বাবার ‘কারাগারে’ মাদকাসক্ত ছেলে
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বাবা। ছবি -প্রথম আলো |
টাঙ্গাইলের
সখীপুরে মাদকাসক্ত ছেলে বিল্লাল হোসেনকে (৩৭) নেশার জগৎ থেকে ফেরাতে না
পেরে নিজের ঘরে দুই মাস ধরে শিকলে বেঁধে রেখেছেন বাবা মুক্তিযোদ্ধা হাছেন
আলী। বিল্লালের বাড়ি উপজেলার কচুয়া বেপারিপাড়া গ্রামে।
হাছেন আলী জানান, মাদকের টাকা না পেলে বিল্লাল বাড়িঘর, থালা-বাটি ভেঙে ফেলে। মাঝেমধ্যে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে। এলাকায় চুরি হলে সবাই বিল্লালের দিকে অভিযোগ করে। বিল্লালের অত্যাচারে ওর স্ত্রী দুই সন্তান রেখে তালাক দিয়ে চলে গেছে। উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখার এ পথ বেছে নিয়েছেন হাছেন আলী।
গতকাল বৃহস্পতিবার কচুয়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিল্লালকে একটি ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিল্লাল গাঁজা ও হেরোইনে আসক্ত। নেশা থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর বাবা। কয়েক বছর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। নয় মাস জেল খেটে ছয় মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। এরপর আগের মতোই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী জানান, ছেলের কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ওই মুক্তিযোদ্ধা দুই নাতি-নাতনিসহ পাঁচ সদস্যের অভাবী সংসারের অভাব ঘোচাতে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন। হাছেন আলী গ্রামে ফেরি করে সরিষার তেল বেচে ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে সংসার চালান।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ বলেন, উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। বিল্লাল ও আবুর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাছেন আলী জানান, মাদকের টাকা না পেলে বিল্লাল বাড়িঘর, থালা-বাটি ভেঙে ফেলে। মাঝেমধ্যে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে। এলাকায় চুরি হলে সবাই বিল্লালের দিকে অভিযোগ করে। বিল্লালের অত্যাচারে ওর স্ত্রী দুই সন্তান রেখে তালাক দিয়ে চলে গেছে। উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখার এ পথ বেছে নিয়েছেন হাছেন আলী।
গতকাল বৃহস্পতিবার কচুয়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিল্লালকে একটি ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিল্লাল গাঁজা ও হেরোইনে আসক্ত। নেশা থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর বাবা। কয়েক বছর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছিল। নয় মাস জেল খেটে ছয় মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। এরপর আগের মতোই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী জানান, ছেলের কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ওই মুক্তিযোদ্ধা দুই নাতি-নাতনিসহ পাঁচ সদস্যের অভাবী সংসারের অভাব ঘোচাতে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন। হাছেন আলী গ্রামে ফেরি করে সরিষার তেল বেচে ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিয়ে সংসার চালান।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ বলেন, উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। বিল্লাল ও আবুর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments