বাশারের ওপর ফের চাপ বাড়াবে পশ্চিমারা
সিরিয়ায় মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে সংকট বাড়তে থাকায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের ওপর আবার পশ্চিমা দেশগুলো চাপ বাড়াবে৷ সদ্যসমাপ্ত জেনেভা শান্তি আলোচনায় আশানুরূপ সাফল্য না আসার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পশ্চিমা কূটনীতিকেরা জানান, সিরিয়ার হোমস ও অন্যান্য অবরুদ্ধ শহরে ত্রাণকর্মীদের প্রবেশাধিকারের সুযোগ নিয়ে এ সপ্তাহেই নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তৈরি করা হতে পারে৷ জেনেভা শান্তি আলোচনা শুরুর আগেই হোমসে আটকে পড়া আড়াই হাজারের বেশি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রীবাহী ট্রাক পাঠিয়েছিল জাতিসংঘ৷ কিন্তু সিরিয়ার সরকার ওই ট্রাক ঢুকতে দেয়নি৷ এমনকি সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি জেনেভা আলোচনায় চাপ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দামেস্ক৷ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই গত শুক্রবার শান্তি আলোচনা শেষ হয়৷
কূটনীতিকেরা জানান, প্রেসিডেন্ট বাশারের পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা হোমস থেকে কেবল নারী ও শিশুদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ কিন্তু কূটনীতিকেরা বলেন, এতে শহরে অবস্থানরত বািক নাগরিকদের ওপর সরকারের গণহত্যা চালানোর পথ খুলে যাবে৷ এদিকে অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সিরিয়ার মারাত্মক বিপজ্জনক রাসায়নিক অস্ত্রের মাত্র ৪ শতাংশ দেশটির বাইরে নেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ সিরিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান: সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম গত শনিবার দাবি করেন, জেনেভা শান্তি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল৷ কিন্তু দামেস্ক তা গ্রহণ করেনি৷ তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ দাবি নাকচ করে দিয়ে এর মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সরাসরি মধ্যস্থতার কোনো রকম চেষ্টা করেনি যুক্তরাষ্ট্র৷ এএফপি৷
No comments