শঙ্কায় আমিনুলের পরিবার by নুরুজ্জামান লাবু
শঙ্কায় গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুলের
পরিবার। শঙ্কা নিজেদের জীবন নিয়ে। সংশয় আমিনুল হত্যার বিচার নিয়ে।
ন্যায়বিচার পাবেন না বলেই ধরে নিয়েছেন তারা। কারণ, আমিনুল হত্যার দু’বছরের
মাথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পারেনি। মামলার
তদন্ত সংস্থা গোপনে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। চার্জশিটে আমিনুলের এক
সময়ের বন্ধু মোস্তাফিজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু
ঘটনার পর থেকেই মোস্তাফিজ পলাতক। আর একা মোস্তাফিজুরের পক্ষে আমিনুলকে
আশুলিয়া এলাকা থেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এমনকি আমিনুলকে
যেভাবে হত্যা করা হয়েছে এভাবে ঘটনা ঘটানো কারও একার পক্ষে সম্ভব না। গতকাল
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বাড়ইপাড়া হিজলহাটি গ্রামের মৃধাপাড়ায় আমিনুলের
বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমিনুলের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, আমিনুল হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের আশা
আমরা ছেড়েই দিয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অনেক বড় বড় লোক জড়িত। পুলিশ তাদের
কাউকে অভিযুক্ত করেনি। শুধু এক মোস্তাফিজুরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা
দিয়েছে। তা-ও আবার গোপনে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আদালতে চার্জশিট জমা
দিয়েছে। অথচ আমার বিষয়টা জানলাম কয়েক দিন আগে। পুলিশ আমাদের জানানোর
প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেনি। ফাহিমা বেগম বলেন, আসলে আমিনুল হত্যাকাণ্ডের
নেপথ্যে বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। এজন্যই চার্জশিট দেয়ার
আগে পুলিশ আমাদের জানায়নি। নিহত শ্রমিক নেতা আমিনুলের ছোট ভাই ও মামলার
বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। আমরা বড় কোন শক্তির সঙ্গে ফাইট
করতে পারবো না। বলতে পারেন আমরা ভীত। ভাইয়ের মতো আবার আমাকে কে কখন তুলে
নিয়ে যায় তার কি ভরসা আছে! এজন্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র প্রতিবাদও করতে
পারি না। আবার ভাইয়ের খুনিরা বেঁচে যাবে এটাও মানতে পারি না। রফিকুল ইসলাম
বলেন, এ সরকার আমিনুল হত্যার বিচার না করুক অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় এলে
ঠিকই এই হত্যার বিচার হবে। আমরা ন্যায়বিচার নিয়ে আশঙ্কা করছি ঠিকই, কিন্তু
আশাও ছেড়ে দিচ্ছি না। গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংগঠনসহ দেশী-বিদেশী একাধিক
সংগঠন আমাদের পাশে রয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য আমরা ফাইট করে যাবো।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়াইপাড়া হিজলহাটি গ্রামের মৃধাপাড়ায় আমিনুলের যে বাসায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন, ২০১২ সালের ৪ঠা এপ্রিল ওই বাসা থেকেই আমিনুল দুপুরে বের হয়ে গিয়েছিলেন। স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানান, সেদিন দুপুরে খেয়ে আমিনুল বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আশুলিয়ায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আমিনুলকে ডেকে নিয়ে যায় মোস্তাফিজুর। তার সঙ্গে এসময় বোরকা পরা এক মেয়ে ছিল। মোস্তাফিজুর আর ওই মেয়ে বিয়ে করবে বলে আমিনুলকে সাহায্য করতে বলে। আসলে এটা ছিল ওদের চালাকি। ডেকে নিয়ে যাওয়ার উছিলা ছিল ওটা। ফাহিমা বেগম বলেন, ওইদিন সারা দিন বাসার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি আমিনুলকে ফোন দিতে পারিনি। সন্ধ্যায় ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাই। ভেবেছিলাম হয়তো মাগরিবের নামাজ পড়ছে। পরে রাত ৮-৯টার দিকেও ফোন বন্ধ পেয়ে বিষয়টি ওই সংগঠনের লাবণী নামে একজনকে জানাই। সে বলে আমিনুল সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে গেছে। এরপর গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার ও কল্পনা আক্তারকে জানালে তারা প্রথমে আত্মীয় স্বজনের বাসায় খোঁজ নিতে বলেন। পরদিন থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ জিডি নেয়নি। উল্টো ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা আগে জিডি নেয়া যাবে না। সেদিন সারা দিন কোনো খোঁজ না পেয়ে ৬ই এপ্রিল সকালে আবার থানায় যাই। আশুলিয়া থানা পুলিশ একটা নিখোঁজ জিডি নেয়। কিন্তু কোন খোঁজ দিতে পারেনি তারা। ৭ই এপ্রিল শনিবার এক প্রতিবেশী পত্রিকায় একটি অজ্ঞাত লাশের ছবি দেখে আমিনুল বলে সন্দেহ করেন। ওই পত্রিকার ছবি দেখে আত্মীয়স্বজনরা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় যান। সেখানে গিয়ে ছবি দেখে আমিনুলকে সনাক্ত করেন। ঘাটাইল থানার পুলিশ এসময় জানিয়েছিল তারা বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে। একদিন রেখে শুক্রবার তা আঞ্জুমান মুফিদুলের কাছে হস্তান্তর করে। আমি বাবুল আক্তারকে বলেছিলাম আপনারা যেভাবেই হোক আমার স্বামীর লাশ আমার কাছে এনে দেন। পরে কবর থেকে লাশ তুলে বাড়ির কাছে এনে দাফন করি। ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে থাকা ছবি দেখেই বুঝেছিলাম ভাইকে কঠোর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই হাঁটু থেঁতলানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। পরে লাশ তোলার পর আমি নিজের চোখে দেখি। তার দুই হাঁটুতে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা তার কাছ থেকে কোনও কথা বের করার চেষ্টা করেছিল বলে মনে হয়। কিন্তু না পেরে শেষে হত্যা করেছে। আর হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে যে কেউ বলবে একা কেউ তাকে হত্যা করেনি। হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছিল। অথচ সিআইডি পুলিশ একজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিল। বোঝাই যায় এটা তামাশার চার্জশিট। তিনি বলেন, এর আগেও দু’বার তাকে গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছে। তিন বারের বার আর বাঁচতে পারলো না। তিনি জানান, ২০০৭-০৮ সালের দিকে একবার গোয়েন্দারা তাকে ধরে ছিল। সারা দিন কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে রাখে। পরে রাতে টাঙ্গাইলে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। আর ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার গোয়েন্দারা তাকে ধরে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। গাড়িতে তুলে তাকে নির্যাতন করা হয়। পায়ের আঙুল থেঁতলে দিয়েছিল। মাথায় আঘাতের কারণে কান দিয়ে রক্ত পড়তো তার। পানি খাইতে বা প্রস্রাব করতে চাইলে গাড়িতেই তা করতে বলছে। পরে একবার ফল খাওয়ার জন্য নিচে নেমে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু শেষবার আর বাঁচতে পারলো না।
আমিনুলের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, যে বিষয়টা নিয়ে সারাবিশ্বে তোলপাড় হলো কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনদিন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলো না। কেউ আসেনি। আমিনুল যে গার্মেন্টে সর্বশেষ কাজ করেছে সেই শাশা ডেনিম এক বছর ধরে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে টাকা দিচ্ছে। তারা আরও চার বছর দেবে বলে কথা দিয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে কিছু আর্থিক অনুদান পেয়েছিলাম। সেই টাকার কিছু অংশ দিয়ে বেচে দেয়া ভিটাবাড়িটা ফিরিয়ে নিয়েছি। আর পাশের একটি জমিতে আধাপাকা ঘর তুলেছি। এখান থেকে অল্প কিছু ভাড়া পাই আর সেলাই মেশিন চালাই। সব মিলিয়ে কোনরকমে সংসার চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তিন সন্তান তার। বড় মেয়ে সায়মা ইসলাম আঁখি কওমি মাদরাসা থেকে মৌলানা পাস করেছে। কিছুদিন আগে বিয়ে দিয়েছি। আর দুই যমজ ছেলে আবদুল কাইয়ুম রাকিব ও আবদুল হাই সাকিব গাজীপুর শ্রীপুরের একটি মাদরাসায় পড়ে। তাদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়ে কোনরকমে সংসারটা চলছে। তিনি বলেন, স্বামীর সঙ্গে আগে ভাড়া বাসায় থাকতাম। তবুও সুখ ছিল। কিন্তু এখন স্বামী নাই। টাকা-পয়সা দিয়ে কি আর সুখ ফেরত আনা যাবে? তবু স্বামী হত্যার ন্যায়বিচারটা পাইলে ও খুনিরা সবাই ধরা পড়লে মনে একটু শান্তি পাবো।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়াইপাড়া হিজলহাটি গ্রামের মৃধাপাড়ায় আমিনুলের যে বাসায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন, ২০১২ সালের ৪ঠা এপ্রিল ওই বাসা থেকেই আমিনুল দুপুরে বের হয়ে গিয়েছিলেন। স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানান, সেদিন দুপুরে খেয়ে আমিনুল বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আশুলিয়ায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আমিনুলকে ডেকে নিয়ে যায় মোস্তাফিজুর। তার সঙ্গে এসময় বোরকা পরা এক মেয়ে ছিল। মোস্তাফিজুর আর ওই মেয়ে বিয়ে করবে বলে আমিনুলকে সাহায্য করতে বলে। আসলে এটা ছিল ওদের চালাকি। ডেকে নিয়ে যাওয়ার উছিলা ছিল ওটা। ফাহিমা বেগম বলেন, ওইদিন সারা দিন বাসার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি