আইনি মারপ্যাঁচে ইউসুফ
আরও একটি প্রত্যাবর্তন নাটকের জন্ম দিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আবারও ফিরেছেন । কিন্তু সহসাই মাঠে হয়তো ফেরা হচ্ছে না এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের। ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পরই তাঁকে আবারও দলে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু শুক্রবার থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্টে ইউসুফের না থাকার আশঙ্কাই বেশি। ইউসুফ পড়ে গেছেন আইনের মারপ্যাঁচে।
দুটো আইনি ঝামেলা এখন ঝুলে আছে ইউসুফের মাথার ওপর। প্রথমত, তাঁকে যে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিষিদ্ধ করেছিল, এখনো সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। বিভিন্ন আইনকানুন ঘেঁটে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির শর্ত উল্টেপাল্টে দেখার পর যাঁরা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন, পিসিবির সেই আইনজীবীরাই এখন পথ খুঁজছেন, কী করে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু এত দ্রুত তাঁর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথও পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টির সঙ্গে যে জড়িয়ে আছে বেশ কটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া!
পিসিবির প্রধান আইনজীবী তাফাজ্জুল রিজভি অবশ্য একটা পথ খুঁজে পেয়েছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু ইউসুফ সেই সুযোগটি নেননি। ফলে ৩০ দিন পর আপনা-আপনি তাঁর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে গেছে। সেটাই এখনো বহাল আছে। এখন পিসিবির চেয়ারম্যানই পারেন গঠনতন্ত্র প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ইউসুফকে মাফ করে দিতে।’
এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউসুফের জাতীয় দলে খেলতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু এই ক্রিকেটার অবসর নিয়ে নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি প্রত্যাহার করাও হয়নি। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতা কি থাকছে না? রিজভির উত্তর, ‘যেহেতু উনি জনসমক্ষে বলেছেন, জাতীয় দল ডাকলে আবারও খেলতে রাজি আছেন, এটা এক ধরনের অবসর থেকে ফেরাই।’
মজার ব্যাপার হলো, পিসিবিরই আরেক আইনজীবী তালিব রিজভি প্রথমে ইউসুফের ফেরা আইনসিদ্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ইউসুফ নিষিদ্ধই থাকবেন। অবশ্য দুদিনের মাথায় আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তিনি, ‘ইউসুফ যদি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেই থাকেন, ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে পাকিস্তানের হয়ে তাঁর খেলার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।’
নিজ বোর্ডের আইনজীবীদের না হয় পিসিবি তাদের মনমতোই চালাবে। কিন্তু বিদেশে? সেই উপায় তো আর নেই। প্রথম আইনি সমস্যার সমাধান করা গেলেও ইউসুফের সামনে অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় জট। ‘ইউসুফের এখন ভিজিট ভিসা আছে। এই ভিসা দিয়ে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করা গেলেও খেলা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। সেটি পাওয়া মাত্রই আমরা তাঁকে বুধবার (আজ) লন্ডনের বিমানে তুলে দেব’—জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিসিবির এক কর্মকর্তা।
তিনি এও জানিয়েছেন, শুক্রবার শুরু এজবাস্টন টেস্টে ইউসুফের খেলা হচ্ছে না। ইংল্যান্ডে পৌঁছেই তাঁর পক্ষে সরাসরি টেস্টে নামা সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেননি। ইউসুফের ফিটনেস কোন পর্যায়ে আছে, কে জানে। চার টেস্ট সিরিজের তৃতীয়টিতে (১৯ আগস্ট শুরু) তিনি খেলবেন। এর আগে ১৩-১৪ আগস্ট দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হবে তাঁকে ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ওই প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের উস্টারশায়ার।
দুটো আইনি ঝামেলা এখন ঝুলে আছে ইউসুফের মাথার ওপর। প্রথমত, তাঁকে যে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিষিদ্ধ করেছিল, এখনো সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। বিভিন্ন আইনকানুন ঘেঁটে, ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির শর্ত উল্টেপাল্টে দেখার পর যাঁরা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন, পিসিবির সেই আইনজীবীরাই এখন পথ খুঁজছেন, কী করে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু এত দ্রুত তাঁর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথও পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টির সঙ্গে যে জড়িয়ে আছে বেশ কটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া!
পিসিবির প্রধান আইনজীবী তাফাজ্জুল রিজভি অবশ্য একটা পথ খুঁজে পেয়েছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু ইউসুফ সেই সুযোগটি নেননি। ফলে ৩০ দিন পর আপনা-আপনি তাঁর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে গেছে। সেটাই এখনো বহাল আছে। এখন পিসিবির চেয়ারম্যানই পারেন গঠনতন্ত্র প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ইউসুফকে মাফ করে দিতে।’
এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউসুফের জাতীয় দলে খেলতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু এই ক্রিকেটার অবসর নিয়ে নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি প্রত্যাহার করাও হয়নি। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো জটিলতা কি থাকছে না? রিজভির উত্তর, ‘যেহেতু উনি জনসমক্ষে বলেছেন, জাতীয় দল ডাকলে আবারও খেলতে রাজি আছেন, এটা এক ধরনের অবসর থেকে ফেরাই।’
মজার ব্যাপার হলো, পিসিবিরই আরেক আইনজীবী তালিব রিজভি প্রথমে ইউসুফের ফেরা আইনসিদ্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ইউসুফ নিষিদ্ধই থাকবেন। অবশ্য দুদিনের মাথায় আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তিনি, ‘ইউসুফ যদি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেই থাকেন, ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে পাকিস্তানের হয়ে তাঁর খেলার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।’
নিজ বোর্ডের আইনজীবীদের না হয় পিসিবি তাদের মনমতোই চালাবে। কিন্তু বিদেশে? সেই উপায় তো আর নেই। প্রথম আইনি সমস্যার সমাধান করা গেলেও ইউসুফের সামনে অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় জট। ‘ইউসুফের এখন ভিজিট ভিসা আছে। এই ভিসা দিয়ে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করা গেলেও খেলা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। সেটি পাওয়া মাত্রই আমরা তাঁকে বুধবার (আজ) লন্ডনের বিমানে তুলে দেব’—জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিসিবির এক কর্মকর্তা।
তিনি এও জানিয়েছেন, শুক্রবার শুরু এজবাস্টন টেস্টে ইউসুফের খেলা হচ্ছে না। ইংল্যান্ডে পৌঁছেই তাঁর পক্ষে সরাসরি টেস্টে নামা সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেননি। ইউসুফের ফিটনেস কোন পর্যায়ে আছে, কে জানে। চার টেস্ট সিরিজের তৃতীয়টিতে (১৯ আগস্ট শুরু) তিনি খেলবেন। এর আগে ১৩-১৪ আগস্ট দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হবে তাঁকে ইংলিশ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ওই প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের উস্টারশায়ার।
No comments