হামলা হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ
ওয়াশিংটন ইরানের ওপর সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তেহরান। গতকাল মঙ্গলবার ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে ইরাক ও আফগানিস্তানে তাদের যে পরিণতি হয়েছে তার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মাইক মুলেন ওয়াশিংটন ইরানে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করার পর ইরানের কর্মকর্তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, গতকাল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুচেহর মোত্তাকি বলেছেন, আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের যে পরিণতি বরণ করতে হয়েছে, ইরানের দিকে এগোলে তার চেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তাদের। একই সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অনেক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আছেন, যাঁরা আমেরিকার ভাবমূর্তিকে বিকিয়ে দিতে দেবেন না।
মঙ্গলবার ভোরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রমিম মেহমানপরাশত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের এসব ‘অযৌক্তিক’ কথাবার্তার প্রতি খেয়াল রাখছেন।
এদিকে ভিন্ন এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি মুলেনের ওই বক্তব্যকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ওই বিবৃতিতে ভাহিদি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তির স্বপক্ষে যে পরিবর্তনের কথা বলছে, মুলেনের ওই ঘোষণা তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
একটি মার্কিন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইক মুলেন বলেন, আলোচনার টেবিলে বসে অথবা অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ইরানকে পরমাণু কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে এখন আর তাঁরা মনে করছেন না। এ কারণে বিকল্প পথ হিসেবে তাঁরা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ভাবছেন।
তাঁর এ বক্তব্যের সূত্র ধরে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মুলেনের কথায় বোঝা যাচ্ছে, ইরানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। তৃতীয় সহস্রাব্দে এসে একটি স্বাধীন দেশে হামলার পরিকল্পনা করা সরাসরি জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, গতকাল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুচেহর মোত্তাকি বলেছেন, আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের যে পরিণতি বরণ করতে হয়েছে, ইরানের দিকে এগোলে তার চেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে তাদের। একই সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অনেক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আছেন, যাঁরা আমেরিকার ভাবমূর্তিকে বিকিয়ে দিতে দেবেন না।
মঙ্গলবার ভোরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রমিম মেহমানপরাশত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের এসব ‘অযৌক্তিক’ কথাবার্তার প্রতি খেয়াল রাখছেন।
এদিকে ভিন্ন এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি মুলেনের ওই বক্তব্যকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ওই বিবৃতিতে ভাহিদি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তির স্বপক্ষে যে পরিবর্তনের কথা বলছে, মুলেনের ওই ঘোষণা তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
একটি মার্কিন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইক মুলেন বলেন, আলোচনার টেবিলে বসে অথবা অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ইরানকে পরমাণু কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে এখন আর তাঁরা মনে করছেন না। এ কারণে বিকল্প পথ হিসেবে তাঁরা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ভাবছেন।
তাঁর এ বক্তব্যের সূত্র ধরে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মুলেনের কথায় বোঝা যাচ্ছে, ইরানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। তৃতীয় সহস্রাব্দে এসে একটি স্বাধীন দেশে হামলার পরিকল্পনা করা সরাসরি জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
No comments