মাচেরানোর মুখেও শান্তির বারতা
কার্লোস বিলার্দোর পর এবার শান্তির সাদা পতাকা ওড়ালেন হ্যাভিয়ের মাচেরানো। ‘ম্যারাডোনার জন্য আর্জেন্টিনার দরজা খোলা’—বিলার্দোর এমন শান্তি-প্রস্তাবের পর দলের অধিনায়ক মাচেরানো বলেছেন, সবাইকে বসে সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। আলোচনাই সব সমস্যার শ্রেয়তর সমাধান।
বিলার্দো, ম্যারাডোনা আর গ্রন্দোনাকে এক টেবিলে দেখার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে মাচেরানো বলেছেন, ‘এঁরা প্রত্যেকেই অনেক বড় মাপের মানুষ। বিষয়টির সমাধান সেভাবেই করা উচিত। সবকিছু যদি একসঙ্গে মিলে সমাধান করা যায়, সেটিই আর্জেন্টিনার ফুটবলের জন্য মঙ্গল।’
বিশ্বকাপের পর ঘটনাবহুল বেশ কিছু দিন পার করেছে আর্জেন্টিনা। প্রায় প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকছে দেশটির ফুটবল। তবে এই প্রথম মুখ খুললেন দলটির অধিনায়ক। মাচেরানো জানালেন, মুখ হয়তো বন্ধই রাখতেন। কিন্তু বাধ্যই হলেন প্রকাশ্যে নিজের কিছু কথা বলতে, ‘বিশ্বকাপে ৩৫টি দিন একসঙ্গে দুর্দান্তভাবে কাটানোর পর শেষটা হয়েছিল ব্যথা আর দুঃখ দিয়ে। তবে শুনলাম, কেউ কেউ বলছেন, আমাদের মধ্যে নাকি অন্তঃকলহ ছড়িয়ে পড়েছিল। বাস্তবতা হলো, দলে সামান্য সমস্যাও ছিল না। বয়সভিত্তিক দলসহ অনেক বছর হয়ে গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলে খেলছি আমি। সত্যি বলছি, এ রকম বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ দলের মধ্যে খুব কমই ছিল। মুখ তাই বন্ধ রাখতে পারলাম না। ডিয়েগো আমাকে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন। আমাকে তাই কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করতেই হবে।’
আর্জেন্টিনা ফুটবলে এখন স্পষ্ট দুটো বিভাজন—ম্যারাডোনার পক্ষে আর বিপক্ষে। বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের একটা অংশ নাকি ম্যারাডোনার কর্তৃত্বও চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল। মাচেরানো জানালেন, ‘এসবই ডাহা মিথ্যা। আমরা ডিয়েগোকে সম্মান করিনি, এটার মধ্যে সামান্য সত্য নেই। ডিয়েগোকে সমর্থন করেছি কি না, সেটি তো আর মাইক্রোফোন হাতে চিৎকার করে বলার দরকার নেই। মাঠে এবং অনুশীলনে সেটি বুঝিয়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো। দলের প্রত্যেকে সেটাই করেছে।’
আর্জেন্টিনা ফুটবলে প্রতিভার কোনো অভাব ছিল না। তার পরও গত ২৪ বছরে কেন বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দলটি? মাচেরানো মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবই মূল কারণ, ‘আমাদের সবকিছু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। মূল বিষয়টিই হলো একটা দীর্ঘ পরিকল্পনা। আমাদের আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, এরপর দেখতে হবে, সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে যোগ্য কোচ কে। পরিকল্পনার বিকল্প নেই। দেখুন, স্পেন তো আর এমনি এমনি ইউরো আর বিশ্বকাপ জেতেনি।’
গ্রন্দোনাকে নিজের ভাবনাগুলো পৌঁছে দেবেন বলেও জানালেন। বললেন, ২০১৪ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে এখনই গোছাতে হবে দল, ‘আমি হুলিওর সঙ্গে কথা বলব। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। এই দলটায় বড় পরিবর্তন আনা চলবে না। আমাদের একদম গোড়া থেকে শুরু করতে হবে। এখন যেভাবে চলছে, সেভাবেই যদি চলে, তাহলে ব্রাজিলে (২০১৪ সালে) সেটি হবে দেয়ালে মাথা ঠোকার শামিল।’
