সমাবেশে অভিযোগ ॥ পাঁচ নদীর সীমানা নির্ধারণী খুঁটি পানির মধ্যেই স্থাপন করা হচ্ছে
রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী তিন জেলার পাঁচ নদীর সীমানা নির্ধারণী খুঁটির দু’চারটি ছাড়া সবই পানির মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও গ্রীন ভয়েস যৌথভাবে ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর তীরে সীমানা খুঁটির প্রায় সবই নদীর মধ্যে স্থাপন করা হচ্ছে। এই কাজ এখনও চলমান উল্লেখ করে বক্তারা সঠিক সীমানা নির্ধারণ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেন, নদীর মধ্যে খুঁটি বসিয়ে এবং রাস্তা নির্মাণ করে সরকারী উদ্যোগে নদী ধ্বংসের এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর মধ্যেই নদীর ভেতরের সব খুঁটি, রাস্তা ও দখলদার অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে সঠিকভাবে নদীর সীমানা চিহ্নিত করে নদী বাঁচাতে হবে।
বক্তারা বলেন, শুকনো মৌসুমে তুরাগ নদের স্বল্প প্রবাহের (লিন ফ্লো) পানির পাশে অর্থাৎ নদীর ভেতরে শতাধিক খুঁটি স্থাপন করায় নদীর দু’পাশে গড়ে প্রায় সাড়ে সাত শ’ ফুট নদীর ঢাল ও পাড় নদীর মালিকানার বাইরে চলে গেছে। তীব্র সমালোচনার মধ্যে গত বছর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় খুঁটি স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখলেও তারপর একই প্রক্রিয়ায় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকেও নদীর ভেতরে হাজার হাজার খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করা হয়, যা এখনও চলছে। দু’চারটি বাদে সব খুঁটিই নদীর ভেতরে বসানো হচ্ছে।
তারা বলেন, নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য খুঁটি বসানো, দখলদার উৎখাত, নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে বা হাঁটার রাস্তা নির্মাণ, গাছ লাগানো, দূষণ প্রতিরোধÑএ সবই হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করা হলেও বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যার মধ্যে খুঁটি বসানোর নামে যা করা হচ্ছে তা আসলে হাইকোর্টের নির্দেশের লঙ্ঘন।
সমাবেশে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশে একটি ‘নদী’কে তার একটি তলা (বেড), ঢাল (ফোর শোর) ও ১৫০ ফুট প্রস্থ নদীর পাড় (ব্যাঙ্ক) মিলে একটি একক স্বত্তা হিসেবে সজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কিন্তু খুঁটি স্থাপনের সময় তা একেবারেই মানা হচ্ছে না। নদী রক্ষায় গঠিত টাস্কফোর্স বিষয়টি দেখেও রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুলাহ, হাওড় ও জলাধার উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, বাপার যুগ্ম সম্পাদক জে কে বড়াল ও শরীফ জামিল, গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, নদীপক্ষের সমন্বয়ক হাসান ইউসুফ খান, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্ট্রিগ্রিটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী প্রকৌশলী রেবা পাল, টিআইবির প্রকল্প সমন্বয়কারী এম জাকির হোসেন খান প্রমুখ
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল সীমানা খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিব্লউটিএ)। প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসন বিআইডব্লিউটিএকে সহায়তা দিচ্ছে। ত্রিশ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
সমাবেশে বক্তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেন, নদীর মধ্যে খুঁটি বসিয়ে এবং রাস্তা নির্মাণ করে সরকারী উদ্যোগে নদী ধ্বংসের এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর মধ্যেই নদীর ভেতরের সব খুঁটি, রাস্তা ও দখলদার অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে সঠিকভাবে নদীর সীমানা চিহ্নিত করে নদী বাঁচাতে হবে।
বক্তারা বলেন, শুকনো মৌসুমে তুরাগ নদের স্বল্প প্রবাহের (লিন ফ্লো) পানির পাশে অর্থাৎ নদীর ভেতরে শতাধিক খুঁটি স্থাপন করায় নদীর দু’পাশে গড়ে প্রায় সাড়ে সাত শ’ ফুট নদীর ঢাল ও পাড় নদীর মালিকানার বাইরে চলে গেছে। তীব্র সমালোচনার মধ্যে গত বছর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় খুঁটি স্থাপনের কাজ বন্ধ রাখলেও তারপর একই প্রক্রিয়ায় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকেও নদীর ভেতরে হাজার হাজার খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করা হয়, যা এখনও চলছে। দু’চারটি বাদে সব খুঁটিই নদীর ভেতরে বসানো হচ্ছে।
তারা বলেন, নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য খুঁটি বসানো, দখলদার উৎখাত, নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে বা হাঁটার রাস্তা নির্মাণ, গাছ লাগানো, দূষণ প্রতিরোধÑএ সবই হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করা হলেও বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যার মধ্যে খুঁটি বসানোর নামে যা করা হচ্ছে তা আসলে হাইকোর্টের নির্দেশের লঙ্ঘন।
সমাবেশে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশে একটি ‘নদী’কে তার একটি তলা (বেড), ঢাল (ফোর শোর) ও ১৫০ ফুট প্রস্থ নদীর পাড় (ব্যাঙ্ক) মিলে একটি একক স্বত্তা হিসেবে সজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কিন্তু খুঁটি স্থাপনের সময় তা একেবারেই মানা হচ্ছে না। নদী রক্ষায় গঠিত টাস্কফোর্স বিষয়টি দেখেও রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুলাহ, হাওড় ও জলাধার উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, বাপার যুগ্ম সম্পাদক জে কে বড়াল ও শরীফ জামিল, গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, নদীপক্ষের সমন্বয়ক হাসান ইউসুফ খান, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্ট্রিগ্রিটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী প্রকৌশলী রেবা পাল, টিআইবির প্রকল্প সমন্বয়কারী এম জাকির হোসেন খান প্রমুখ
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল সীমানা খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিব্লউটিএ)। প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসন বিআইডব্লিউটিএকে সহায়তা দিচ্ছে। ত্রিশ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
No comments