মংলায় উদ্ধারকাজ শেষ
মংলা
বন্দরের শিল্পাঞ্চল এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ
সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ধ্বংসস্তূপ থেকে আরেকজনের লাশ
উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ভবনধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে
পৌঁছাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সেনাকল্যাণ সংস্থার মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির
নির্মাণাধীন একটি গুদামের ছাদ ধসে যায়। আজ শুক্রবার বেলা একটায় উদ্ধারকাজ
সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। মংলা সিমেন্ট কারখানার উপমহাপরিচালক (ডিডিজি)
ক্যাপ্টেন সৈয়দ হেলাল হোসেনের ভাষ্য, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ নেই। সব
মিলে সাতজন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। এ কারণে তাঁরা উদ্ধারকাজ সমাপ্ত
ঘোষণা করেছেন। সৈয়দ হেলাল বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে এক লাখ টাকা
করে সহায়তা দেবে সেনাকল্যাণ কর্তৃপক্ষ। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয়ভারও
তাঁরা বহন করবেন।
মংলা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামানের ভাষ্য, সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
গতকাল ভবনের ছাদ ধসে যাওয়ার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ধসে পড়া ছাদের নিচে আরও ৩০-৪০ জন শ্রমিক রয়েছেন বলে দাবি করেন আহত শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন রামপাল উপজেলার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মাহারুফ হাওলাদার, গৌরম্ভা গ্রামের আমির আকন্দ ও খুলনা মহানগরের বাগমারা এলাকার আল আমিন। অন্যদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সেনাকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেনাকল্যাণ সংস্থার মালিকানায় ১৯৯৪ সালে পশুর নদের তীরে প্রতিষ্ঠিত মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড নামে সিমেন্ট বাজারজাত শুরু করে। কারখানাটি গুদাম নির্মাণে ১৪২ কোটি টাকায় চীনের সিএনবিএম ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয়। ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ভবনটির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১০ নভেম্বর ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তী সময়ে চীনা কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ আইটিসিএল নামক অপর একটি কোম্পানি এ কাজের সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করে।
বাংলাদেশি এই কোম্পানি গতকাল সকালে মোট ১৮০ জন শ্রমিক নিয়ে ১৪ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এ ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে। এঁদের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জন শ্রমিক ছাদে ছিলেন এবং অন্যরা ভবনের নিচে কাজ করছিলেন।
কয়রার শ্রমিক মিজান ও খুলনার দোলখোলার শ্রমিক দেলোয়ার জানান, গতকাল বেলা একটার দিকে ভবনটির চারতলার নির্মাণকাজ চলার সময় হঠাৎ ছাদটি ধসে পড়ে। তাঁরা দাবি করেন, নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর তিনজন শ্রমিককে মৃত ও ৩৮ জন শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত আটটায় ও সর্বশেষ রাত পৌনে ১১টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই শ্রমিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
মংলা সিমেন্ট কারখানার উপমহাপরিচালক (ডিডিজি) ক্যাপ্টেন সৈয়দ হেলাল হোসেন বলেন, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতাল, রামপাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মংলা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামানের ভাষ্য, সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
গতকাল ভবনের ছাদ ধসে যাওয়ার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ধসে পড়া ছাদের নিচে আরও ৩০-৪০ জন শ্রমিক রয়েছেন বলে দাবি করেন আহত শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন রামপাল উপজেলার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মাহারুফ হাওলাদার, গৌরম্ভা গ্রামের আমির আকন্দ ও খুলনা মহানগরের বাগমারা এলাকার আল আমিন। অন্যদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সেনাকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেনাকল্যাণ সংস্থার মালিকানায় ১৯৯৪ সালে পশুর নদের তীরে প্রতিষ্ঠিত মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড নামে সিমেন্ট বাজারজাত শুরু করে। কারখানাটি গুদাম নির্মাণে ১৪২ কোটি টাকায় চীনের সিএনবিএম ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয়। ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ভবনটির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১০ নভেম্বর ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। পরবর্তী সময়ে চীনা কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ আইটিসিএল নামক অপর একটি কোম্পানি এ কাজের সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করে।
বাংলাদেশি এই কোম্পানি গতকাল সকালে মোট ১৮০ জন শ্রমিক নিয়ে ১৪ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এ ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে। এঁদের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ জন শ্রমিক ছাদে ছিলেন এবং অন্যরা ভবনের নিচে কাজ করছিলেন।
কয়রার শ্রমিক মিজান ও খুলনার দোলখোলার শ্রমিক দেলোয়ার জানান, গতকাল বেলা একটার দিকে ভবনটির চারতলার নির্মাণকাজ চলার সময় হঠাৎ ছাদটি ধসে পড়ে। তাঁরা দাবি করেন, নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর তিনজন শ্রমিককে মৃত ও ৩৮ জন শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত আটটায় ও সর্বশেষ রাত পৌনে ১১টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই শ্রমিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
মংলা সিমেন্ট কারখানার উপমহাপরিচালক (ডিডিজি) ক্যাপ্টেন সৈয়দ হেলাল হোসেন বলেন, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতাল, রামপাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
No comments