গরিব মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে কি? by ডা. এম এ করীম

ছোটবেলায় পড়েছিলাম, 'স্বাস্থ্যই সম্পদ' বা 'স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল'। প্রত্যেক নাগরিকের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্য অন্যতম। আমরা সবাই জানি, মানব উন্নয়নে স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। স্বাস্থ্য ভরতে শুধু শরীরের রোগব্যাধি বা দুর্বলতাকে বোঝায় না। এটা পরিপূর্ণভাবে মানসিক ও সামাজিক সুস্থতাকে বোঝায়। স্বাস্থ্য প্রতিটি দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি বাহাত্তরের সংবিধানে দেওয়া আছে।


সংবিধানের ১৫(ক) এবং ১৮(১)-এ তা সুস্পষ্ট। ১৫(ক)-তে আছে, চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব এবং ১৮(১)-এ আছে, জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। আমাদের দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবার চেহারা যা দেখা যায়, তা কিন্তু কখনো 'গরিববান্ধব' বলা চলে না। আমাদের দেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ গরিব। প্রায় ৬০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে। মানব উন্নয়নের কথা বিবেচনায় আনলে এটা সম্ভবত মাঝারি মানব উন্নয়নকারী দেশ হিসেবে বিবেচনায় আনা যেতে পারে। স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়ন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কিন্তু হালে আমরা কী দেখছি? চিকিৎসা গরিব মানুষের নাগালের বাইরে। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে, ভুল চিকিৎসায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছে (আমি ভুল চিকিৎসা না বলে দায়িত্বে অবহেলা বলতেই পছন্দ করি); রাজনৈতিক কারণে হাসপাতাল তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরকারি হাসপাতালে পড়ে থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় পত্রিকার পাতায় উঠে এসেছে। আমি নিজে একজন চিকিৎসক। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। তবুও যখন দেখি এককভাবে শুধু চিকিৎসকদের দায়ী করা হয়, তখন মনটা খারাপ হয়ে যায় বৈকি। আজও দেশে স্বাস্থ্যনীতি আলোর মুখ দেখল না। স্বাস্থ্যনীতি না থাকায় গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে শুধু চিকিৎসক জড়িত তা কিন্তু নয়। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। বিশেষ করে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায়। তাই বলে আমি বলছি না যে চিকিৎসকরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা। সমাজের সর্বস্তরের যে চেহারা, তা থেকে চিকিৎসাব্যবস্থাকে আলাদা করার কোনো উপায় আছে বলে অন্তত আমি মনে করি না। এই ধরুন, ভুয়া চিকিৎসক। যার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ডিগ্রি নেই, অথচ সে নির্বিবাদে তার ব্যবস্থাপত্রে এমবিবিএস, এফসিপিএস এবং এমডি (কার্ডিওলজি) লিখে চিকিৎসাসেবার নামে কুচিকিৎসা, অপচিকিৎসা ও অর্ধচিকিৎসা করে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের মৃত্যু প্রায় নিত্যদিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমার এক ছোট ভাই কার্ডিওলজিস্ট, তার এলাকা সরিষাবাড়ী। মাসে সে সেখানে একবার গিয়ে জনগণের সেবা করে। কদিন আগে তার একটি প্রেসক্রিপশন এক রোগী আমাকে এনে দিয়েছে, যাতে লেখা আছে_এমবিবিএস, এফসিপিএস এবং এমডি (কার্ডিওলজি)। ব্যবস্থাপত্রের ধরন দেখে আমাদের দুজনেরই সন্দেহ হলো ভুয়া ডাক্তার বলে। ব্যবস্থাপত্রটি বিএমডিসির চেয়ারম্যানের হাতে দেওয়া হয়েছে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। আমি নিশ্চিত, সে ভুয়া চিকিৎসক। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। হ্যাঁ, আমিও স্বীকার করি, গরিব মানুষ চিকিৎসা পায় না। সরকারি হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। তার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও চিকিৎসকের অবহেলা (যা অনেকে বলেন) তো আছেই। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থার কারণেই সমাজের সামর্থ্যবানরা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে তো গরিব মানুষ যেতে পারে না। যেসব বিত্তবান ওগুলোর দ্বারস্থ হন তাঁরাও রেহাই পান না অতিরিক্ত মুনাফালোভী বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। মাঝেমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার কারণে অনেকের অপমৃত্যু বা অকালমৃত্যুর খবরও আমরা পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই। এই তো কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী 'ডিহাইড্রেশনজনিত' সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য! মাত্র এক হাজার টাকা কম থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করে (সত্যতা যাচাইকৃত নয়)। ভর্তিজনিত দেরি ও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে শেষ পর্যন্ত মৃদুলকান্তিকে লাশ হয়ে ফিরতে হয় ক্যাম্পাসে। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন হাবিবুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একটি নামিদামি হাসপাতালে (ইউনাইটেড) ভর্তি হন। বাইপাস সার্জারি হয়। শুনেছি, 'স্যোডুমোনাস ইনফেকশন'-এর কারণে নাকি তাঁকেও লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। আবার জীবিত শিশুর বদলে মৃত শিশু হস্তান্তরের অভিযোগও শোনা গেছে স্কয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে। (তবে এ অভিযোগটি এখনো ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায়)। এ রকম অনেক ঘটনা অজানা রয়ে গেছে। এ তো গেল কিছু নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালের কথা। যেখানে সাধারণ গরিব মানুষের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অবস্থা একেবারে খারাপ তা বলা যাবে না। তবে ব্যবস্থাপনা একেবারে নাজুক। তা ছাড়া দরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে ওষুধ সরবরাহ থাকলেও সাধারণ রোগীরা সে ওষুধ পান না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের ওষুধ কিনতে হয় ফার্মেসি থেকে। শুধু ওষুধ নয়, ইনজেকশন পুশ করার জন্য ডিসপজেবল সিরিঞ্জ, ক্ষতস্থান বাঁধার গজ-ব্যান্ডেজ সব কিছু রোগীদের কিনতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে হাসপাতাল থেকে এগুলো সরবরাহ করার কথা। এ ধরনের অব্যবস্থা রাজধানীতে জেনারেল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা- উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিদ্যমান। যদিও গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোর দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নতি হয়েছে। বড় বড় শহরে 'জেনারেল' ও বিশেষায়িত হাসপাতালের সংখ্যা বেড়েছে, উপজেলা পর্যায়ে হয়েছে 'স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্' হাসপাতাল ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হয়েছে 'স্বাস্থ্যকেন্দ্র', যা কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক নামে পরিচিত। স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেওয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আগেই বলেছি, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ দরিদ্র ও সামর্থ্যহীন। এই দরিদ্র ও সামর্থ্যহীন মানুষের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করে থাকে সরকার। সেই ওষুধ নিয়ে নয়-ছয় হয় বলে সাম্প্রতিককালে সরকারি ওষুধের মোড়ক বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে অনেকেই খুশি হতে পারেনি। সেই মহল খুশি হয়নি, যে মহলের নয়-ছয় করার অভ্যাস আছে। সমপ্রতি সংসদীয় কমিটি সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকার ঘটনা ফাঁস করেছে। তথ্যটি জনস্বাস্থ্যের জন্য যেমন হুমকির, তেমনি স্বাস্থ্য প্রশাসনের জন্য দুর্নামের। কিভাবে সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পড়ে থাকে? যেখানে বহু রোগী ওষুধের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না? পাশাপাশি রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ তাদের না দিয়ে গুদামজাত করে রাখা হয়েছিল কি না, এটাও সংসদীয় কমিটির প্রশ্ন। এর আসল উদ্দেশ্য কি চোরাপথে বাজারে বিক্রয়? আর এই বিক্রয়কৃত ওষুধ জনগণ আবার পয়সা দিয়ে কিনে নেবে। এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা শুধু দুর্নীতিবাজ নয় তারা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় নিজেদের মতো করে ওষুধের দাম নির্ধারণ করছেন দোকানদাররা। এলাকাভেদেও রয়েছে ওষুধের দামের তারতম্য। একেক এলাকায় একেক রকম দাম। দাম বেড়েছে জ্বর, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ কিছু রোগের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেড়েছে এক টাকা থেকে ১০ টাকা। ওরস্যালাইনের এক বাঙ্ (২০ প্যাকেট) মূল্য লেখা আছে ৬৮.৮০ টাকা, কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। 'পেন্টোপ্রাজল' আগে বিক্রি হতো ১০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। তাতে গরিব জনগণের পক্ষে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি ও জনবহুল দেশ। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের বাস। মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ গ্রামে এবং ২৪ শতাংশ শহরে বাস করে। প্রতিবছর দেশে প্রায় ২০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করছে; ফলে জনসংখ্যার চাপও বেড়ে যাচ্ছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর বহুমাত্রিক স্বাস্থ্যসেবা মেটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আনুপাতিক হারের তুলনায় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য প্রশিক্ষিত জনবলের অপ্রতুলতা। যদিও চিকিৎসা শিক্ষায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়লেও তার গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গড়ে উঠেছে সেবার মানসিকতা নিয়ে নয়, মুনাফার অভিপ্রায়ে। তাদের মান ও রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায় নিয়ে এখন জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। লেখার শুরুতেই আমি কয়েকটা উদাহরণ তুলে ধরেছি। ভুয়া ডাক্তার, চিকিৎসাসেবায় অবহেলা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদির ব্যাপারে সরকারের করণীয় কিছু আছে কি? আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। ভুয়া চিকিৎসক ও অবহেলার ব্যাপারে বিএমডিসি প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে পারে। ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার জন্য বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। এ ক্ষমতা ছাড়া বিএমডিসির আর কোনো ক্ষমতা নেই। উন্নত দেশে মেডিক্যাল কাউন্সিল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা ও শাস্তি-সংক্রান্ত কোনো বিধান বা আইন এখন পর্যন্ত কোনো সরকারই করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে স্টেট মেডিক্যাল বোর্ড রয়েছে। চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলসহ জরিমানা করার ক্ষমতা এই বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশে এ ধরনের বিচারকার্যের জন্য ন্যায়পাল রয়েছে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, শুধু চিকিৎসকদের শাস্তি বা জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বা স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হবে_এটা আশা করা মোটেও সমীচীন নয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সম্প্রতি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অবহেলা ও অনিয়মের নানা ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিকারে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঠিক অবস্থার খতিয়ান নিতে 'জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন' গঠন করা দরকার। স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি প্রচলনে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টায় বেসরকারি খাতকেও সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসাসেবা খাতকে দুর্নীতি ও অবহেলামুক্ত না করা গেলে সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে দায়ী হবে। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসক ও সেবিকার ভালো ব্যবহার বা আচার-আচরণই রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করে। সরকারের সহযোগিতায় বিএমডিসি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন বিএমডিসির সহযোগিতা। আশা করি, বিএমএ-এর সহযোগিতার মধ্য দিয়ে মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুত 'গরিববান্ধব' স্বাস্থ্যসেবা গরিব জনগণ হাতের মুঠোয় পাবে।

লেখক : বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট পরমাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.