চীন যাওয়ার সুযোগে ওরা খুব খুশি
কোচ সুবিমল চন্দ্রের ফোনে চমকেই গিয়েছিল নড়াইল রূপগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন সুলতানা। ঢাকা থেকে কোচ যখন বললেন, ‘তোমার পাসপোর্ট ও ছবি লাগবে, চীনে যাচ্ছ তুমি।’ অনেকক্ষণ পর বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে ওঠা শারমিন বুঝতে পারল আগামী নভেম্বরে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ মিলেছে।
শুধু শারমিনই নয়, জুহি চাকমা, শাহীন আরা বৃষ্টি, রূপালী আক্তার হেনা ও শাহনাজ পারভীন মালেকারাও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এই ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। অথচ অনেক আগেই মহিলা কাবাডি দলের চীনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেক নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত সব ইভেন্টের খেলোয়াড়দের নাম পাঠানোর মাসখানেক পর এন্ট্রি পাঠায় বিওএ।
ঢাকায় গত দক্ষিণ এশীয় গেমসে রুপা জিতে চীনে যাওয়ার পথটা প্রশস্তই করে রেখেছিল মেয়েরা। অথচ নানা জটিলতার কারণে তাদের ছাড়াই চীনে নাম পাঠানো হয় অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের। মহিলা কাবাডি দলের অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা কষ্ট পেয়েছিলেন এটা শুনে, ‘যখন প্রথমে শুনলাম আমরা যেতে পারব না, তখন খুব খারাপ লাগছিল। পরে অবশ্য চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন করে অনুশীলন শুরু করছি।’ এশিয়ান গেমসের জন্য আগামী মাসে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে বিওএ। কিন্তু আনসারের হয়ে খেলা শাহনাজ নিয়মিতই তাঁদের একাডেমিতে সকাল-বিকেল অনুশীলন করে চলেছেন। জামালপুরের নান্দিনা জান্নাত আফসার মহিলা কলেজের ছাত্রী রূপালী একা একা অনুশীলন করেন জামালপুর স্টেডিয়ামে। একই সঙ্গে রেইড ও ক্যাচারে সমান পারদর্শী রূপালী স্বপ্ন দেখেন এশিয়ান গেমসে রুপা জেতার। ‘আমরা জানি, ওখানে ভারতই সবচেয়ে কঠিন দল। তবে আমরা এসএ গেমসের মতো নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে রুপা জিততে পারি।’ বললেন রূপালী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় যুব কাবাডিতে যেতে পারেননি বলে মন খারাপ হয়েছিল জুহির। কিন্তু এবার যখন শুনলেন এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাচ্ছেন খুবই খুশি হয়েছেন এই কিশোরী, ‘আমার তো খুবই ভালো লাগছে। চীনে আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে চাই।’
এর আগে ২০০৫ সালে হায়দরাবাদে ও ২০০৮ সালে তামিলনাড়ুতে এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে চতুর্থ হয়েছিল মেয়েদের দল। কিন্তু এবার প্রথম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে কতদূর যেতে পারবে তারা? প্রায় এক বছর ধরে এই দলটিকে হাতে গড়া কোচ সুবিমল চন্দ্র জানালেন, ‘এই দলে শাহনাজ, শাহীন আরা, ফাতেমা আক্তার শীলা, হাসনা মরিয়মদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। আমি ওদের সেভাবেই তৈরি করেছি। ইরান, থাইল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে পারলে রুপা জেতা অসম্ভব কিছু নয়।’
শুধু শারমিনই নয়, জুহি চাকমা, শাহীন আরা বৃষ্টি, রূপালী আক্তার হেনা ও শাহনাজ পারভীন মালেকারাও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এই ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। অথচ অনেক আগেই মহিলা কাবাডি দলের চীনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। কিন্তু সেটা হয়নি। অনেক নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত সব ইভেন্টের খেলোয়াড়দের নাম পাঠানোর মাসখানেক পর এন্ট্রি পাঠায় বিওএ।
ঢাকায় গত দক্ষিণ এশীয় গেমসে রুপা জিতে চীনে যাওয়ার পথটা প্রশস্তই করে রেখেছিল মেয়েরা। অথচ নানা জটিলতার কারণে তাদের ছাড়াই চীনে নাম পাঠানো হয় অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের। মহিলা কাবাডি দলের অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা কষ্ট পেয়েছিলেন এটা শুনে, ‘যখন প্রথমে শুনলাম আমরা যেতে পারব না, তখন খুব খারাপ লাগছিল। পরে অবশ্য চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন করে অনুশীলন শুরু করছি।’ এশিয়ান গেমসের জন্য আগামী মাসে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে বিওএ। কিন্তু আনসারের হয়ে খেলা শাহনাজ নিয়মিতই তাঁদের একাডেমিতে সকাল-বিকেল অনুশীলন করে চলেছেন। জামালপুরের নান্দিনা জান্নাত আফসার মহিলা কলেজের ছাত্রী রূপালী একা একা অনুশীলন করেন জামালপুর স্টেডিয়ামে। একই সঙ্গে রেইড ও ক্যাচারে সমান পারদর্শী রূপালী স্বপ্ন দেখেন এশিয়ান গেমসে রুপা জেতার। ‘আমরা জানি, ওখানে ভারতই সবচেয়ে কঠিন দল। তবে আমরা এসএ গেমসের মতো নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে রুপা জিততে পারি।’ বললেন রূপালী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় যুব কাবাডিতে যেতে পারেননি বলে মন খারাপ হয়েছিল জুহির। কিন্তু এবার যখন শুনলেন এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাচ্ছেন খুবই খুশি হয়েছেন এই কিশোরী, ‘আমার তো খুবই ভালো লাগছে। চীনে আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে চাই।’
এর আগে ২০০৫ সালে হায়দরাবাদে ও ২০০৮ সালে তামিলনাড়ুতে এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে চতুর্থ হয়েছিল মেয়েদের দল। কিন্তু এবার প্রথম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে কতদূর যেতে পারবে তারা? প্রায় এক বছর ধরে এই দলটিকে হাতে গড়া কোচ সুবিমল চন্দ্র জানালেন, ‘এই দলে শাহনাজ, শাহীন আরা, ফাতেমা আক্তার শীলা, হাসনা মরিয়মদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। আমি ওদের সেভাবেই তৈরি করেছি। ইরান, থাইল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে পারলে রুপা জেতা অসম্ভব কিছু নয়।’
No comments