লেবানন-ইসরায়েল গুলিবিনিময়
লেবানন ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে রকেট ও গুলিবিনিময়ের পর সীমান্তে সতর্ক প্রহরায় লেবাননের সেনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীর সদস্যরা |
লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রকেট ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে লেবাননের পক্ষে তিন সেনা ও এক সাংবাদিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
লেবাননের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের দিক থেকে চারটি রকেট ছোড়া হয়েছে। অদায়সেহ গ্রামে লেবানিজ বাহিনীর একটি অবস্থানের কাছাকাছি এগুলো পড়ে। এরপর লেবাননের সেনারা পাল্টা গুলি চালান।
ওই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের ছোড়া রকেটে তিন সেনা ও এক সাংবাদিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
লেবাননের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তে লেবাননের ভূখণ্ডের ভেতরের একটি গাছ ইসরায়েলি সেনারা কেটে ফেলার চেষ্টা করলে এই রকেট ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা গুলি করতে শুরু করলে আমরা তার জবাব দিয়েছি।’
লেবানন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি রুলা আমিন জানান, আদায়সেহ ও কুফেরকিল্লা গ্রামের কাছে সীমান্তের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার জন্য ইসরায়েলি সেনারা সীমান্তের কাছাকাছি আসার পর এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রকেট ও গোলাগুলির এ ঘটনাকে ইসরায়েলি আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল সুলাইমান ও প্রধানমন্ত্রী শাদ আল হারিরি।
প্রেসিডেন্ট সুলাইমানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবানিজ বাহিনীর তল্লাশি ফাঁড়ি এবং লেবাননের সম্পত্তির ওপর এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল জাতিসংঘের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়।
২০০৬ সালের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনী এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের অবসান হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শাদ আল হারিরির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ ধরনের আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সূত্র দাবি করেছে, তাদের প্রকৌশলীরা সীমান্তের কাছাকাছি কাজ করছিলেন। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান লেবাননের সেনারা। তখন ইসরায়েলি সেনারা এর জবাব দেন।
আল জাজিরার প্রতিনিধি আরও জানান, ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের আদায়সেহ গ্রামে চারটি গোলা নিক্ষেপ করেন। এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন এক সেনা। এর জবাবে লেবাননের সেনারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে কয়েকটি গোলা নিক্ষেপ করেন।
জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জ্যাকি রাওল্যান্ড জানান, ইসরায়েলি টেলিভিশনে প্রচারিত খবর দেখে মনে হয়েছে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
লেবাননের শিয়াপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর একবার যুদ্ধ হয়েছে। তবে গতকাল ইসরায়েলি টেলিভিশন জানিয়েছে, সর্বশেষ ঘটনার সঙ্গে হিজবুল্লাহ জড়িত নয়।
লেবাননের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের দিক থেকে চারটি রকেট ছোড়া হয়েছে। অদায়সেহ গ্রামে লেবানিজ বাহিনীর একটি অবস্থানের কাছাকাছি এগুলো পড়ে। এরপর লেবাননের সেনারা পাল্টা গুলি চালান।
ওই কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের ছোড়া রকেটে তিন সেনা ও এক সাংবাদিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
লেবাননের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তে লেবাননের ভূখণ্ডের ভেতরের একটি গাছ ইসরায়েলি সেনারা কেটে ফেলার চেষ্টা করলে এই রকেট ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা গুলি করতে শুরু করলে আমরা তার জবাব দিয়েছি।’
লেবানন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি রুলা আমিন জানান, আদায়সেহ ও কুফেরকিল্লা গ্রামের কাছে সীমান্তের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার জন্য ইসরায়েলি সেনারা সীমান্তের কাছাকাছি আসার পর এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রকেট ও গোলাগুলির এ ঘটনাকে ইসরায়েলি আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল সুলাইমান ও প্রধানমন্ত্রী শাদ আল হারিরি।
প্রেসিডেন্ট সুলাইমানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবানিজ বাহিনীর তল্লাশি ফাঁড়ি এবং লেবাননের সম্পত্তির ওপর এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল জাতিসংঘের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়।
২০০৬ সালের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনী এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের অবসান হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শাদ আল হারিরির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ ধরনের আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সূত্র দাবি করেছে, তাদের প্রকৌশলীরা সীমান্তের কাছাকাছি কাজ করছিলেন। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান লেবাননের সেনারা। তখন ইসরায়েলি সেনারা এর জবাব দেন।
আল জাজিরার প্রতিনিধি আরও জানান, ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের আদায়সেহ গ্রামে চারটি গোলা নিক্ষেপ করেন। এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন এক সেনা। এর জবাবে লেবাননের সেনারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে কয়েকটি গোলা নিক্ষেপ করেন।
জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জ্যাকি রাওল্যান্ড জানান, ইসরায়েলি টেলিভিশনে প্রচারিত খবর দেখে মনে হয়েছে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
লেবাননের শিয়াপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ২০০৬ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর একবার যুদ্ধ হয়েছে। তবে গতকাল ইসরায়েলি টেলিভিশন জানিয়েছে, সর্বশেষ ঘটনার সঙ্গে হিজবুল্লাহ জড়িত নয়।
No comments