বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী আরব আমিরাত
সফররত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শেইখা লুবনা বিনতে খালিদ আল কাশিমি বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
লুবনা বিনতে খালিদ বলেছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং, সিরামিকস, নির্মাণ, আবাসন ও ওষুধশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, সেবা ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিনিয়োগ বোর্ড ইতিমধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের তথ্য পেলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) দেওয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শ্রম ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত খালফান বাত্তাল আলী আল মুনসৌরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।
লুবনা বিনতে খালিদ বলেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন ব্যবসা চালু বা প্রসারে সহায়তা দেওয়া হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব বাংলাদেশি কোম্পানি সফল হয়েছে, তারা মূলত অটোমোবাইল সেবা ও মুদি ব্যবসা করছে। এসব ব্যবসা প্রসারের আরও সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জ্বালানি খাত ব্যতীত অন্য খাতে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভালো। বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় বিনিয়োগ যেমন অনেক বাড়ছে, বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) তেমন আসছে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, চলতি অর্থবছরের রপ্তানি-আয় ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়া, জ্বালানি, অবকাঠামো প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা শিল্প পার্ক, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজেড) ও বেসরকারি বন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহী। তিনি এসব শিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা কামনা করেন।
এ কে আজাদ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা ও সহজে মুনাফা দেশে ফেরত নেওয়ার সুযোগসহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।
এ কে আজাদ বলেন, দেশের প্রবাসী-আয়ের উৎস দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট প্রবাসী-আয়ের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ এসেছিল ইউইএ থেকে। ২০০৯ সালে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৮ জন ইউইএতে কাজ করতে গেছেন। এ ছাড়া ১৯৭৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইউইএ ২২৩ কোটি ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং ছয় হাজার ৫১৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছয় কোটি ৫৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশ ২৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে ইউএইর বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শেইখা লুবনা বিন খালিদ আল কাশিমির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব এ টি এম মূর্তজা রেজা চৌধুরী, যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায়সহ বাণিজ্য, কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিনিয়োগ বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন: বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ, যেখানে শ্রমবাজার সস্তা। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশেও রয়েছে একটি বিশাল বাজার। এ ছাড়া এ দেশে বিনিয়োগ করে যে কেউ ইউরোপ, চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন।
লুবনা বিনতে খালিদ বলেছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং, সিরামিকস, নির্মাণ, আবাসন ও ওষুধশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, সেবা ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিনিয়োগ বোর্ড ইতিমধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের তথ্য পেলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) দেওয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শ্রম ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত খালফান বাত্তাল আলী আল মুনসৌরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।
লুবনা বিনতে খালিদ বলেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন ব্যবসা চালু বা প্রসারে সহায়তা দেওয়া হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব বাংলাদেশি কোম্পানি সফল হয়েছে, তারা মূলত অটোমোবাইল সেবা ও মুদি ব্যবসা করছে। এসব ব্যবসা প্রসারের আরও সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জ্বালানি খাত ব্যতীত অন্য খাতে ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই ভালো। বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় বিনিয়োগ যেমন অনেক বাড়ছে, বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) তেমন আসছে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, চলতি অর্থবছরের রপ্তানি-আয় ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়া, জ্বালানি, অবকাঠামো প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা শিল্প পার্ক, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজেড) ও বেসরকারি বন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহী। তিনি এসব শিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা কামনা করেন।
এ কে আজাদ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা ও সহজে মুনাফা দেশে ফেরত নেওয়ার সুযোগসহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।
এ কে আজাদ বলেন, দেশের প্রবাসী-আয়ের উৎস দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট প্রবাসী-আয়ের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ এসেছিল ইউইএ থেকে। ২০০৯ সালে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৮ জন ইউইএতে কাজ করতে গেছেন। এ ছাড়া ১৯৭৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইউইএ ২২৩ কোটি ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং ছয় হাজার ৫১৩ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছয় কোটি ৫৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশ ২৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে ইউএইর বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী শেইখা লুবনা বিন খালিদ আল কাশিমির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব এ টি এম মূর্তজা রেজা চৌধুরী, যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায়সহ বাণিজ্য, কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিনিয়োগ বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন: বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ, যেখানে শ্রমবাজার সস্তা। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশেও রয়েছে একটি বিশাল বাজার। এ ছাড়া এ দেশে বিনিয়োগ করে যে কেউ ইউরোপ, চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন।
No comments