পারা না পারাতেই ব্যবধান -আরিফুল ইসলাম
ম্যাচের শুরুতে দুদলই খুশি। টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় ইচ্ছাপূরণ হয়েছে দুদলেরই। ইংল্যান্ড চেয়েছিল প্রথমে ফিল্ডিং করতে, বাংলাদেশ ব্যাটিং। সমস্যাটা এর পরই। অ্যালিস্টার কুকদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে ২৩০-২৪০ এর মধ্যে বেঁধে ফেলা, সে কাজটা তাঁরা ভালোভাবেই করেছেন। আর তামিম ইকবালদের লক্ষ্য ছিল অন্তত ২৬০ করা, সেটা তাঁরা পারেননি। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত এই পারা না পারাতেই।
তামিমরা পারেননি না বলে বলা ভালো তামিম ছাড়া বাকিরা পারেননি। আউটটা দৃষ্টিকটুভাবেই হয়েছেন, আরও কয়েকটা ওভার থাকলে হয়তো দলের রানটাও আড়াই শর আশপাশে থাকত, কিন্তু যে ব্যাটসম্যান দলের একাই বাকি সবার মোট রানের চেয়ে ৩২ রান বেশি করেছেন, তাঁর কাছে আর কিইবা চাওয়ার থাকতে পারে! এমন একটা ইনিংস খেলার পরও তামিমের মুখে হাসি নেই, কারণ ওভাবে আউট হওয়া আর দলের হার, ‘আসলে ওই সময় টেলএন্ডার ছাড়া আর কেউ নেই, রান করলে আমাকেই করতে হতো। কিন্তু যে শটটা খেললাম আমি, সাধারণত এই শট খেলি না, তাই হয়তো পারিনি। আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারলে তো ভালোই হতো। সেঞ্চুরি পেলাম কিন্তু দল তো পারেনি।’
একজন ব্যাটসম্যান ১২৫ করার পরও দল কেন ২৫০ পেরোতে পারল না, কেন অলআউট ২৬ বল আগেই? ‘আমাদের ৬০ রানের মতো দুটো জুটি হয়েছে, কিন্তু দরকার ছিল একটা বড় জুটির, দেড় শ রানের মতো। শুরুতে ভালোভাবেই সবকিছু হচ্ছিল, কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেললাম। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ), সাকিব, মুশফিকরা যারা ফর্মে আছে, ওরা যদি এভাবে আউট না হতো তাহলে হয়তো হয়ে যেত’—তামিমের উত্তরটা সবার জানাই, যা হয়েছে সবাই দেখেছেন। কিন্তু তাঁরা কেন পারলেন না, প্রশ্ন সেখানেই। এ বছর আটটা ওয়ানডে খেলা হয়ে গেল, পারফরম্যান্স খারাপও নয়, কিন্তু জয়ের দেখা পাওয়া গেল না। প্রতিটি ম্যাচ শেষেই ‘অল্পের জন্য হলো না’ এই আফসোস আর কত দিন? দল হারার পরও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই বাঁহাতির কাছে সাফল্য মানে শুধু জয় নয়, ‘হার গণনার সময় আসেনি। আমরা এখনো শিখছি। দেখুন, আমাদের দলে এক শ ম্যাচ খেলছে এমন কয়জন আছে? এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন থেকে এক-দু বছর পর আমরা অন্য ধরনের দল হয়ে উঠব। পাঁচ বছর আগের কথা চিন্তা করেন, পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। আগে হয়তো পাঁচ-ছয় সিরিজ পরপর একটা সেঞ্চুরি দেখা যেত, এখন প্রতি সিরিজেই একজন-দুজন সেঞ্চুরি করছে। ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু উন্নতি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
আগে কালে-ভদ্রে দেখা যেত, এখন নিয়মিতই সেঞ্চুরি হচ্ছে, তামিমের দাবি সত্য। কিন্তু নতুন এই ধারাই আবার নতুন যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নতুন উপসর্গ—ইনিংসটা হয়ে থাকছে একজনের গল্প। এই ধারাও তাহলে চলতেই থাকবে? ‘তাই তো মনে হচ্ছে!’...একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে এটা বলার পরই অবশ্য তামিম হয়ে উঠলেন অদৃষ্টবাদী, ‘সবাই ভালো খেলতে চায়, রুবেল ১১ নম্বরে ব্যাটিং করেও ৫০ করতে চায়। কিন্তু সব সময় তো আর হয় না।’
দল এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে তিনি নিজেও। এর প্রমাণ এই প্রথম বড় দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি করার পরও তামিম বললেন, ‘এটি সেরা ইনিংসগুলোর একটি, কিন্তু সেরা নয়। সেরা এখনো আসেনি!’ তবে ইংলিশরাও কিন্তু বসে নেই, কুক জানিয়ে দিলেন, ‘তামিমকে এই প্রথম দেখলাম। খুব জোরে আর খুব ক্লিন হিট করে। ওকে আটকানোর একটা উপায় বের করে ফেলব!’
