আর্জেন্টিনা ব্যর্থ নয়
আর্জেন্টিনা নাকি বিশ্বকাপে মোটেও ব্যর্থ হয়নি। কোনো ফুটবল বিশ্লেষকের মত নয়। আর্জেন্টিনারই খেলোয়াড় ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার জামাই সার্জিও আগুয়েরো বলেছেন, তাঁদের বিশ্বকাপ অভিযানকে ব্যর্থ বলা যাবে না।
বিশ্বকাপ শেষ করে এখনো স্পেনে ফেরেননি, যোগ দেননি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অনুশীলনে। তার আগে আর্জেন্টাইন দৈনিক ওলেকে আগুয়েরো বললেন, ‘দল বিশ্বকাপে যা করেছে, তাতে আমি খুশি। আমরা ইতালি ও ইংল্যান্ডের চেয়ে তো অনেক ভালো করেছি; দুটো দলই খুব ভালো ছিল, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড়ও ছিল। তার পরও আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে কেন কথা হবে, এটা বুঝি না।’
ব্যর্থ বলা হবে কারণ, দলটায় কথিত বিশ্বসেরা আক্রমণ ভাগ ছিল। যে দলে দুর্দান্ত ক্লাব ক্যারিয়ার নিয়েও সেরা একাদশে জায়গা হয় না খোদ আগুয়েরোরই। জায়গা ছাড়তে হয় মেসি, তেভেজ, হিগুয়েইনের জন্য। প্রায় পুরোটা বিশ্বকাপই ডিয়েগো মিলিতোর সঙ্গে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে আগুয়েরোকে।
তবে এই বসে থাকা নিয়ে আগুয়েরোর কোনো আক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। তিনি বরং বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা নিয়েই আনন্দিত, ‘২২ বছর বয়সে আমি প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ফিরলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের ফলাফল যা-ই হোক, এই অভিজ্ঞতা আমাকে খুব সাহায্য করবে।’
অভিজ্ঞতাটা আর্জেন্টিনা দলের জন্য কতটা কাজে লাগবে, সেটা বোঝা যাবে ভবিষ্যতে তিনি কেমন সুযোগ পান, তার ওপর। নিন্দুকেরা বলে, এবার বিশ্বকাপ দলেই তাঁর জায়গা হতো না। যদিও স্প্যানিশ লিগে গত মৌসুমের আগের দুটি মৌসুম অসাধারণ কাটিয়েছেন। তার পরও সমালোচনা, স্রেফ ম্যারাডোনার জামাই বলেই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
সমালোচনার জবাব অনেকবার দিয়েছেন। আরেকবার দিলেন, ‘ক্লাবে আমার দুর্দান্ত একটা মৌসুম কেটেছে। উয়েফা কাপ জিতেছি, কোপা দেল রে-এর ফাইনালে খেলেছি। আমাকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো কারণ দেখি না। ম্যারাডোনার জামাই হওয়ার অনেক আগেই আমি কুন আগুয়েরো হয়ে গেছি। লোকে এসব জানে। কিন্তু তারা ম্যারাডোনাকে উত্ত্যক্ত করতে চায় বলে আমাকে উত্ত্যক্ত করে।’
তাহলে ম্যারাডোনা না থাকলে তো আর আগুয়েরোকে যন্ত্রণা সইতে হয় না! না, কোনো কারণেই তিনি চান না ম্যারাডোনা সরে যান। মেসিদের মতোই তিনিও বললেন, ‘ওনার উপস্থিতিই আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। উনি আমাদের ভেতর এই অনুভূতিটা তৈরি করে দিতেন, আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। হ্যাঁ, আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্বে তিনি থাকুন অথবা অন্য কেউ, খেলোয়াড়দের সেরাটাই দিতে হয়। কিন্তু ডিয়েগোর মধ্যে যেন অন্য কী একটা আছে।’
বিশ্বকাপ শেষ করে এখনো স্পেনে ফেরেননি, যোগ দেননি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অনুশীলনে। তার আগে আর্জেন্টাইন দৈনিক ওলেকে আগুয়েরো বললেন, ‘দল বিশ্বকাপে যা করেছে, তাতে আমি খুশি। আমরা ইতালি ও ইংল্যান্ডের চেয়ে তো অনেক ভালো করেছি; দুটো দলই খুব ভালো ছিল, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড়ও ছিল। তার পরও আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে কেন কথা হবে, এটা বুঝি না।’
ব্যর্থ বলা হবে কারণ, দলটায় কথিত বিশ্বসেরা আক্রমণ ভাগ ছিল। যে দলে দুর্দান্ত ক্লাব ক্যারিয়ার নিয়েও সেরা একাদশে জায়গা হয় না খোদ আগুয়েরোরই। জায়গা ছাড়তে হয় মেসি, তেভেজ, হিগুয়েইনের জন্য। প্রায় পুরোটা বিশ্বকাপই ডিয়েগো মিলিতোর সঙ্গে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে আগুয়েরোকে।
তবে এই বসে থাকা নিয়ে আগুয়েরোর কোনো আক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। তিনি বরং বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা নিয়েই আনন্দিত, ‘২২ বছর বয়সে আমি প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ফিরলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের ফলাফল যা-ই হোক, এই অভিজ্ঞতা আমাকে খুব সাহায্য করবে।’
অভিজ্ঞতাটা আর্জেন্টিনা দলের জন্য কতটা কাজে লাগবে, সেটা বোঝা যাবে ভবিষ্যতে তিনি কেমন সুযোগ পান, তার ওপর। নিন্দুকেরা বলে, এবার বিশ্বকাপ দলেই তাঁর জায়গা হতো না। যদিও স্প্যানিশ লিগে গত মৌসুমের আগের দুটি মৌসুম অসাধারণ কাটিয়েছেন। তার পরও সমালোচনা, স্রেফ ম্যারাডোনার জামাই বলেই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
সমালোচনার জবাব অনেকবার দিয়েছেন। আরেকবার দিলেন, ‘ক্লাবে আমার দুর্দান্ত একটা মৌসুম কেটেছে। উয়েফা কাপ জিতেছি, কোপা দেল রে-এর ফাইনালে খেলেছি। আমাকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো কারণ দেখি না। ম্যারাডোনার জামাই হওয়ার অনেক আগেই আমি কুন আগুয়েরো হয়ে গেছি। লোকে এসব জানে। কিন্তু তারা ম্যারাডোনাকে উত্ত্যক্ত করতে চায় বলে আমাকে উত্ত্যক্ত করে।’
তাহলে ম্যারাডোনা না থাকলে তো আর আগুয়েরোকে যন্ত্রণা সইতে হয় না! না, কোনো কারণেই তিনি চান না ম্যারাডোনা সরে যান। মেসিদের মতোই তিনিও বললেন, ‘ওনার উপস্থিতিই আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। উনি আমাদের ভেতর এই অনুভূতিটা তৈরি করে দিতেন, আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। হ্যাঁ, আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্বে তিনি থাকুন অথবা অন্য কেউ, খেলোয়াড়দের সেরাটাই দিতে হয়। কিন্তু ডিয়েগোর মধ্যে যেন অন্য কী একটা আছে।’
No comments