গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়াতেই ক্ষমতা ছেড়েছিলেন জ্ঞানেন্দ্র
নেপালের রাজকীয় সেনাবাহিনীর (আরএনএ) গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়াতেই পার্লামেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিলেন দেশটির সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ। প্রজাসাধারণের কল্যাণই তাঁর ক্ষমতা ত্যাগের একমাত্র কারণ ছিল না। এর এক বছর আগে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন জ্ঞানেন্দ্র।
তবে জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকদের দাবি, সম্ভাব্য অভ্যুত্থানে রক্তপাত এড়াতেই ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল ক্ষমতা ছেড়েছিলেন রাজা। সেই সময় গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারী জনগণকে নিরস্ত্র করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হলে বড় ধরনের রক্তপাত ঘটতে পারত।
সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া সাম্প্রতিক তারবার্তায় জানা যায়, নেপালে অস্ত্র সরবরাহ করত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু জ্ঞানেন্দ্রর অভ্যুত্থানের প্রতি সমর্থন না থাকায় দেশ তিনটি ২০০৫ সাল থেকে নেপালে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এতে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আরএনএর অস্ত্রভান্ডারে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর ১৯ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণ-আন্দোলনে রাজকীয় প্রশাসন অচল হয়ে পড়ে।
ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের অস্ত্রভান্ডারে ব্যাপক শূন্যতার কথা কাঠমান্ডুর মার্কিন দূতাবাসকে জানান আরএনএর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল প্রকাশ বাহাদুর বাসনাত। এরপর মার্চে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি সেক্রেটারি ডোনাল্ড ক্যাম্পের কাঠমান্ডু সফরের সময় তাঁকে অস্ত্র-সংকটের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেন নেপালের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পেয়ার জাং থাপা। বিষয়টি নিয়ে নেপালের তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শিবশংকর মুখার্জির সঙ্গে আলোচনা করেন ক্যাম্প। জবাবে শিবশংকর বলেন, অস্ত্র সরবরাহ ১০ গুণ বাড়ালেও মাওবাদীদের দমনে আরএনএর সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, আরএনএতে তখন দুর্নীতি, দুর্বল নেতৃত্ব ও নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।
তবে জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকদের দাবি, সম্ভাব্য অভ্যুত্থানে রক্তপাত এড়াতেই ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল ক্ষমতা ছেড়েছিলেন রাজা। সেই সময় গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারী জনগণকে নিরস্ত্র করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হলে বড় ধরনের রক্তপাত ঘটতে পারত।
সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া সাম্প্রতিক তারবার্তায় জানা যায়, নেপালে অস্ত্র সরবরাহ করত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু জ্ঞানেন্দ্রর অভ্যুত্থানের প্রতি সমর্থন না থাকায় দেশ তিনটি ২০০৫ সাল থেকে নেপালে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এতে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আরএনএর অস্ত্রভান্ডারে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর ১৯ দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণ-আন্দোলনে রাজকীয় প্রশাসন অচল হয়ে পড়ে।
ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের অস্ত্রভান্ডারে ব্যাপক শূন্যতার কথা কাঠমান্ডুর মার্কিন দূতাবাসকে জানান আরএনএর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল প্রকাশ বাহাদুর বাসনাত। এরপর মার্চে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি সেক্রেটারি ডোনাল্ড ক্যাম্পের কাঠমান্ডু সফরের সময় তাঁকে অস্ত্র-সংকটের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেন নেপালের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পেয়ার জাং থাপা। বিষয়টি নিয়ে নেপালের তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শিবশংকর মুখার্জির সঙ্গে আলোচনা করেন ক্যাম্প। জবাবে শিবশংকর বলেন, অস্ত্র সরবরাহ ১০ গুণ বাড়ালেও মাওবাদীদের দমনে আরএনএর সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, আরএনএতে তখন দুর্নীতি, দুর্বল নেতৃত্ব ও নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।
No comments