‘সম্মানজনক’ বিদায় -বেসিক ব্যাংকের লোপাট হওয়া অর্থ উদ্ধার করুন
বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের
চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাইয়ের পদত্যাগের খবরটি তাঁর জন্য ‘সম্মানজনক’ হলেও
সরকারের জন্য মোটেই সম্মানজনক হয়নি। সম্মানজনক হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
জন্যও।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লাভজনক এই ব্যাংকটিকে যে ব্যক্তি দায়িত্ব নেওয়ার পরই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হতে দিয়েছেন, তাঁকে দ্বিতীয়বার নিয়োগ দিয়ে সরকার বড় ধরনের অন্যায় করেছিল। আর সেই অন্যায় ঢাকতে পরবর্তীকালে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, যে কারণে ব্যাংকটিকে মারাত্মক খেসারত দিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দায় এড়াতে পারে না।
২০১১ সাল থেকে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হতে থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় তথা সরকার সবকিছু না দেখার ভান করেছিল। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকের তিনটি শাখায়ই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ার ঘটনা ধরা পড়ার পরও এত দিন পর্ষদ বহাল রেখে কিংবা চেয়ারম্যানকে না সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় দায়িত্বহীনতারই পরিচয় দিয়েছে। রোববার বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে কি না, সেটি নির্ভর করবে সরকারের নীতি ও কৌশলের ওপর। সরকার যদি আগের ধারায়ই ব্যাংকটি চালাতে চায় সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না। বর্তমান সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা নাজুক। সোনালী ব্যাংকে হল–মার্ক কেলেঙ্কারির পরও যে সরকারেরর চৈতন্যোদয় হয়নি, বেসিক ব্যাংকের ঘটনাই তার প্রমাণ।
তাই, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন, এ সংবাদে অর্থমন্ত্রী বা সরকারের আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই। এখন সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত ব্যাংকটির বেহাত হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের পাশাপাশি পদত্যাগী চেয়ারম্যানসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। যে ব্যক্তিটি বেসিক ব্যাংকের সর্বনাশের মূলে, তিনি কোনোভাবেই ‘সম্মানজনক’ পদত্যাগ করে পার পেতে পারেন না। তাঁকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লাভজনক এই ব্যাংকটিকে যে ব্যক্তি দায়িত্ব নেওয়ার পরই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হতে দিয়েছেন, তাঁকে দ্বিতীয়বার নিয়োগ দিয়ে সরকার বড় ধরনের অন্যায় করেছিল। আর সেই অন্যায় ঢাকতে পরবর্তীকালে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, যে কারণে ব্যাংকটিকে মারাত্মক খেসারত দিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দায় এড়াতে পারে না।
২০১১ সাল থেকে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হতে থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় তথা সরকার সবকিছু না দেখার ভান করেছিল। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকের তিনটি শাখায়ই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ার ঘটনা ধরা পড়ার পরও এত দিন পর্ষদ বহাল রেখে কিংবা চেয়ারম্যানকে না সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় দায়িত্বহীনতারই পরিচয় দিয়েছে। রোববার বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে কি না, সেটি নির্ভর করবে সরকারের নীতি ও কৌশলের ওপর। সরকার যদি আগের ধারায়ই ব্যাংকটি চালাতে চায় সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না। বর্তমান সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা নাজুক। সোনালী ব্যাংকে হল–মার্ক কেলেঙ্কারির পরও যে সরকারেরর চৈতন্যোদয় হয়নি, বেসিক ব্যাংকের ঘটনাই তার প্রমাণ।
তাই, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন, এ সংবাদে অর্থমন্ত্রী বা সরকারের আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই। এখন সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত ব্যাংকটির বেহাত হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের পাশাপাশি পদত্যাগী চেয়ারম্যানসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। যে ব্যক্তিটি বেসিক ব্যাংকের সর্বনাশের মূলে, তিনি কোনোভাবেই ‘সম্মানজনক’ পদত্যাগ করে পার পেতে পারেন না। তাঁকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক।
No comments