রাজনৈতিক কর্মসূচি - সবার কাছে সংযত আচরণই কাম্য
সরকার ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে আস্থার অভাবটি সাম্প্রতিক কালে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। প্রায় সব বিষয়ে উভয় পক্ষের অবস্থান বিপরীতমুখী। সরকারের যেকোনো উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখে বিরোধী দল, আবার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। সরকারের অনুমতি পাওয়া যায়নি—এই অজুহাতে ২৫ জুলাই পল্টন ময়দানে আহূত গণ-অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। এর পরিবর্তে দলটি ওই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও তাদের মনোভাব ইতিবাচক নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনজীবনের শান্তিশৃঙ্খলা ব্যাহত করে না এমন কর্মসূচি পালনে বাধা থাকা উচিত নয়। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব কারণ দেখিয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করে থাকে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে দেখা যায়।
আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কারও রাজপথ দখলে রাখার মানসিকতা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। জাতীয় সংসদই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। বিরোধী দল যে কথাগুলো সংবাদ সম্মেলন কিংবা সমাবেশ করে জনগণকে জানাতে চায়, সে কথাগুলো সংসদে গিয়ে বলতে আপত্তি কোথায়? বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেছেন, তাঁদের সংসদে নিতে স্পিকার বা সরকারি দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিরোধী দলকে সংসদে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে নিতে হবে কেন? সংসদে যাওয়ার জন্যই জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সংসদে পাঠিয়েছে। সরকারি দল কথা বলতে না দিলে তার প্রতিবাদও জানাতে হবে সংসদে। আবার সংসদে গেলে তারা বাইরে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না, তাও ঠিক নয়। নিয়মতান্ত্রিক যেকোনো কর্মসূচি পালনের অধিকার বিরোধী দলের আছে।
অতএব, বিএনপির পরিবর্তিত কর্মসূচিতে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেবে না বলেই প্রত্যাশিত। কোনো কর্মসূচি নির্বিঘ্নে পালিত হলে নতুন কর্মসূচি পালনের যুক্তি থাকে না, কিন্তু তাতে বাধা এলে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা থেকেই যায়। একই সঙ্গে কর্মসূচি পালনের নামে দলীয় কর্মীরা যাতে কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করেন, সে নিশ্চয়তাও বিএনপির নেতৃত্বকে দিতে হবে। অতীতে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ কম হয়নি। কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উসকানি, কখনো দলীয় কর্মীদের বাড়াবাড়ি পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ করবে বলেই প্রত্যাশা।
আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কারও রাজপথ দখলে রাখার মানসিকতা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। জাতীয় সংসদই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। বিরোধী দল যে কথাগুলো সংবাদ সম্মেলন কিংবা সমাবেশ করে জনগণকে জানাতে চায়, সে কথাগুলো সংসদে গিয়ে বলতে আপত্তি কোথায়? বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেছেন, তাঁদের সংসদে নিতে স্পিকার বা সরকারি দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিরোধী দলকে সংসদে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে নিতে হবে কেন? সংসদে যাওয়ার জন্যই জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সংসদে পাঠিয়েছে। সরকারি দল কথা বলতে না দিলে তার প্রতিবাদও জানাতে হবে সংসদে। আবার সংসদে গেলে তারা বাইরে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না, তাও ঠিক নয়। নিয়মতান্ত্রিক যেকোনো কর্মসূচি পালনের অধিকার বিরোধী দলের আছে।
অতএব, বিএনপির পরিবর্তিত কর্মসূচিতে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দেবে না বলেই প্রত্যাশিত। কোনো কর্মসূচি নির্বিঘ্নে পালিত হলে নতুন কর্মসূচি পালনের যুক্তি থাকে না, কিন্তু তাতে বাধা এলে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা থেকেই যায়। একই সঙ্গে কর্মসূচি পালনের নামে দলীয় কর্মীরা যাতে কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করেন, সে নিশ্চয়তাও বিএনপির নেতৃত্বকে দিতে হবে। অতীতে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ কম হয়নি। কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উসকানি, কখনো দলীয় কর্মীদের বাড়াবাড়ি পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ করবে বলেই প্রত্যাশা।
No comments