ইরানের জন্য এখনো আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইরান নিজেই নিজেকে একঘরে করতে চাইছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ ইরানিদের ন্যায়সংগত অধিকার ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের জন্য আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে। ইরানিদের নববর্ষ ‘নওরোজ’ উৎসব উপলক্ষে ইরানি জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ওবামা এ কথা বলেন। অন্যদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছেন, তিনি আশা করেন, নতুন বছরে ইরানি জনগণ তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পাবে। মিলিব্যান্ডের এ বক্তব্যকে বিরোধীদের প্রতি ব্রিটেনের পরোক্ষ সমর্থন হিসেবে দেখা হতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মত দিয়েছেন। খবর বিবিসি অনলাইন ও এএফপির।
ফারসি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গতকাল শনিবার ইরানে নতুন বছর বা নওরোজ শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে নতুন বছরকে বরণ করতে সেখানে ১২ দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে। এ নওরোজ সামনে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্বিতীয়বারের মতো গতকাল ইরানিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। গত বছর নওরোজ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ওবামা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সম্পর্কের ‘নতুন যাত্রা’ শুরুর প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, গতকালের ভাষণে ওবামা ইরান সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি তার প্রতি বেশ খানিকটা নমনীয় ভাব প্রকাশ করেছেন। পরমাণু কার্যক্রম ইস্যুতে ইরানের ওপর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপের যে উদ্যোগ নিয়েছে, ওবামার এ বক্তব্য সে কঠোর অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন তাঁরা। ওবামা বলেছেন, গত এক বছরে ইরান (তার কার্যকলাপের মাধ্যমে) নিজেই নিজেকে একঘরে করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, ইরান সরকারের সঙ্গে তাঁদের মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা সাধারণ ইরানিদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনো প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ইরানিদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
ওবামা বলেন, আন্তর্জাতিক অনুরোধ ও পরামর্শ উপেক্ষা করে পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রমের বিষয়ে ইরান এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থান থেকে তাকে সরে এসে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ইরানে ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর আরোপিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ইরানের সাধারণ জনগণ যাতে বাধাহীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, সে জন্যও তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
সরকারের আরোপিত প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ইরানি জনগণ যাতে সারা বিশ্বের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে, সে জন্য চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ইরানে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ব্লগিং-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আহমাদিনেজাদ সরকার ইরানে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে।
ফারসি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গতকাল শনিবার ইরানে নতুন বছর বা নওরোজ শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে নতুন বছরকে বরণ করতে সেখানে ১২ দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে। এ নওরোজ সামনে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্বিতীয়বারের মতো গতকাল ইরানিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। গত বছর নওরোজ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ওবামা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সম্পর্কের ‘নতুন যাত্রা’ শুরুর প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, গতকালের ভাষণে ওবামা ইরান সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি তার প্রতি বেশ খানিকটা নমনীয় ভাব প্রকাশ করেছেন। পরমাণু কার্যক্রম ইস্যুতে ইরানের ওপর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপের যে উদ্যোগ নিয়েছে, ওবামার এ বক্তব্য সে কঠোর অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন তাঁরা। ওবামা বলেছেন, গত এক বছরে ইরান (তার কার্যকলাপের মাধ্যমে) নিজেই নিজেকে একঘরে করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, ইরান সরকারের সঙ্গে তাঁদের মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা সাধারণ ইরানিদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনো প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ইরানিদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
ওবামা বলেন, আন্তর্জাতিক অনুরোধ ও পরামর্শ উপেক্ষা করে পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রমের বিষয়ে ইরান এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থান থেকে তাকে সরে এসে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ইরানে ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর আরোপিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমালোচনা করে ওবামা বলেন, ইরানের সাধারণ জনগণ যাতে বাধাহীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, সে জন্যও তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
সরকারের আরোপিত প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ইরানি জনগণ যাতে সারা বিশ্বের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে, সে জন্য চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ইরানে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ব্লগিং-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আহমাদিনেজাদ সরকার ইরানে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে।
No comments