সুযোগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি -ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
চলমান
সঙ্কট নিরসনে আলাপ-আলোচনার বিকল্প নেই। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এ
সমস্যার সুরাহা করতে হবে। কিন্তু সে বসাটাই হয়ে উঠেছে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
আসলে আলাপ-আলোচনা করা কঠিন ছিল না। উভয়পক্ষের জেদাজেদির মধ্যে কাঠিন্যতার
জন্ম। সময় বয়ে যাচ্ছে কিন্তু সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি। অনানুষ্ঠানিক আলোচনার
পিঠে চড়ে আসতে পারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা। ধরুন, উভয় দলের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ
সারির নেতারা গল্পচ্ছলে একে অপরকে প্রস্তাব করবে আলাপ-আলোচনা কখন কিভাবে
কোথায় করা যায়। অখ্যাতদের উদ্যোগ সফল হলে আসবে প্রখ্যাত কিংবা বিখ্যাতরা।
অর্থাৎ দ্বিতীয় ও প্রথম সারির নেতারা। যেখানে বিভেদের পর্দা দু’দিক থেকে
এসে মিলে যাবে। মিটে যাবে ঝগড়া-ফ্যাসাদ। গুছে যাবে দুঃখ-দুর্দশা। কথাগুলো
মানবজমিনকে বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ
উদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্থনৈতিক রিপোর্টার হামিদ বিশ্বাস।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমঝোতার বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব আছে। সব দল এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত সরকারি দলকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। টানা হরতাল-অবরোধে অর্থনীতির ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, একেকজন একেকভাবে ক্ষতির কথা বলছে। এটা যে বলছে হয়তো তাকে ঘিরে অথবা তার পরিচালিত সংগঠনের ক্ষতির কথা উঠে আসছে। যা বলছে তা আসল নয়, ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। আবার কমও হতে পারে। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা অনেক কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। সাধারণত অর্থনীতির উন্নয়নে দরকার দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ। যা বর্তমানে অনুপস্থিত। এভাবে চলতে থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। যা জনবহুল রাষ্ট্রের জন্য কিছুতে কাম্য নয় বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে তারা নিজেরা যা পারে করে। কারও অপেক্ষায় থাকে না। ছোট ও মাঝারি ধরনের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো একক চেষ্টায় বিভিন্ন শিল্প গড়ে। আর অসুস্থ রাজনীতি ও ক্ষমতাসীনরা তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। এখনও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। এসব রাজনৈতিক অস্থিরতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বেড়ে যায়। ক্রমশই দুর্বল হতে থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। এভাবে চলতে থাকলে অভাবী লোকের সংখ্যা বাড়বে। সমাজে অসমতা, বৈষম্য, হাহাকার সৃষ্টি হবে। মানুষের সব ধরনের উদ্বৃত্তে টান পড়বে। দিনে এনে দিনে খাওয়ার অবস্থায় নেমে আসবে। সব দলের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। চলার পথ আলাদা হতে পারে। কিন্তু সমাধানের পথ এক ও অভিন্ন হওয়া চাই। আলোচনার দরজা বন্ধ করে দিলে ক্ষতি হবে দেশ ও দেশের মানুষের। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সমাধানের পথে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমঝোতার বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব আছে। সব দল এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত সরকারি দলকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। টানা হরতাল-অবরোধে অর্থনীতির ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, একেকজন একেকভাবে ক্ষতির কথা বলছে। এটা যে বলছে হয়তো তাকে ঘিরে অথবা তার পরিচালিত সংগঠনের ক্ষতির কথা উঠে আসছে। যা বলছে তা আসল নয়, ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। আবার কমও হতে পারে। তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা অনেক কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি। ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। সাধারণত অর্থনীতির উন্নয়নে দরকার দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ। যা বর্তমানে অনুপস্থিত। এভাবে চলতে থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। যা জনবহুল রাষ্ট্রের জন্য কিছুতে কাম্য নয় বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে তারা নিজেরা যা পারে করে। কারও অপেক্ষায় থাকে না। ছোট ও মাঝারি ধরনের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো একক চেষ্টায় বিভিন্ন শিল্প গড়ে। আর অসুস্থ রাজনীতি ও ক্ষমতাসীনরা তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। এখনও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। এসব রাজনৈতিক অস্থিরতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বেড়ে যায়। ক্রমশই দুর্বল হতে থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। এভাবে চলতে থাকলে অভাবী লোকের সংখ্যা বাড়বে। সমাজে অসমতা, বৈষম্য, হাহাকার সৃষ্টি হবে। মানুষের সব ধরনের উদ্বৃত্তে টান পড়বে। দিনে এনে দিনে খাওয়ার অবস্থায় নেমে আসবে। সব দলের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। চলার পথ আলাদা হতে পারে। কিন্তু সমাধানের পথ এক ও অভিন্ন হওয়া চাই। আলোচনার দরজা বন্ধ করে দিলে ক্ষতি হবে দেশ ও দেশের মানুষের। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সমাধানের পথে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
No comments