পুলিশি হামলায় পণ্ড রামদেবের অনশন
ভারতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির দাবিতে অনশনরত যোগগুরু স্বামী রামদেবের অনশনস্থলে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়ে তা পণ্ড করে দিয়েছে দিল্লির পুলিশ। এ সময় পুলিশসহ ৫২ জন আহত হয়। রামদেবকে আটক করা হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৫ দিনের জন্য তাঁর দিল্লি সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে রামদেব বলেছেন, ‘আমি এখনো অনশন ভঙ্গ করিনি। আমার এ সত্যাগ্রহ চলবে।’
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে সরকার হঠাৎ স্বামী রামদেবের কর্মসূচির অনুমতি বাতিল করে। পুলিশ তাঁকে রামলীলা ময়দান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানায়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
যোগগুরুকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে—এ খবর শোনার পর সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রামদেবের সমর্থক একদল নারী মানববর্ম তৈরি করে তাঁকে ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, পুলিশের হামলায় রামদেবের প্রায় ৩০ জন অনুসারী আহত হয়েছে। অনুসারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে ২৩ পুলিশ আহত হয়। তবে তাদের কেউই হাসপাতালে নেওয়ার মতো আহত হয়নি।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, আটকের পর রামদেবকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিশেষ বিমানে তাঁর নিজ শহর হরিদুয়ারে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নিজের আশ্রমে সংবাদ সম্মেলনে রামদেব বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে অপহরণ করে হত্যা করতে কিংবা অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল।’ গত শনিবার সকালে নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে শুরু করা অনশন ভঙ্গ করেননি বলেও জানান রামদেব। তিনি বলেন, ‘আমি অনশন ভঙ্গ করিনি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমার সত্যাগ্রহ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
রামলীলা ময়দানে পুলিশের হামলার ঘটনা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে যোগগুরু বলেন, ‘লাখো মানুষের ওপর হানা দেওয়ার এ ঘটনা বর্বরোচিত। তারা এমনকি শিশু ও নারীদেরও রেহাই দেয়নি।’
সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং গতকাল লক্ষৌয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বাবা রামদেবের অনশন কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার ঘটনাই প্রমাণ করে, কেন্দ্রীয় সরকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
রামদেবের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী আন্না হাজারে বলেন, এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরার শামিল। তিনি আরও বলেন, সরকারকে শিক্ষা দিতে সুশীল সমাজ সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে সরকার হঠাৎ স্বামী রামদেবের কর্মসূচির অনুমতি বাতিল করে। পুলিশ তাঁকে রামলীলা ময়দান ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানায়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
যোগগুরুকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে—এ খবর শোনার পর সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রামদেবের সমর্থক একদল নারী মানববর্ম তৈরি করে তাঁকে ঘিরে রাখে। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, পুলিশের হামলায় রামদেবের প্রায় ৩০ জন অনুসারী আহত হয়েছে। অনুসারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে ২৩ পুলিশ আহত হয়। তবে তাদের কেউই হাসপাতালে নেওয়ার মতো আহত হয়নি।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, আটকের পর রামদেবকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিশেষ বিমানে তাঁর নিজ শহর হরিদুয়ারে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নিজের আশ্রমে সংবাদ সম্মেলনে রামদেব বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে অপহরণ করে হত্যা করতে কিংবা অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল।’ গত শনিবার সকালে নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে শুরু করা অনশন ভঙ্গ করেননি বলেও জানান রামদেব। তিনি বলেন, ‘আমি অনশন ভঙ্গ করিনি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমার সত্যাগ্রহ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
রামলীলা ময়দানে পুলিশের হামলার ঘটনা ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে যোগগুরু বলেন, ‘লাখো মানুষের ওপর হানা দেওয়ার এ ঘটনা বর্বরোচিত। তারা এমনকি শিশু ও নারীদেরও রেহাই দেয়নি।’
সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং গতকাল লক্ষৌয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বাবা রামদেবের অনশন কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার ঘটনাই প্রমাণ করে, কেন্দ্রীয় সরকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
রামদেবের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী আন্না হাজারে বলেন, এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরার শামিল। তিনি আরও বলেন, সরকারকে শিক্ষা দিতে সুশীল সমাজ সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।
No comments