বিলার্দো, ম্যারাডোনা আর গ্রন্দোনাকে এক টেবিলে দেখার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে মাচেরানো বলেছেন, ‘এঁরা প্রত্যেকেই অনেক বড় মাপের মানুষ। বিষয়টির সমাধান সেভাবেই করা উচিত। সবকিছু যদি একসঙ্গে মিলে সমাধান করা যায়, সেটিই আর্জেন্টিনার ফুটবলের জন্য মঙ্গল।’
বিশ্বকাপের পর ঘটনাবহুল বেশ কিছু দিন পার করেছে আর্জেন্টিনা। প্রায় প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রে থাকছে দেশটির ফুটবল। তবে এই প্রথম মুখ খুললেন দলটির অধিনায়ক। মাচেরানো জানালেন, মুখ হয়তো বন্ধই রাখতেন। কিন্তু বাধ্যই হলেন প্রকাশ্যে নিজের কিছু কথা বলতে, ‘বিশ্বকাপে ৩৫টি দিন একসঙ্গে দুর্দান্তভাবে কাটানোর পর শেষটা হয়েছিল ব্যথা আর দুঃখ দিয়ে। তবে শুনলাম, কেউ কেউ বলছেন, আমাদের মধ্যে নাকি অন্তঃকলহ ছড়িয়ে পড়েছিল। বাস্তবতা হলো, দলে সামান্য সমস্যাও ছিল না। বয়সভিত্তিক দলসহ অনেক বছর হয়ে গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলে খেলছি আমি। সত্যি বলছি, এ রকম বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ দলের মধ্যে খুব কমই ছিল। মুখ তাই বন্ধ রাখতে পারলাম না। ডিয়েগো আমাকে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন। আমাকে তাই কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করতেই হবে।’
আর্জেন্টিনা ফুটবলে এখন স্পষ্ট দুটো বিভাজন—ম্যারাডোনার পক্ষে আর বিপক্ষে। বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের একটা অংশ নাকি ম্যারাডোনার কর্তৃত্বও চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল। মাচেরানো জানালেন, ‘এসবই ডাহা মিথ্যা। আমরা ডিয়েগোকে সম্মান করিনি, এটার মধ্যে সামান্য সত্য নেই। ডিয়েগোকে সমর্থন করেছি কি না, সেটি তো আর মাইক্রোফোন হাতে চিৎকার করে বলার দরকার নেই। মাঠে এবং অনুশীলনে সেটি বুঝিয়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো। দলের প্রত্যেকে সেটাই করেছে।’
আর্জেন্টিনা ফুটবলে প্রতিভার কোনো অভাব ছিল না। তার পরও গত ২৪ বছরে কেন বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দলটি? মাচেরানো মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবই মূল কারণ, ‘আমাদের সবকিছু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। মূল বিষয়টিই হলো একটা দীর্ঘ পরিকল্পনা। আমাদের আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, এরপর দেখতে হবে, সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে যোগ্য কোচ কে। পরিকল্পনার বিকল্প নেই। দেখুন, স্পেন তো আর এমনি এমনি ইউরো আর বিশ্বকাপ জেতেনি।’
গ্রন্দোনাকে নিজের ভাবনাগুলো পৌঁছে দেবেন বলেও জানালেন। বললেন, ২০১৪ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে এখনই গোছাতে হবে দল, ‘আমি হুলিওর সঙ্গে কথা বলব। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। এই দলটায় বড় পরিবর্তন আনা চলবে না। আমাদের একদম গোড়া থেকে শুরু করতে হবে। এখন যেভাবে চলছে, সেভাবেই যদি চলে, তাহলে ব্রাজিলে (২০১৪ সালে) সেটি হবে দেয়ালে মাথা ঠোকার শামিল।’
No comments