পাকিস্তানে মুত্তাহিদ পার্টির কার্যালয় সিলগালা
পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) করাচির প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে। বুধবার ভোরে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দলীয় এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এমকিউএম করাচির সবচেয়ে বড় একটি রাজনৈতিক দল। পাকিস্তান রেঞ্জার্সের মুখপাত্র কর্নেল তাহির বলেন, অভিযানে এমকিউএমের কার্যালয় থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং তালিকাভুক্ত অপরাধীদের আটক করা হয়েছে। দুই ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এ অভিযানের প্রতিবাদে এমকিউএম দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দলটির সমর্থক এবং কর্মীরা এর মধ্যে প্রধান দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছে। এমকিউএমের জ্যেষ্ঠ নেতা ফারুক সাত্তার বলেন,
অন্যায় ও অবিবেচক একটি অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা সবসময় সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করি। করাচির আজিজাবাদ এলাকায় এমকিউএমের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। বুধবার সকালে সশস্ত্র সেনারা কার্যালয়ের চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করে। বুধবারেই দলটির একটি বিশেষ আন্দোলন কর্মসূচি ধার্য করা হয়েছিল, যার নাম- ‘শান্তিপূর্ণ সকাল’ বা পিসফুল মর্নিং। এমকিউএমের প্রধান নির্বাহী কমিটির নাম রাবিতা। রাবিতার অন্যতম সদস্য আমির খান কার্যালয় ঘেরাওয়ের সময় ভেতরেই অবস্থান করছিলেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ছাড়াও দলীয় আরও নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সশস্ত্রবাহিনী যাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। রেঞ্জার্সের সদস্যরা দলীয় এক নেতাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন দলের ঊর্ধ্বতন মুখপাত্র ওয়াসি জলিল। নিহত সদস্যের নাম ওয়াক্বাস আলি শাহ। সশস্ত্রবাহিনী জানায়, কেন্দ্রীয় কার্যালয় নাইন-জিরো থেকে তারা বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসমূহ ন্যাটোর কন্টেইনার থেকে চুরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পর থেকে করাচির দলীয় সদর দফতরে নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
একনজরে এমকিউএম
১৯৮৪ : দেশ বিভাগের সময় (১৯৪৭) ভারত থেকে আগত উর্দুভাষী মুহাজিরদের নিয়ে এমকিউএম প্রতিষ্ঠা করা হয়
১৯৮৮ : করাচির সব আসনে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহৎ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়
১৯৯২ : দলের প্রধান আলতাফ হোসাইনের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি দেশত্যাগ করেন
২০০৪ : সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বড় মিত্রজোট হিসেবে আবির্ভাব
২০১৪ : আলতাফ হোসেনের বাসায় লন্ডন পুলিশের অভিযান। অর্থ পাচার ও হত্যা মামলার তদন্ত
একনজরে এমকিউএম
১৯৮৪ : দেশ বিভাগের সময় (১৯৪৭) ভারত থেকে আগত উর্দুভাষী মুহাজিরদের নিয়ে এমকিউএম প্রতিষ্ঠা করা হয়
১৯৮৮ : করাচির সব আসনে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহৎ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়
১৯৯২ : দলের প্রধান আলতাফ হোসাইনের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি দেশত্যাগ করেন
২০০৪ : সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বড় মিত্রজোট হিসেবে আবির্ভাব
২০১৪ : আলতাফ হোসেনের বাসায় লন্ডন পুলিশের অভিযান। অর্থ পাচার ও হত্যা মামলার তদন্ত
No comments