লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপে এবার আরব লিগের আহ্বান
বেসামরিক লোকজনকে গাদ্দাফি বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলা থেকে রক্ষার জন্য আরব লিগ লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ওই আহ্বান জানানো হয়। এদিকে সরকারি সেনারা বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জাবিয়া ও রাস লানুফ দখল করে নেওয়ার পর এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত কয়েকটি এলাকা সরকারি সেনারা পুনর্দখল করে নেওয়ার পর লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোয় আরব লিগের কার্যালয়ে সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত শনিবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠক শেষে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃিতিতে বলা হয়, লিবিয়ার জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা সেখানে নো ফ্লাই জোন আরোপের আহ্বান জানাচ্ছে। লিবিয়ার আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোন আরোপের দায়িত্বটি নিতে হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকেই।
বিবৃতিতে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও উল্লেখ করা হয়। বেনগাজিতে বিদ্রোহীরা ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন করে বিকল্প সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বৈঠকের পর আরব লিগের মহাসচিব আমর মুসা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিমান হামলা থেকে লিবিয়ার জনগণকে রক্ষার জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁরা ওই আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, তাঁরা লিবিয়ায় বিদেশি বাহিনীকে হামলা চালানোর লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছেন।
আলজেরিয়া ও সিরিয়া ছাড়া সব আরব দেশই আরব লিগের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ছয়টি আরব দেশের সংগঠন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলও নো ফ্লাই জোন আরোপের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আরব লিগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এর ফলে কর্নেল গাদ্দাফির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও জোরালো হবে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়া প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। তাদের পরিষ্কার বক্তব্য, লিবিয়ায় সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। গাদ্দাফি সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
এদিকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, ট্যাংক-কামানের ছত্রচ্ছায়ায় গাদ্দাফির অনুগত সেনারা এখন বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা শুক্রবার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জাবিয়া দখল করে নেয়। পরদিন শনিবার তেলসমৃদ্ধ রাস-লানুফের ওপর তারা পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। সুপ্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত সেনারা এখন মিসরাতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এখানকার একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, শুধু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সবাই বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ। বিদ্রোহীরা যে যার মতো অবস্থান নিয়ে আছে। সেনারা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে উজালা ও ব্রিগা শহরেও।
জাবিয়া থেকে একজন বিদ্রোহী জানান, তাঁরা এখন রীতিমতো গণহত্যার শিকার। তাঁর ধারণা, ‘মিসরাতের পতন হলে সেখানেও একই অবস্থার সৃষ্টি হবে। গাদ্দাফি বাহিনীকে প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। তাদের ট্যাংক আছে, আছে ভারী অস্ত্র। কিন্তু আমাদের আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।’
এদিকে বেনগাজিতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে আল-জাজিরার এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আল-জাবের (৫৬)।
বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত কয়েকটি এলাকা সরকারি সেনারা পুনর্দখল করে নেওয়ার পর লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোয় আরব লিগের কার্যালয়ে সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত শনিবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠক শেষে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃিতিতে বলা হয়, লিবিয়ার জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা সেখানে নো ফ্লাই জোন আরোপের আহ্বান জানাচ্ছে। লিবিয়ার আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোন আরোপের দায়িত্বটি নিতে হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকেই।
বিবৃতিতে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও উল্লেখ করা হয়। বেনগাজিতে বিদ্রোহীরা ট্রানজিশনাল ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠন করে বিকল্প সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
বৈঠকের পর আরব লিগের মহাসচিব আমর মুসা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিমান হামলা থেকে লিবিয়ার জনগণকে রক্ষার জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁরা ওই আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, তাঁরা লিবিয়ায় বিদেশি বাহিনীকে হামলা চালানোর লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছেন।
আলজেরিয়া ও সিরিয়া ছাড়া সব আরব দেশই আরব লিগের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ছয়টি আরব দেশের সংগঠন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলও নো ফ্লাই জোন আরোপের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আরব লিগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এর ফলে কর্নেল গাদ্দাফির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও জোরালো হবে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়া প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। তাদের পরিষ্কার বক্তব্য, লিবিয়ায় সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। গাদ্দাফি সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
এদিকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, ট্যাংক-কামানের ছত্রচ্ছায়ায় গাদ্দাফির অনুগত সেনারা এখন বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা শুক্রবার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে জাবিয়া দখল করে নেয়। পরদিন শনিবার তেলসমৃদ্ধ রাস-লানুফের ওপর তারা পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। সুপ্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত সেনারা এখন মিসরাতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এখানকার একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, শুধু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সবাই বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ। বিদ্রোহীরা যে যার মতো অবস্থান নিয়ে আছে। সেনারা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে উজালা ও ব্রিগা শহরেও।
জাবিয়া থেকে একজন বিদ্রোহী জানান, তাঁরা এখন রীতিমতো গণহত্যার শিকার। তাঁর ধারণা, ‘মিসরাতের পতন হলে সেখানেও একই অবস্থার সৃষ্টি হবে। গাদ্দাফি বাহিনীকে প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। তাদের ট্যাংক আছে, আছে ভারী অস্ত্র। কিন্তু আমাদের আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।’
এদিকে বেনগাজিতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে আল-জাজিরার এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আল-জাবের (৫৬)।
No comments