মিত্রদের ওপর নজরদারি নিষিদ্ধ করলেন ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর নেতাদের ওপর নজরদারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত শুক্রবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন ওবামা। এতে ওই সব পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে নজরদারি নিয়ন্ত্রণে ওবামার ঘোষিত সংস্কারের পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয় বলে দাবি করেছে নাগরিক সংগঠনগুলো। বিশ্লেষকেরাও প্রায় একই কথা বলছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগে দেওয়া বক্তৃতায় নজরদারি নিয়ন্ত্রণে তাঁর প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তবে তিনি বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজরদারির মাধ্যমে যা কিছু করেছে, তাতে তিনি অনুতপ্ত নন। নজরদারি চালাতে দিয়ে সংস্থাগুলোর আইন লঙ্ঘনের মতো কোনো কিছু চোখে পড়েনি বলেও দাবি করেন ওবামা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বড় আকারে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, বড় আকারে তথ্য সংগ্রহ করলে এই সুযোগের ‘অপব্যবহারেরও আশঙ্কা’ থাকবে। ওবামা বলেন, ‘সংস্কারের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সরকারের ওপর মার্কিন জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি আমাদের গোপনীয়তা রক্ষায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারির ক্ষেত্রে বিশেষ কৌশল ব্যবহার করবে।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ওপর ওয়াশিংটন আর নজরদারি চালাবে না। অন্য দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে ওবামা বলেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের এটা জানা উচিত যে মার্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি না হলে বিদেশি কোনো নাগরিকের ওপর নজরদারি করে না ওয়াশিংটন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারির শিকার হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। গত শুক্রবার ম্যার্কেলের একজন মুখপাত্র বলেন, মার্কিন নজরদারি নিয়ে জার্মানির জনগণ উদ্বিগ্ন। বিদেশি নাগরিকদের অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মান জানানো উচিত। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন কয়েক মাস আগে মার্কিন নজরদারির খবর ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। আল-জাজিরা ও বিবিসি।
কিয়েভে আজ নতুন করে বিরোধীদের সমাবেশ
ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী (ইইউ) সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা আজ রোববার আবার নতুন করে রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের সমাবেশ করতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার থেকেই স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ গত শুক্রবারই দেশটিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে এক আইনে স্বাক্ষর করেন। পশ্চিমা বিশ্ব এ আইনের নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ একে ‘গণতন্ত্রের পরিপন্থী’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ‘স্বৈরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। সমালোচনাকারীরা বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন ইয়ানুকোভিচ। ২০১২ সালে বড় ধরনের বিক্ষোভের মুখেও তৃতীয় দফায় ক্রেমলিনে ফেরার পর এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিলেন পুতিন। ইয়ানুকোভিচের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই সরকারি ভবন ঘেরাও কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অপবাদ’ ছড়ানোর অপরাধে কারাদণ্ডসহ কঠোর সাজার বিধান রেখে শুক্রবার নতুন আইনে সই করেন প্রেসিডেন্ট। লিওনিদ তেরতিচনি নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা স্তালিন যুগে ফিরে যাচ্ছি। ইউক্রেনে নতুন আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হলে পরিস্থিতি রাশিয়া কিংবা বেলারুশের চেয়েও খারাপ হবে। কিন্তু আমাদের বিক্ষোভ চলবেই।’ নতুন কঠোর আইন হলেও বিরোধীরা দমেনি। বরং আজকের সমাবেশ সফল করার উদ্দেশে কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে দলে দলে জড়ো হচ্ছে। গত মাসে রাশিয়ার চাপের মুখে ইইউর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক ও বাণিজ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করা থেকে বিরত থাকেন প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ। এর প্রতিবাদে তখন ইইউপন্থী হাজারো মানুষ কিয়েভের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন। এএফপি।
ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী (ইইউ) সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা আজ রোববার আবার নতুন করে রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের সমাবেশ করতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার থেকেই স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ গত শুক্রবারই দেশটিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে এক আইনে স্বাক্ষর করেন। পশ্চিমা বিশ্ব এ আইনের নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ একে ‘গণতন্ত্রের পরিপন্থী’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ‘স্বৈরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। সমালোচনাকারীরা বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন ইয়ানুকোভিচ। ২০১২ সালে বড় ধরনের বিক্ষোভের মুখেও তৃতীয় দফায় ক্রেমলিনে ফেরার পর এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছিলেন পুতিন। ইয়ানুকোভিচের পদত্যাগের দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই সরকারি ভবন ঘেরাও কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অপবাদ’ ছড়ানোর অপরাধে কারাদণ্ডসহ কঠোর সাজার বিধান রেখে শুক্রবার নতুন আইনে সই করেন প্রেসিডেন্ট। লিওনিদ তেরতিচনি নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা স্তালিন যুগে ফিরে যাচ্ছি। ইউক্রেনে নতুন আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হলে পরিস্থিতি রাশিয়া কিংবা বেলারুশের চেয়েও খারাপ হবে। কিন্তু আমাদের বিক্ষোভ চলবেই।’ নতুন কঠোর আইন হলেও বিরোধীরা দমেনি। বরং আজকের সমাবেশ সফল করার উদ্দেশে কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে দলে দলে জড়ো হচ্ছে। গত মাসে রাশিয়ার চাপের মুখে ইইউর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক ও বাণিজ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করা থেকে বিরত থাকেন প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ। এর প্রতিবাদে তখন ইইউপন্থী হাজারো মানুষ কিয়েভের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছিলেন। এএফপি।
No comments