ক্রীড়াঙ্গনে পঞ্চবার্ষিকের হাওয়া
ক্রীড়াঙ্গনে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে এটা এত দিন ছিল যেন সোনার হরিণ। অবশেষে সেই সোনার হরিণ হাতের নাগালে আসতে পারে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর।
সরকারের আসন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ক্রীড়াঙ্গনও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আগামী পাঁচ বছরে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো কী করতে চায়, কী তাদের চাহিদা—এসব বিষয়ে বিস্তারিত চাহিদাপত্র এরই মধ্যে ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
গতকাল এনএসসির সচিব শফিক আনোয়ার এ বিষয়ে ধারণা দিলেন, ‘আমরা ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, আগামী পাঁচ বছর তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কী? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে কোন জিনিসগুলো অবশ্যপ্রয়োজন। এটা স্থাপনা, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, বিদেশি কোচ হতে পারে। এ জন্য কার কত টাকা প্রয়োজন, সেটি ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে লিখিতভাবে জেনে নিয়েছি আমরা।’
সচিবের দেওয়া তথ্য, ৩৫টি ফেডারেশন এবং ছয়টি অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ড বাদে আর সবাই তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে এনএসসির কাছে। এখন প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে, যেটিকে বলা হচ্ছে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং প্রোফর্মা)। এ নিয়ে মূল কাজটা করছেন এনএসসির সহকারী পরিকল্পনা ও গবেষণা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর খান। তিনি কাল জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচ-ছয়টি ফেডারেশনের চাহিদাপত্র ঘেঁটে একটা সারসংক্ষেপ তৈরি করেছি। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে করে একটা বই আকারে তা উপস্থাপন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।’
জানা গেছে, এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তাগিদ রয়েছে এনএসসির ওপর। এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শেষ করতে চান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এনএসসির সচিব একটু পেছনে ফিরে তাকিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ফেডারেশনগুলোকে বলেছিলাম, খোলা মনে প্রয়োজনীয় চাহিদাটা জানাতে। দেওয়া না-দেওয়ার ব্যাপারটা সরকারের। চাইতে সমস্যা নেই। যেমন স্নুকার, বিলিয়ার্ড খেলার টেবিল চেয়েছে, কিন্তু তাদের তো খেলার জন্য জায়গাই নেই। এটা একটা উদাহরণ। এভাবে সরকার চাইছে ফেডারেশনগুলোকে স্বাবলম্বী করতে, যাতে করে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’
কার কেমন চাহিদা, সেটিই বড় ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তিনটি চাহিদার কথা জানিয়েছে। সিলেট বিকেএসপিতে একাডেমি গড়ার জন্য পাঁচ বছরে ৬ কোটি, যুব ফুটবল উন্নয়নের জন্য পৌনে ৪ কোটি এবং মহিলা ফুটবল উন্নয়নে ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা চেয়েছে তারা। বিস্ময়করই ঠেকছে, মাঠ-সমস্যার এই সময়ে বাফুফে সরকারের কাছে মাঠ চায়নি! সরকার যখন বলছে, চাইতে তো দোষ নেই!
পরিকল্পনা করা সহজ, বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ। সেটি কতটা হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। জানা গেল, মূলত প্রশিক্ষণের দিকেই বেশি জোর দেওয়া হবে এই পরিকল্পনায়। অহেতুক কোনো স্থাপনা গড়বে না সরকার। সচিব জানিয়েছেন, এটা অনেক বড় প্রকল্প হওয়ায় ঠিক কত টাকা লাগবে, বলা কঠিন। তবে একেকটি ফেডারেশনে গড়ে ৫-৬ কোটি টাকার চাহিদাপত্র দিলে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
সরকারের আসন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ক্রীড়াঙ্গনও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আগামী পাঁচ বছরে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো কী করতে চায়, কী তাদের চাহিদা—এসব বিষয়ে বিস্তারিত চাহিদাপত্র এরই মধ্যে ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
গতকাল এনএসসির সচিব শফিক আনোয়ার এ বিষয়ে ধারণা দিলেন, ‘আমরা ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, আগামী পাঁচ বছর তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কী? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে কোন জিনিসগুলো অবশ্যপ্রয়োজন। এটা স্থাপনা, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, বিদেশি কোচ হতে পারে। এ জন্য কার কত টাকা প্রয়োজন, সেটি ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে লিখিতভাবে জেনে নিয়েছি আমরা।’
সচিবের দেওয়া তথ্য, ৩৫টি ফেডারেশন এবং ছয়টি অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ড বাদে আর সবাই তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে এনএসসির কাছে। এখন প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে, যেটিকে বলা হচ্ছে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং প্রোফর্মা)। এ নিয়ে মূল কাজটা করছেন এনএসসির সহকারী পরিকল্পনা ও গবেষণা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর খান। তিনি কাল জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচ-ছয়টি ফেডারেশনের চাহিদাপত্র ঘেঁটে একটা সারসংক্ষেপ তৈরি করেছি। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে করে একটা বই আকারে তা উপস্থাপন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।’
জানা গেছে, এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তাগিদ রয়েছে এনএসসির ওপর। এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শেষ করতে চান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এনএসসির সচিব একটু পেছনে ফিরে তাকিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ফেডারেশনগুলোকে বলেছিলাম, খোলা মনে প্রয়োজনীয় চাহিদাটা জানাতে। দেওয়া না-দেওয়ার ব্যাপারটা সরকারের। চাইতে সমস্যা নেই। যেমন স্নুকার, বিলিয়ার্ড খেলার টেবিল চেয়েছে, কিন্তু তাদের তো খেলার জন্য জায়গাই নেই। এটা একটা উদাহরণ। এভাবে সরকার চাইছে ফেডারেশনগুলোকে স্বাবলম্বী করতে, যাতে করে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’
কার কেমন চাহিদা, সেটিই বড় ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তিনটি চাহিদার কথা জানিয়েছে। সিলেট বিকেএসপিতে একাডেমি গড়ার জন্য পাঁচ বছরে ৬ কোটি, যুব ফুটবল উন্নয়নের জন্য পৌনে ৪ কোটি এবং মহিলা ফুটবল উন্নয়নে ৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা চেয়েছে তারা। বিস্ময়করই ঠেকছে, মাঠ-সমস্যার এই সময়ে বাফুফে সরকারের কাছে মাঠ চায়নি! সরকার যখন বলছে, চাইতে তো দোষ নেই!
পরিকল্পনা করা সহজ, বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ। সেটি কতটা হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। জানা গেল, মূলত প্রশিক্ষণের দিকেই বেশি জোর দেওয়া হবে এই পরিকল্পনায়। অহেতুক কোনো স্থাপনা গড়বে না সরকার। সচিব জানিয়েছেন, এটা অনেক বড় প্রকল্প হওয়ায় ঠিক কত টাকা লাগবে, বলা কঠিন। তবে একেকটি ফেডারেশনে গড়ে ৫-৬ কোটি টাকার চাহিদাপত্র দিলে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
No comments