আমিনুলকে ফোন দিতে পারিনি। সন্ধ্যায় ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাই। ভেবেছিলাম হয়তো মাগরিবের নামাজ পড়ছে। পরে রাত ৮-৯টার দিকেও ফোন বন্ধ পেয়ে বিষয়টি ওই সংগঠনের লাবণী নামে একজনকে জানাই। সে বলে আমিনুল সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে গেছে। এরপর গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার ও কল্পনা আক্তারকে জানালে তারা প্রথমে আত্মীয় স্বজনের বাসায় খোঁজ নিতে বলেন। পরদিন থানায় গিয়ে জিডি করতে চাইলে পুলিশ জিডি নেয়নি। উল্টো ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা আগে জিডি নেয়া যাবে না। সেদিন সারা দিন কোনো খোঁজ না পেয়ে ৬ই এপ্রিল সকালে আবার থানায় যাই। আশুলিয়া থানা পুলিশ একটা নিখোঁজ জিডি নেয়। কিন্তু কোন খোঁজ দিতে পারেনি তারা। ৭ই এপ্রিল শনিবার এক প্রতিবেশী পত্রিকায় একটি অজ্ঞাত লাশের ছবি দেখে আমিনুল বলে সন্দেহ করেন। ওই পত্রিকার ছবি দেখে আত্মীয়স্বজনরা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় যান। সেখানে গিয়ে ছবি দেখে আমিনুলকে সনাক্ত করেন। ঘাটাইল থানার পুলিশ এসময় জানিয়েছিল তারা বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে। একদিন রেখে শুক্রবার তা আঞ্জুমান মুফিদুলের কাছে হস্তান্তর করে। আমি বাবুল আক্তারকে বলেছিলাম আপনারা যেভাবেই হোক আমার স্বামীর লাশ আমার কাছে এনে দেন। পরে কবর থেকে লাশ তুলে বাড়ির কাছে এনে দাফন করি। ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে থাকা ছবি দেখেই বুঝেছিলাম ভাইকে কঠোর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই হাঁটু থেঁতলানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। পরে লাশ তোলার পর আমি নিজের চোখে দেখি। তার দুই হাঁটুতে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা তার কাছ থেকে কোনও কথা বের করার চেষ্টা করেছিল বলে মনে হয়। কিন্তু না পেরে শেষে হত্যা করেছে। আর হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে যে কেউ বলবে একা কেউ তাকে হত্যা করেনি। হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছিল। অথচ সিআইডি পুলিশ একজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিল। বোঝাই যায় এটা তামাশার চার্জশিট। তিনি বলেন, এর আগেও দু’বার তাকে গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছে। তিন বারের বার আর বাঁচতে পারলো না। তিনি জানান, ২০০৭-০৮ সালের দিকে একবার গোয়েন্দারা তাকে ধরে ছিল। সারা দিন কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে রাখে। পরে রাতে টাঙ্গাইলে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। আর ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার গোয়েন্দারা তাকে ধরে ময়মনসিংহে নিয়ে যায়। গাড়িতে তুলে তাকে নির্যাতন করা হয়। পায়ের আঙুল থেঁতলে দিয়েছিল। মাথায় আঘাতের কারণে কান দিয়ে রক্ত পড়তো তার। পানি খাইতে বা প্রস্রাব করতে চাইলে গাড়িতেই তা করতে বলছে। পরে একবার ফল খাওয়ার জন্য নিচে নেমে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু শেষবার আর বাঁচতে পারলো না।
আমিনুলের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, যে বিষয়টা নিয়ে সারাবিশ্বে তোলপাড় হলো কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনদিন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলো না। কেউ আসেনি। আমিনুল যে গার্মেন্টে সর্বশেষ কাজ করেছে সেই শাশা ডেনিম এক বছর ধরে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে টাকা দিচ্ছে। তারা আরও চার বছর দেবে বলে কথা দিয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে কিছু আর্থিক অনুদান পেয়েছিলাম। সেই টাকার কিছু অংশ দিয়ে বেচে দেয়া ভিটাবাড়িটা ফিরিয়ে নিয়েছি। আর পাশের একটি জমিতে আধাপাকা ঘর তুলেছি। এখান থেকে অল্প কিছু ভাড়া পাই আর সেলাই মেশিন চালাই। সব মিলিয়ে কোনরকমে সংসার চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তিন সন্তান তার। বড় মেয়ে সায়মা ইসলাম আঁখি কওমি মাদরাসা থেকে মৌলানা পাস করেছে। কিছুদিন আগে বিয়ে দিয়েছি। আর দুই যমজ ছেলে আবদুল কাইয়ুম রাকিব ও আবদুল হাই সাকিব গাজীপুর শ্রীপুরের একটি মাদরাসায় পড়ে। তাদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়ে কোনরকমে সংসারটা চলছে। তিনি বলেন, স্বামীর সঙ্গে আগে ভাড়া বাসায় থাকতাম। তবুও সুখ ছিল। কিন্তু এখন স্বামী নাই। টাকা-পয়সা দিয়ে কি আর সুখ ফেরত আনা যাবে? তবু স্বামী হত্যার ন্যায়বিচারটা পাইলে ও খুনিরা সবাই ধরা পড়লে মনে একটু শান্তি পাবো।
No comments