ধূলিঝড়ের কবলে বেইজিং
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গতকাল শনিবার থেকে ধূলিঝড় শুরু হয়েছে। এই ঝড় কাল সোমবার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। চীনের উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ ও মঙ্গোলিয়ার মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ঝড়ের ধুলোবালিতে অন্ধকার হয়ে যায় বেইজিং। বেইজিংয়ের রাস্তাঘাট চাপা পড়ে হলুদ রঙের কয়েক প্রস্তর ধুলোবালির নিচে। এএফপি ও রয়টার্স।
আবহাওয়া দপ্তর ধূলিঝড়ের পর ৫ মাত্রার দূষণ সতর্কতা জারি করেছে। পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে লোকজনকে ঘরের ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে অনেক লোক ওই অনুরোধ উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক পরে ঘরের বাইরে আসে। অনেককে রাস্তার ধূলির আস্তরণের ওপর পায়ের ছাপ আঁকতে দেখা গেছে।
গরম বাড়লে বসন্তকালে চীনের উত্তরাঞ্চলের বৃষ্টিহীন অঞ্চল থেকে ধূলিঝড় শুরু হয়ে তা মেঘের মতো পুরো চীনে ঘুরে বেড়ায়। এরপর তা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত চলে যায়।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, ধূলিঝড়ের কারণে রাজধানী সিউল, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেইজিংয়ে লি মিং নামের একজন বিক্রয়কর্মী সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠ হলুদ হয়ে যাওয়ায় আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি। এটা আমাকে আমার গ্রামের নোংরা রাস্তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’ বেইজিংয়ের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সং সিওরং বলেন, ‘আমার জানা মতে দু-তিন বছরের মধ্যে এমন মারাত্মক ধূলিঝড় হয়নি।’
চার বছর আগে এক ধূলিঝড়ে বেইজিংয়ের রাস্তায় অন্তত তিন লাখ টন বালু এসে পড়ে। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে ২৬ লাখ বর্গকিলোমিটার মরুভূমি রয়েছে, যা দেশটির মোট কৃষি খেতের আড়াই গুণ।
ধূলিঝড়ের জন্য লাগামহীন বন ধ্বংস ও দীর্ঘমেয়াদি অনাবৃষ্টিকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। চীন ক্রমবর্ধমান মরুকরণ রোধে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য আনতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। কিন্তু ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং পানির উৎস কমে যাওয়ায় খুব একটা কাজ হচ্ছে না। কারণ, দেশটিতে কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত গ্যাসের মাত্রা কমছে না।
আবহাওয়া দপ্তর ধূলিঝড়ের পর ৫ মাত্রার দূষণ সতর্কতা জারি করেছে। পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে লোকজনকে ঘরের ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে অনেক লোক ওই অনুরোধ উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক পরে ঘরের বাইরে আসে। অনেককে রাস্তার ধূলির আস্তরণের ওপর পায়ের ছাপ আঁকতে দেখা গেছে।
গরম বাড়লে বসন্তকালে চীনের উত্তরাঞ্চলের বৃষ্টিহীন অঞ্চল থেকে ধূলিঝড় শুরু হয়ে তা মেঘের মতো পুরো চীনে ঘুরে বেড়ায়। এরপর তা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত চলে যায়।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, ধূলিঝড়ের কারণে রাজধানী সিউল, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেইজিংয়ে লি মিং নামের একজন বিক্রয়কর্মী সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠ হলুদ হয়ে যাওয়ায় আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি। এটা আমাকে আমার গ্রামের নোংরা রাস্তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’ বেইজিংয়ের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সং সিওরং বলেন, ‘আমার জানা মতে দু-তিন বছরের মধ্যে এমন মারাত্মক ধূলিঝড় হয়নি।’
চার বছর আগে এক ধূলিঝড়ে বেইজিংয়ের রাস্তায় অন্তত তিন লাখ টন বালু এসে পড়ে। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে ২৬ লাখ বর্গকিলোমিটার মরুভূমি রয়েছে, যা দেশটির মোট কৃষি খেতের আড়াই গুণ।
ধূলিঝড়ের জন্য লাগামহীন বন ধ্বংস ও দীর্ঘমেয়াদি অনাবৃষ্টিকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। চীন ক্রমবর্ধমান মরুকরণ রোধে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য আনতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। কিন্তু ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং পানির উৎস কমে যাওয়ায় খুব একটা কাজ হচ্ছে না। কারণ, দেশটিতে কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত গ্যাসের মাত্রা কমছে না।
No comments