মূল্যস্ফীতি প্রশমনে মুদ্রানীতি - সরবরাহের দিকে সরকারের মনোযোগ জরুরি
বাজারে অর্থের জোগান কমিয়ে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টেনে ধরতে হবে—মোটা দাগে অর্থনীতির পরিভাষায় এটাই মুদ্রানীতির করণীয়। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি সপ্তাহে যে ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তাতেও এই করণীয় দিকটি গুরুত্ব পেয়েছে। তবে অর্থের জোগান তথা ঋণের প্রবাহ কমানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে অনুৎপাদনশীল ও ফাটকাবাজিমূলক কারবারে যেন অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাদের সে চেষ্টাই থাকবে। বিষয়টি এভাবেও দেখা যেতে পারে যে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য অর্থের যেন কমতি না হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটাও নিশ্চিত করতে চায়। বিভিন্ন ধরনের ভোগব্যয় ও শেয়ারবাজারে নির্বিচারে বিনিয়োগের সাম্প্রতিক প্রবণতা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। এ ধরনের ব্যয় ও বিনিয়োগ মূল্যস্তরকে বাড়িয়ে দেয়, যা প্রকারান্তরে মূল্যস্ফীতি ঘটায়।
আবার দেশি ও বিদেশি একাধিক ঘটনাপ্রবাহ আগামী দিনগুলোয় মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভোগব্যয় বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে এপ্রিল মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক অনুসারে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশের সামান্য ওপরে, যেখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হয়েছে। এটা নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে। তাদের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি প্রশমনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা কতখানি অর্থবহ হবে, তা বহুলাংশে নির্ভর করছে সরকারের অন্যান্য নীতি, পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাপনার ওপর।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি ও খোদ কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, যা মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে যেখানে মুদ্রাবাজার যথেষ্ট সুগঠিত নয়, সেখানে শুধু অর্থের জোগান সীমিত করে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। আর বাংলাদেশে এখন যেখানে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে শিল্প খাতের উৎপাদন-কর্মকাণ্ডে গতিমন্থরতা দেখা দিয়েছে, সেখানে এসব গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনশীল খাতে অর্থপ্রবাহ তথা বিনিয়োগ বাড়ানোও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট নিরসনে যেমন সরকারকে অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনি নিত্যপণ্যের বাজারে পরিকল্পিত নজরদারি ও সরবরাহ-প্রক্রিয়া গতিশীল রাখার অর্থবহ পদক্ষেপ থাকতে হবে। আবার অনুৎপাদনশীল ও ফাটকা কারবারের দিকে অর্থের প্রবাহ শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে ঠেকানো যাবে না। কারণ, উৎপাদনশীল খাতে যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তখন যেখানে অর্থ খাটালে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি, সেদিকেই অর্থ ধাবিত হয়। বাংলাদেশে জমিজমা ও শেয়ারবাজারে সে জন্যই অর্থপ্রবাহ বাড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজস্বনীতিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অবশ্য সীমিত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এসব খাতে সীমিত পরিসরে কর আরোপ করে। সর্বোপরি সরকারের ঘাটতি অর্থায়ন পরিকল্পনাও মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে।
আবার দেশি ও বিদেশি একাধিক ঘটনাপ্রবাহ আগামী দিনগুলোয় মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত, আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভোগব্যয় বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুসারে এপ্রিল মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক অনুসারে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশের সামান্য ওপরে, যেখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হয়েছে। এটা নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে। তাদের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি প্রশমনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা কতখানি অর্থবহ হবে, তা বহুলাংশে নির্ভর করছে সরকারের অন্যান্য নীতি, পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাপনার ওপর।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষিঋণ সরবরাহ বৃদ্ধি ও খোদ কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, যা মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে যেখানে মুদ্রাবাজার যথেষ্ট সুগঠিত নয়, সেখানে শুধু অর্থের জোগান সীমিত করে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। আর বাংলাদেশে এখন যেখানে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে শিল্প খাতের উৎপাদন-কর্মকাণ্ডে গতিমন্থরতা দেখা দিয়েছে, সেখানে এসব গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনশীল খাতে অর্থপ্রবাহ তথা বিনিয়োগ বাড়ানোও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট নিরসনে যেমন সরকারকে অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনি নিত্যপণ্যের বাজারে পরিকল্পিত নজরদারি ও সরবরাহ-প্রক্রিয়া গতিশীল রাখার অর্থবহ পদক্ষেপ থাকতে হবে। আবার অনুৎপাদনশীল ও ফাটকা কারবারের দিকে অর্থের প্রবাহ শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে ঠেকানো যাবে না। কারণ, উৎপাদনশীল খাতে যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তখন যেখানে অর্থ খাটালে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি, সেদিকেই অর্থ ধাবিত হয়। বাংলাদেশে জমিজমা ও শেয়ারবাজারে সে জন্যই অর্থপ্রবাহ বাড়ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজস্বনীতিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা সময়সাপেক্ষ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অবশ্য সীমিত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এসব খাতে সীমিত পরিসরে কর আরোপ করে। সর্বোপরি সরকারের ঘাটতি অর্থায়ন পরিকল্পনাও মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে।
No comments