কংগ্রেসের নজর শেষ অধিবেশনে
কংগ্রেস এবারের নির্বাচনকে ধর্মনিরপেক্ষ বনাম সম্প্রদায়িকতার তকমায় মুড়ে দিতে চাইছে |
ভারতের লোকসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করাতে চায়৷ এই বিলগুলোর কয়েকটি যেমন দুর্নীতি রোধে সহায়ক হবে, অন্যগুলো আর্থিক সংস্কারের জন্য জরুরি৷ কিন্তু বিরোধীরা তা হতে দেবে কি না, অধিবেশনের প্রাক্কালে সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে৷ আগামী বুধবার দুই সপ্তাহ স্থায়ী অিধবেশন বসছে৷ গত মাসে কংগ্রেসের এক দিনের অধিবেশনে সহসভাপতি রাহুল গান্ধী দুর্নীতি রোধে তাঁর মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন৷ লোকপাল বিল পাস হলেও এর পরিপূরক আরও দুটি বিল পাস না হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন৷
সেই বিল দুটি হলো হুইসেল ব্লোয়ার বিল ও সিটিজেনস চার্টার৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের রক্ষায় লোকপালের সঙ্গে হুইসেল ব্লোয়ার বিল আনতে চেয়েছিলেন আন্না হাজারে৷ একই সঙ্গে তিনি চেয়েছিলেন, কোন কাজে কত দিন লাগবে, তা নির্ধারণ করা৷ ওই সময়ে কাজ শেষ না হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিটিজেনস চার্টার বিল পাস করতে হবে৷ কংগ্রেস চাইছে, সংক্ষিপ্ত এই বাজেট অধিবেশনে এই দুই বিলের পাশাপাশি আর্থিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি বিলও পাস করতে৷ বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনেই কংগ্রেস ও বিজেপির বাইরের দলগুলো বৈঠক করে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চাইছে৷ নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা নিতে পারে, কংগ্রেসকে এমন কোনো সুযোগ দিতে চায় না এসব দল৷ কংগ্রেস সরকারকে কোনো রকমের কৃতিত্ব দিতে বিরোধীরা আর রাজি নয়৷ এ কারণে রাজ্যসভায় সীমান্ত বিল পাস করা নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ শনিবার কর্ণাটকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, বিজেপি বিষের খেত তৈরি করেছে৷ গতকাল রোববার নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশে তার জবাব দিয়ে বলেন, কংগ্রেসই বেশি বিষপান করেছে৷ ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, কংগ্রেস ততই এবারের নির্বাচনকে ধর্মনিরপেক্ষ বনাম সাম্প্রদায়িকতার তকমায় মুড়তে চাইছে৷ কংগ্রেসের লক্ষ্য, রাজনৈতিক শক্তিকে দুই শিবিরে ভাগ করে বিজেপিকে কোণঠাসা করা, যাতে কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন হতে পারে৷
No comments