তামিমরা পারেননি না বলে বলা ভালো তামিম ছাড়া বাকিরা পারেননি। আউটটা দৃষ্টিকটুভাবেই হয়েছেন, আরও কয়েকটা ওভার থাকলে হয়তো দলের রানটাও আড়াই শর আশপাশে থাকত, কিন্তু যে ব্যাটসম্যান দলের একাই বাকি সবার মোট রানের চেয়ে ৩২ রান বেশি করেছেন, তাঁর কাছে আর কিইবা চাওয়ার থাকতে পারে! এমন একটা ইনিংস খেলার পরও তামিমের মুখে হাসি নেই, কারণ ওভাবে আউট হওয়া আর দলের হার, ‘আসলে ওই সময় টেলএন্ডার ছাড়া আর কেউ নেই, রান করলে আমাকেই করতে হতো। কিন্তু যে শটটা খেললাম আমি, সাধারণত এই শট খেলি না, তাই হয়তো পারিনি। আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারলে তো ভালোই হতো। সেঞ্চুরি পেলাম কিন্তু দল তো পারেনি।’
একজন ব্যাটসম্যান ১২৫ করার পরও দল কেন ২৫০ পেরোতে পারল না, কেন অলআউট ২৬ বল আগেই? ‘আমাদের ৬০ রানের মতো দুটো জুটি হয়েছে, কিন্তু দরকার ছিল একটা বড় জুটির, দেড় শ রানের মতো। শুরুতে ভালোভাবেই সবকিছু হচ্ছিল, কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেললাম। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ), সাকিব, মুশফিকরা যারা ফর্মে আছে, ওরা যদি এভাবে আউট না হতো তাহলে হয়তো হয়ে যেত’—তামিমের উত্তরটা সবার জানাই, যা হয়েছে সবাই দেখেছেন। কিন্তু তাঁরা কেন পারলেন না, প্রশ্ন সেখানেই। এ বছর আটটা ওয়ানডে খেলা হয়ে গেল, পারফরম্যান্স খারাপও নয়, কিন্তু জয়ের দেখা পাওয়া গেল না। প্রতিটি ম্যাচ শেষেই ‘অল্পের জন্য হলো না’ এই আফসোস আর কত দিন? দল হারার পরও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই বাঁহাতির কাছে সাফল্য মানে শুধু জয় নয়, ‘হার গণনার সময় আসেনি। আমরা এখনো শিখছি। দেখুন, আমাদের দলে এক শ ম্যাচ খেলছে এমন কয়জন আছে? এসব নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, এখন থেকে এক-দু বছর পর আমরা অন্য ধরনের দল হয়ে উঠব। পাঁচ বছর আগের কথা চিন্তা করেন, পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। আগে হয়তো পাঁচ-ছয় সিরিজ পরপর একটা সেঞ্চুরি দেখা যেত, এখন প্রতি সিরিজেই একজন-দুজন সেঞ্চুরি করছে। ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু উন্নতি করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
আগে কালে-ভদ্রে দেখা যেত, এখন নিয়মিতই সেঞ্চুরি হচ্ছে, তামিমের দাবি সত্য। কিন্তু নতুন এই ধারাই আবার নতুন যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নতুন উপসর্গ—ইনিংসটা হয়ে থাকছে একজনের গল্প। এই ধারাও তাহলে চলতেই থাকবে? ‘তাই তো মনে হচ্ছে!’...একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে এটা বলার পরই অবশ্য তামিম হয়ে উঠলেন অদৃষ্টবাদী, ‘সবাই ভালো খেলতে চায়, রুবেল ১১ নম্বরে ব্যাটিং করেও ৫০ করতে চায়। কিন্তু সব সময় তো আর হয় না।’
দল এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে তিনি নিজেও। এর প্রমাণ এই প্রথম বড় দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি করার পরও তামিম বললেন, ‘এটি সেরা ইনিংসগুলোর একটি, কিন্তু সেরা নয়। সেরা এখনো আসেনি!’ তবে ইংলিশরাও কিন্তু বসে নেই, কুক জানিয়ে দিলেন, ‘তামিমকে এই প্রথম দেখলাম। খুব জোরে আর খুব ক্লিন হিট করে। ওকে আটকানোর একটা উপায় বের করে ফেলব!’
No comments