গাজায় এবার সবচেয়ে উঁচু ভবনে হামলা
গাজা অভিযানের ৫০তম দিনে এবার সবচেয়ে উঁচু ভবনে ইসরাইলি হামলায় আরও ২ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ভবনটির বেশির ভাগ অংশ। এই হামলায় বিপুল গোলাবারুদের বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা। এর আগে, গত শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়ে ১১ তলাবিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবন ও শনিবার জাফর টাওয়ার নামে ৭ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন ধ্বংস করে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার ভোর হওয়ার আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় নামের এলাকায় ছোট ইতালি হিসেবে পরিচিত একটি ১৬ তলা ভবনে বিমান হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি এফ১৬ যুদ্ধবিমান ৬০টি অ্যাপার্টমেন্টবিশিষ্ট টাওয়ার ব্লক এবং একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে অন্তত ৬টি রকেট নিক্ষেপ করে। এতে ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এর একটু পরেই বিশাল এলাকার ১৪ তলা আল-বাশা ভবনে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। এদিকে ইসরাইল বাহিনী রাতের বেলা ১৫টি বিমান হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তারা দুটি স্কুল ভবনেও হামলা চালিয়েছে। কমপক্ষে ৫টি ইসরাইলি বিমান হামলা চালানো হয় ওই ভবন লক্ষ্য করে। ভবনটিতে প্রায় ৭০টির মতো পরিবার বাস করত।
এছাড়া অফিস ও বিপণিবিতান হিসেবেও ব্যবহার করা হতো ভবনটি। হামলা চালানোর আগে ভবনটির বাসিন্দাদের সতর্ক করায় ভবনটি মারাÍকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ মারা যাননি। এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। এদিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রোববার রাত পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার এক মসজিদে সোমবার ইসরাইলি হামলায় ১৭ বছরের এক তরুণ নিহত ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। গত ৭ সপ্তাহের ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৭১টির মতো মসজিদ ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিকে পূর্বে আঘাত পাওয়া দুই ব্যক্তি সোমবার মারা যাওয়ায় ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১৩৫ এ দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ৯১৫ ফিলিস্তিনি। অপরদিকে এই সংঘাতে ৬৪ ইসরাইলি সেনা, ৩ ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক ও দেশটিতে কর্মরত এক থাই নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
No comments