করাচিতে সহিংসতা, ৪৫ জন নিহত
পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচিতে গত সোমবার রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার হত্যাকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতার সূত্রপাত হয়। গতকাল মঙ্গলবার কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) নেতা ও সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য রাজা হায়দার সোমবার করাচির নাজিমাবাদ এলাকার একটি মসজিদে অস্ত্রধারীদের গুলিতে একজন দেহরক্ষীসহ নিহত হন।
করাচির পুলিশ জানায়, সহিংসতার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছে। সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাতে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে হায়দারকে দাফন করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক শ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ সার্জেন্ট হামিদ পারহিয়ার বলেন, শহরের হাসপাতালগুলোয় গুলিতে আহত লোকের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৯৩ জনকে ভর্তি করার খবর পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রিকশাচালক, ট্যাক্সি ক্যাবচালক, শ্রমিক ও সাধারণ পথচারী রয়েছেন— যাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জামিল সুমরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, এমকিউএমের নেতাকে হত্যার জেরে এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তৃতীয় কোনো পক্ষ আমাদের গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে এই সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে।’ তিনি জানান, রাজা হায়দার নিহত হওয়ার পর সোমবার রাতে ২৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। একটি পেট্রল স্টেশন ও শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে এসেছে।
সহিংসতার ব্যাপারে স্থানীয় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, এ ধরনের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং এতে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা এবং এই ঘটনা সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ ও নাগরিকদের প্রতি মৌলিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের অসহায়ত্বকে ফুটিয়ে তুলেছে।
সহিংসতার কারণে গতকাল শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। হায়দারের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমকিউএম। দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত করাচিতে পরিকল্পিতভাবে ১৭০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) নেতা ও সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য রাজা হায়দার সোমবার করাচির নাজিমাবাদ এলাকার একটি মসজিদে অস্ত্রধারীদের গুলিতে একজন দেহরক্ষীসহ নিহত হন।
করাচির পুলিশ জানায়, সহিংসতার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছে। সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাতে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে হায়দারকে দাফন করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক শ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়।
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ সার্জেন্ট হামিদ পারহিয়ার বলেন, শহরের হাসপাতালগুলোয় গুলিতে আহত লোকের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৯৩ জনকে ভর্তি করার খবর পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রিকশাচালক, ট্যাক্সি ক্যাবচালক, শ্রমিক ও সাধারণ পথচারী রয়েছেন— যাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জামিল সুমরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, এমকিউএমের নেতাকে হত্যার জেরে এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তৃতীয় কোনো পক্ষ আমাদের গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে এই সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে।’ তিনি জানান, রাজা হায়দার নিহত হওয়ার পর সোমবার রাতে ২৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। একটি পেট্রল স্টেশন ও শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে এসেছে।
সহিংসতার ব্যাপারে স্থানীয় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, এ ধরনের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং এতে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা এবং এই ঘটনা সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ ও নাগরিকদের প্রতি মৌলিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের অসহায়ত্বকে ফুটিয়ে তুলেছে।
সহিংসতার কারণে গতকাল শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। হায়দারের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক পালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমকিউএম। দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত করাচিতে পরিকল্পিতভাবে ১৭০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
No comments