পাট কেনার জন্য বিজেএমসিকে ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে
চলতি মৌসুমে পাট কেনার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে চালু ১৬টি পাটকলকে মোট ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) ২০০ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে এখনো পুরোদমে পাট কেনা শুরু হয়নি। বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারায় এবার বাজারে পাট আসতে দেরি হচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার জন্য মোট ২২ লাখ কুইন্টাল পাট কেনা হবে। ইতিমধ্যেই এক লাখ ৭০ হাজার কুইন্টাল পাট কেনা হয়ে গেছে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পুরোদমে পাট কেনার প্রস্তুতি চলছে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের কারখানাগুলোর পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ভর করছে সরকারের কাছ থেকে বাকি অর্থ পাওয়ার ওপর।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দকৃত অর্থের বাকি ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিশ্চয়তার দরকার হবে। সেটি এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল মকবুল প্রথম আলোকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। সদস্যসমাপ্ত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতের পর সার্বিকভাবে পাট খাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিমুখী খাতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে নয়, দেশের ভেতরও পাটের চাহিদা বেড়েছে। ভালো দাম পাওয়ার পর এবার কৃষকেরাও বেশি জমিতে পাট চাষ করেছে।’ ফলে এ বছরও পাটের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, চলতি বছর বিজেএমসি পাট কিনতে ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪টি থেকে বাড়িয়ে ১১৯টি করেছে। দেশের প্রধান ক্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রাজবাড়ীর বহরপুর, পাংশা, খলিলপুর, কানাইপুর, মাদারীপুরের চর মগলিয়া, ফরিদপুরের খানখানাপুর অন্যতম। এই হাটগুলোতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রতি হাটের দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ পাট ওঠে।
এদিকে খুলনায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলো পাট কেনা শুরু করে দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ক্রিসেন্ট জুটমিলের হিসাব ও অর্থ বিভাগের প্রধান খুরশীদ আলম জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে পাট উঠতে শুরু করেছে। এবার ক্রিসেন্ট জুটমিলের লক্ষ্যমাত্রা আছে আড়াই লাখ কুইন্টাল পাট কেনার। ইতিমধ্যে সাত শতাংশ পাট কেনা হয়ে গেছে। বাজারে পাট মাত্র আসা শুরু করেছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ পাট কেনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পানির অভাবে এখন পর্যন্ত সবাই পাট কাটতে পারেনি। তাই বাজারে পাট আসতে কিছুটা বিলম্ব হবে। তাদের তথ্য অনুসারে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ পাট কাটা হয়েছে।
চলতি বছর চার লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ৫০ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মার্চ-এপ্রিল মাসে জমিতে পাট বোনার পর দেখা গেছে আট লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন ৮০ লাখ বেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংস্থাটি মনে করছে।
প্রসঙ্গত, পাটের অভাবে গত অর্থবছর দেশে বেসরকারি খাতের অর্ধশতাধিক মিল প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল। সরকারি খাতের কারখানাগুলোও মে মাসের পর বন্ধ করে রাখা হয়।
মৌসুমে পাটের দর মণপ্রতি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে থাকলেও ফেব্রুয়ারি-মার্চে গিয়ে তা ২৫০০ টাকায় উঠে। এবারের পাটের চাষ বেশি হওয়ায় বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
তবে এখনো পুরোদমে পাট কেনা শুরু হয়নি। বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারায় এবার বাজারে পাট আসতে দেরি হচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার জন্য মোট ২২ লাখ কুইন্টাল পাট কেনা হবে। ইতিমধ্যেই এক লাখ ৭০ হাজার কুইন্টাল পাট কেনা হয়ে গেছে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পুরোদমে পাট কেনার প্রস্তুতি চলছে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের কারখানাগুলোর পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ভর করছে সরকারের কাছ থেকে বাকি অর্থ পাওয়ার ওপর।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দকৃত অর্থের বাকি ৩০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিশ্চয়তার দরকার হবে। সেটি এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল মকবুল প্রথম আলোকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। সদস্যসমাপ্ত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতের পর সার্বিকভাবে পাট খাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিমুখী খাতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে নয়, দেশের ভেতরও পাটের চাহিদা বেড়েছে। ভালো দাম পাওয়ার পর এবার কৃষকেরাও বেশি জমিতে পাট চাষ করেছে।’ ফলে এ বছরও পাটের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, চলতি বছর বিজেএমসি পাট কিনতে ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪টি থেকে বাড়িয়ে ১১৯টি করেছে। দেশের প্রধান ক্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রাজবাড়ীর বহরপুর, পাংশা, খলিলপুর, কানাইপুর, মাদারীপুরের চর মগলিয়া, ফরিদপুরের খানখানাপুর অন্যতম। এই হাটগুলোতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রতি হাটের দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ পাট ওঠে।
এদিকে খুলনায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলো পাট কেনা শুরু করে দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ক্রিসেন্ট জুটমিলের হিসাব ও অর্থ বিভাগের প্রধান খুরশীদ আলম জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে পাট উঠতে শুরু করেছে। এবার ক্রিসেন্ট জুটমিলের লক্ষ্যমাত্রা আছে আড়াই লাখ কুইন্টাল পাট কেনার। ইতিমধ্যে সাত শতাংশ পাট কেনা হয়ে গেছে। বাজারে পাট মাত্র আসা শুরু করেছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ পাট কেনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পানির অভাবে এখন পর্যন্ত সবাই পাট কাটতে পারেনি। তাই বাজারে পাট আসতে কিছুটা বিলম্ব হবে। তাদের তথ্য অনুসারে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ পাট কাটা হয়েছে।
চলতি বছর চার লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ৫০ লাখ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মার্চ-এপ্রিল মাসে জমিতে পাট বোনার পর দেখা গেছে আট লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন ৮০ লাখ বেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংস্থাটি মনে করছে।
প্রসঙ্গত, পাটের অভাবে গত অর্থবছর দেশে বেসরকারি খাতের অর্ধশতাধিক মিল প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল। সরকারি খাতের কারখানাগুলোও মে মাসের পর বন্ধ করে রাখা হয়।
মৌসুমে পাটের দর মণপ্রতি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে থাকলেও ফেব্রুয়ারি-মার্চে গিয়ে তা ২৫০০ টাকায় উঠে। এবারের পাটের চাষ বেশি হওয়ায় বাজার স্বাভাবিক থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
No comments