। এ ছাড়া প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ (বর্তমানে তৃতীয় ধাপ চলছে) পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে শিখনের উপকরণ সরবরাহ করতো ইউনিসেফ। তখন প্রায় ৫০-৬০ প্রকার শিখনের উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছিল। বর্তমান ধাপ শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে শুধু একটি বই ও একটি অঙ্কনের খাতা সরবরাহ করা হয়েছে।
জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক শহীদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘জেলায় এক হাজার ৩৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে এ বছর ৫১০টি কেন্দ্র সংস্কার করা প্রয়োজন জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি লিখেছি। শুনছি, এ বছর মাত্র ৮৭টি কেন্দ্রের সংস্কারের বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। গত বছর সংস্কার করা হয়েছিল ৭৭টি। ২০০৭-০৯ সালে নির্মিত কেন্দ্রগুলোই বেশি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আইসিডিপির কেন্দ্রের শিশুরা বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে আগে থেকে পরিচিত থাকে। এসব শিশু প্রাথমিকে ভর্তির পর খুব সহজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
আইসিডিপির এক তথ্যে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলায় ১ হাজার ৩৫৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ৭২ শতাংশ এলাকার শিশুকে প্রাক–প্রাথমিকের শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।
No comments