মাতৃভূমির জন্য!
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ কত কিছুই করে! কসোভোতে জন্মগ্রহণকারী জেমস বেরিশা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ ঘুরে ফেলে আসা মাতৃভূমির প্রতি স্বীকৃতি আদায় করতে জনসচেতনতা গড়ে তুলবেন। সেই প্রতিজ্ঞা রাখতে গিয়ে মরতে মরতে বেঁচে গেলেন তিনি।
নানা দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হওয়া বেরিশা বিমানচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। লক্ষ্য পূরণে আজ থেকে দুই বছর আগে বেরিয়ে পড়েন চার আসনের একটি ছোট বিমান নিয়ে। কিন্তু গত রোববার আফ্রিকায় এক দুর্ঘটনায় পড়ে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি। মহাদেশটির মাত্র দুটি দেশ বাকি থাকতে এ বিপত্তির মুখে পড়েন তিনি।
পোর্ট সুদান থেকে খার্তুম যাওয়ার পথে মাটি থেকে আট হাজার ৫০০ ফুট ওপরে বেরিশার বিমানের ইঞ্জিন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। সুদানের মরুভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হন বেরিশা।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেও হতোদ্যম হননি ৩৯ বছর বয়সী বেরিশা। ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘আমি যা করতে চাই, তা করতে গিয়ে মরলে একাই মরব। আমি আমার দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি চাই, সারা বিশ্বের মানুষ আমার দেশ সম্পর্কে জানুক।’
বেরিশা বলেন, সম্ভবত প্রচণ্ড গরমে অথবা বিমানটি বেশি পুরোনো হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সেসনা ১৭২ বিমানটি ১৯৬৭ সালে তৈরি। বিমানটি প্রচণ্ড গতিতে মাটিতে পড়ার ১০ মিনিট পর তাঁর হুঁশ আসে। দেখেন চারদিকে ধু ধু বালু। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। একপর্যায়ে জীবনের মায়াই ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পর যেন অলৌকিকভাবে কোত্থেকে একটি ট্রাক এসে হাজির। ট্রাকের লোকজন তাঁকে শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলে।
১৯৯৯ সালের ১ মার্চ সার্বিয়ার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে মারা যান বেরিশার কৃষক বাবা। বাবার মৃত্যুর এক মাস পর জন্মভূমিতে ফিরে ধ্বংস আর মৃত্যু ছাড়া কিছু দেখেননি। যুদ্ধের ভয়াবহতা বদলে দেয় বেরিশাকে। তখনই সংকল্প নেন মাতৃভূমির জন্য কিছু একটা করার।
বেরিশার মাতৃভূমি কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে মাত্র ৭৫টি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
নানা দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হওয়া বেরিশা বিমানচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। লক্ষ্য পূরণে আজ থেকে দুই বছর আগে বেরিয়ে পড়েন চার আসনের একটি ছোট বিমান নিয়ে। কিন্তু গত রোববার আফ্রিকায় এক দুর্ঘটনায় পড়ে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি। মহাদেশটির মাত্র দুটি দেশ বাকি থাকতে এ বিপত্তির মুখে পড়েন তিনি।
পোর্ট সুদান থেকে খার্তুম যাওয়ার পথে মাটি থেকে আট হাজার ৫০০ ফুট ওপরে বেরিশার বিমানের ইঞ্জিন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। সুদানের মরুভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হন বেরিশা।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেও হতোদ্যম হননি ৩৯ বছর বয়সী বেরিশা। ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘আমি যা করতে চাই, তা করতে গিয়ে মরলে একাই মরব। আমি আমার দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি চাই, সারা বিশ্বের মানুষ আমার দেশ সম্পর্কে জানুক।’
বেরিশা বলেন, সম্ভবত প্রচণ্ড গরমে অথবা বিমানটি বেশি পুরোনো হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সেসনা ১৭২ বিমানটি ১৯৬৭ সালে তৈরি। বিমানটি প্রচণ্ড গতিতে মাটিতে পড়ার ১০ মিনিট পর তাঁর হুঁশ আসে। দেখেন চারদিকে ধু ধু বালু। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। একপর্যায়ে জীবনের মায়াই ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পর যেন অলৌকিকভাবে কোত্থেকে একটি ট্রাক এসে হাজির। ট্রাকের লোকজন তাঁকে শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলে।
১৯৯৯ সালের ১ মার্চ সার্বিয়ার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে মারা যান বেরিশার কৃষক বাবা। বাবার মৃত্যুর এক মাস পর জন্মভূমিতে ফিরে ধ্বংস আর মৃত্যু ছাড়া কিছু দেখেননি। যুদ্ধের ভয়াবহতা বদলে দেয় বেরিশাকে। তখনই সংকল্প নেন মাতৃভূমির জন্য কিছু একটা করার।
বেরিশার মাতৃভূমি কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে মাত্র ৭৫টি তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
No comments