ভারতের ভ্রাম্যমাণ শিক্ষক
(বয়স ৪০ এর কোঠায়। প্রতিদিন ৪০ মাইল পথ পাড়ি দেন সাইকেলে। পুরনো সাইকেল বোঝাই থাকে বইয়ে। দিনে প্রায় ২০০ শিশুকে পাঠদান করেন তিনি) ভারতের
আদিত্য কুমার পেশায় একজন শিক্ষক। শুধু বস্তির শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো
ছড়াতে তিনি প্রতিদিন সাইকেলে পাড়ি দেন ৪০ মাইল পথ। শুধু তাই নয়, শিশুদের
জন্য পুরোনো সাইকেলটি বোঝাই থাকে বইয়ে। আদিত্য প্রায় দুই দশক ধরে তার
ভ্রাম্যমাণ স্কুল চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই স্কুলে নির্দিষ্ট কোনো কারিকুলাম ও
মানসম্মত কোনো পাঠ্যবই নেই। তার বয়স ৪০ এর কোঠায়। ভ্রাম্যমাল স্কুল চালায়
বলে স্থানীয়দের কাছে তিনি ভ্রাম্যমাণ শিক্ষক বলেও সুপরিচিত। আদিত্যর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর বয়স ১০ বছরের কম। তিনি তাদের ইংরেজি ও অংক শিক্ষা দেন।
বলা যায়, লক্ষ্ণৌর বস্তির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বিজ্ঞানে স্নাতক মহান এই শিক্ষক বস্তির দরিদ্র শিশুদের পড়ালেখার কোনো অর্থ নেন না। তিনি বিনামূল্যে তাদের পাঠ দান করে যাচ্ছেন। নগরীর কোথাও তার প্রয়োজন হলে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হন এবং ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান শুরু করেন।
আদিত্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘স্কুলের ক্লাসরুমগুলো কেমন এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা তা জানে না।’ এ সময় একদল শিশু তার কাছে লেখাপড়া শিখছিল।
৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করে ২০০৯ সালে ভারতে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট পাস হয়। কিন্তু শিক্ষাকর্মীরা জানান, স্কুলগুলোতে প্রায়ই ছাত্রছাত্রীদের স্থান সংকুলান হয় না।
একজন দরিদ্র শ্রমিকের ছেলে হিসেবে কুমারকে স্কুলে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। তার বাবা চাইতেন যে তার সন্তানরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ উপার্জন করুক। তিনি একটি সরকারি স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পান। তবে লেখাপড়া শেখার জন্য কিশোর বয়সেই তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে হয়। কারণ তার দরিদ্র মা-বাবা তার পড়ালেখা বন্ধ করে উপার্জনশীল কাজে লাগাতে চাইতেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি রাস্তায় বাস করেন। এরপর একজন শিক্ষকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি তার ভেতর সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করতে সহায়তা করেন। স্কুলে শিক্ষকতা করার কোনো ইচ্ছে আদিত্যের ছিল না।
তিনি বিশ্বাস করেন তার ভ্রাম্যমাণ স্কুলের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার আলো ছড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন। দিনে প্রায় ২০০ শিশুকে পাঠদান করেন আদিত্য।
বলা যায়, লক্ষ্ণৌর বস্তির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বিজ্ঞানে স্নাতক মহান এই শিক্ষক বস্তির দরিদ্র শিশুদের পড়ালেখার কোনো অর্থ নেন না। তিনি বিনামূল্যে তাদের পাঠ দান করে যাচ্ছেন। নগরীর কোথাও তার প্রয়োজন হলে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হন এবং ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান শুরু করেন।
আদিত্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘স্কুলের ক্লাসরুমগুলো কেমন এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা তা জানে না।’ এ সময় একদল শিশু তার কাছে লেখাপড়া শিখছিল।
৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করে ২০০৯ সালে ভারতে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট পাস হয়। কিন্তু শিক্ষাকর্মীরা জানান, স্কুলগুলোতে প্রায়ই ছাত্রছাত্রীদের স্থান সংকুলান হয় না।
একজন দরিদ্র শ্রমিকের ছেলে হিসেবে কুমারকে স্কুলে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে। তার বাবা চাইতেন যে তার সন্তানরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ উপার্জন করুক। তিনি একটি সরকারি স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পান। তবে লেখাপড়া শেখার জন্য কিশোর বয়সেই তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে হয়। কারণ তার দরিদ্র মা-বাবা তার পড়ালেখা বন্ধ করে উপার্জনশীল কাজে লাগাতে চাইতেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি রাস্তায় বাস করেন। এরপর একজন শিক্ষকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি তার ভেতর সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করতে সহায়তা করেন। স্কুলে শিক্ষকতা করার কোনো ইচ্ছে আদিত্যের ছিল না।
তিনি বিশ্বাস করেন তার ভ্রাম্যমাণ স্কুলের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার আলো ছড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন। দিনে প্রায় ২০০ শিশুকে পাঠদান করেন আদিত্য।
No comments