মূল্য ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাজার ধরে রেখেছে চীন ও ভিয়েতনাম
বিশ্ব অর্থনীতির প্রলম্বিত মন্দার কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাত। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিযোগী কয়েকটি দেশ বড় ধরনের মূল্য ছাড় দিয়ে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আনতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে।
মূল্যের দিক থেকে আমেরিকার বাজারে গত জানুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর ভিয়েতনামের কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, ভারতের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে প্রতি বর্গমিটার কাপড় রপ্তানি বিবেচনা করলে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে চীনের বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ভিয়েতনামের বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের মতো কম্বোডিয়ার কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ভারতের ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, পাকিস্তানের ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সাধারণভাবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ সস্তা কাপড়ের জোগানদার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন ট্রেড বিভাগ সেনস্যাস ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে চীন আমেরিকার বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে মূল্য ছাড় দিয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। একই সময়ে কম্বোডিয়া ছাড় দিয়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ভারত ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ছাড় দিয়েছে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশের পণ্যের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তথ্য-উপাত্ত থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, তারা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি করবে।’ তিনি গতকাল শনিবার গণমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এসব তথ্য দেন।
প্রতিযোগী দেশগুলোর এই মূল্য ছাড়ের পেছনে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা। এ সহায়তার কারণে মন্দা পরিস্থিতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কম দামে পণ্য বিক্রির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো।
ডিসেম্বরে বড়দিন এবং জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রচুর শীতের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশি পণ্য মার্কিন বাজারে কম ঢুকেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক আমদানি কমেছে সাড়ে ১২ শতাংশ। বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধরনের পণ্যে এ সময়ে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ যে ধরনের (আইটেম) পণ্য রপ্তানি করে, সেসব পণ্যে চীনের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে বাংলাদেশের বাজারে আবারও চীন ভাগ বসাচ্ছে বলে মনে করে সংস্থাটি। সিপিডি বলছে, মন্দার আগে কম দামের পোশাককে অনুৎসাহিত করলেও মন্দার পর উল্টো এখন কম দামের পোশাককে প্রণোদনা দিচ্ছে চীন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান কয়েকদিন আগে প্রথম আলোকে বলেন, মন্দার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সেখানে সামগ্রিক চাহিদা কিছুটা কমেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের বাজার চীন নিয়ে নিয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের উৎপাদকেরা এই মন্দা পরিস্থিতিতেও কোনো প্রণোদনা পায়নি। যেখানে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানিকারকেরা ভালো প্রণোদনা পেয়েছে।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দেশের ওভেন পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নিট পোশাক রপ্তানি ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। এই হিসাবে এ সময়ে ১১৬ কোটি ডলারের রপ্তানি কমেছে। আর যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে বছর শেষে ২০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার রপ্তানি-আয় কম হবে।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, এভাবে প্রবৃদ্ধি না কমলে অথবা লোকসান না হলে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এখাতে হতে পারত। আর পরোক্ষভাবে সাড়ে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারত।
মূল্যের দিক থেকে আমেরিকার বাজারে গত জানুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর ভিয়েতনামের কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, ভারতের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে প্রতি বর্গমিটার কাপড় রপ্তানি বিবেচনা করলে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে চীনের বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ভিয়েতনামের বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের মতো কম্বোডিয়ার কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ভারতের ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, পাকিস্তানের ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সাধারণভাবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ সস্তা কাপড়ের জোগানদার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন ট্রেড বিভাগ সেনস্যাস ব্যুরোর তথ্য অনুসারে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে চীন আমেরিকার বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে মূল্য ছাড় দিয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। একই সময়ে কম্বোডিয়া ছাড় দিয়েছে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ভারত ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ছাড় দিয়েছে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশের পণ্যের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তথ্য-উপাত্ত থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, তারা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি করবে।’ তিনি গতকাল শনিবার গণমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এসব তথ্য দেন।
প্রতিযোগী দেশগুলোর এই মূল্য ছাড়ের পেছনে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা। এ সহায়তার কারণে মন্দা পরিস্থিতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কম দামে পণ্য বিক্রির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো।
ডিসেম্বরে বড়দিন এবং জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রচুর শীতের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশি পণ্য মার্কিন বাজারে কম ঢুকেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক আমদানি কমেছে সাড়ে ১২ শতাংশ। বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধরনের পণ্যে এ সময়ে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ যে ধরনের (আইটেম) পণ্য রপ্তানি করে, সেসব পণ্যে চীনের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে বাংলাদেশের বাজারে আবারও চীন ভাগ বসাচ্ছে বলে মনে করে সংস্থাটি। সিপিডি বলছে, মন্দার আগে কম দামের পোশাককে অনুৎসাহিত করলেও মন্দার পর উল্টো এখন কম দামের পোশাককে প্রণোদনা দিচ্ছে চীন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান কয়েকদিন আগে প্রথম আলোকে বলেন, মন্দার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সেখানে সামগ্রিক চাহিদা কিছুটা কমেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের বাজার চীন নিয়ে নিয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের উৎপাদকেরা এই মন্দা পরিস্থিতিতেও কোনো প্রণোদনা পায়নি। যেখানে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানিকারকেরা ভালো প্রণোদনা পেয়েছে।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দেশের ওভেন পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নিট পোশাক রপ্তানি ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। এই হিসাবে এ সময়ে ১১৬ কোটি ডলারের রপ্তানি কমেছে। আর যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে বছর শেষে ২০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার রপ্তানি-আয় কম হবে।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, এভাবে প্রবৃদ্ধি না কমলে অথবা লোকসান না হলে সরাসরি তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এখাতে হতে পারত। আর পরোক্ষভাবে সাড়ে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারত।
No comments