নজরদারি প্রকল্প প্রিজম
প্রিজম কী?: যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়
নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর গোপনে কড়া নজর রাখতে
২০০৭ সালে একটি ইন্টারনেটভিত্তিক প্রকল্প চালু করে। ওই প্রকল্পের নামই
প্রিজম। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
ই-মেইল বার্তা, ভিডিওচিত্র, ভয়েস ও ভিডিও সংলাপ সরাসরি প্রিজম প্রকল্পে
পাঠায়। গোপন প্রকল্পটির বিষয়ে গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্ট ৬ জুন প্রথম
তথ্য প্রকাশ করে। ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক
জেমস ক্ল্যাপার প্রকল্পটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বলেন, সংগৃহীত
তথ্য খতিয়ে দেখার ব্যাপারে আদালতের কড়া সুপারিশমালা অনুসরণ করা হয়। ১৯৭৮
সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সার্ভেইল্যান্স অ্যাক্টের
(ফিসা) শর্ত অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
বিশ্বাসঘাতকতা করছে কিংবা বিদেশি কোনো শক্তির পক্ষে দেশটির ওপর হামলার
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে সন্দেহ হলে তিনজন বিচারকের একটি বিশেষ আদালত
ইলেকট্রনিক তথ্য নজরদারির অনুমোদন দিতে পারবেন। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর
বুশ প্রশাসন এনএসএকে আদালত এড়িয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা
ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ওপর নজরদারি করার অনুমতি দেয়।
প্রিজমের কথা যেভাবে প্রচার পেল: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা
সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন প্রিজম সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য ফাঁস করে দেন। এরপর তিনি ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হংকং চলে যান।
কাদের তথ্য পর্যালোচনা করে এনএসএ?: সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির তথ্য চাইলেই খতিয়ে দেখতে পারে না এনএসএ। কোনো সন্দেহজনক যোগাযোগ সম্পর্কে এনএসএর ৫১ শতাংশ আস্থা থাকলেই কেবল তা খতিয়ে দেখা হয়। এরপর দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) তা খতিয়ে দেখে। পরে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তিনি যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন, তা পর্যালোচনা করা হয়। ২০ জুন গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সে দেশে বসবাসকারীদের সন্দেহজনক কোনো তথ্য পেলে এনএসএ স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠায় কিংবা নষ্ট করে ফেলে। এই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এর মধ্য দিয়ে নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়। যেভাবে তথ্য আসে: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সার্ভারের মাধ্যমে সরাসরি তথ্য পায় প্রিজম। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসি।
কাদের তথ্য পর্যালোচনা করে এনএসএ?: সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির তথ্য চাইলেই খতিয়ে দেখতে পারে না এনএসএ। কোনো সন্দেহজনক যোগাযোগ সম্পর্কে এনএসএর ৫১ শতাংশ আস্থা থাকলেই কেবল তা খতিয়ে দেখা হয়। এরপর দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) তা খতিয়ে দেখে। পরে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তিনি যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন, তা পর্যালোচনা করা হয়। ২০ জুন গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সে দেশে বসবাসকারীদের সন্দেহজনক কোনো তথ্য পেলে এনএসএ স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠায় কিংবা নষ্ট করে ফেলে। এই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এর মধ্য দিয়ে নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়। যেভাবে তথ্য আসে: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সার্ভারের মাধ্যমে সরাসরি তথ্য পায় প্রিজম। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসি।
No comments